সময়... অনাদি... হতে... অনন্তের... পথে...
প্রায় সাত বছরের শিক্ষাজীবনে নিউজপ্রিন্ট কাগজই লিখে যাচ্ছে পিতৃহারা মিলি। ভাল কাগজের দাম বেশী থাকায় তা কিনে দিতে পারেনা তার মা। সহপাঠীদের লেখাগুলো ধবধবে সাদা কাগজে কেমন সুন্দর ফুটে ওঠে ও শুধু তা তাকিয়ে দেখে। তাই মায়ের কাছে এখন ওর একটাই আবদার মাত্র একদিস্তা কাগজের।
কিন্তু সে সাধ অপূর্ণই থেকে যায় ওর।
পিরোজপুর শহরতলীর ভাইজোড়া গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক কালু মিয়া মিলিকে ছয় বছরের শিশু রেখে পরপারে পারি জমান। সংসারের হাল ধরতে এরপর ওর মা গৃহবুধর লজ্জা ফেলে গৃহপরিচারিকার কাজ ধরেন। সেই মিলি এখন স্থানীয় কিয়ামউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
তার ছোট বোন পলির হাতেখাড়ি হয়েছে মাত্র। মা তাছলিমা বেগম জানান, ছোট বেলা থেকেই মিলি হিসেবী এবং লেখাপড়ায় মনোযোগী।
এখনও মুখফুটে কিছু চায়না। তবে কিছুদিন ধরে ও এক দিস্তা সাদা কাগজ চাইছে। কিন্তু এক দিস্তা সাদা কাগজের দামে তিন দিস্তা নিউজ প্রিন্ট কিনি। অর্থাভাবে এখনই ওর সাদা কাগজ আর কেনা হয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।