যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি গতকাল অনেকেই হয়তো পোস্টটা দেখতে পাননি। ঘটনা ছিলো জাতীয়তাবাদীর সংজ্ঞা কি হতে পারে তা নিয়ে একটা গবেষনামুলক আলোচনা চেষ্টা। সেখানে দেখে গেছে জাতীয়তাবাদীরা নিজেরাই জানে না জাতিয়তাবাদী বলতে কি বুঝায়। না জানারই কথা। কারন জাতীয়তাবাদের মুল ভিত্তি হলো ঘৃনা।
যে কারনে ইসলাম জাতীয়তাবাদকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। কিন্তু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীরা এই ক্ষেত্রে একটা অদ্ভুদ আচরন করে। এরা মুখে ইসলামের কথা বললেও ইসলামে নিষিদ্ধ জাতীয়তাবাদের চর্চা করে - জাতীয়তাবাদের নামে সংগঠন করে - জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্যে আন্দোলন (!) করে।
যাই হোক - আবার দেখি জাতীয়তাবাদী জিনিসটা কি হতে পারে। এইটা অনেকটা ওরস্যলাইনের মতো একটা জিনিস যার জন্যে দরকার -
এক চিমটি মুক্তিযুদ্ধ ( জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ) + এক মুঠ রাজাকার (জামাত আর রাজাকারদের সাথে সখ্যতার সাথে রাজাকারদের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং দলের উচ্চপদ থেকে সবক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া) + এক বালতি ভারত/আওয়ামী ঘৃণা মিশিয়ে একদিন অন্ধকারে রেখে দিলে যে বিষাক্ত মিশ্রন তৈরী হবে - তার নাম বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ।
এই মিশ্রন পানের পর যে কেউ যে সকল উপসর্গে আক্রান্ত হবে, তা হলো -
১) মুক্তিযুদ্ধে মহানায়কদের হত্যার বিচারের বিষয়টি অত্যান্ত তুচ্ছ বিষয় বিবেচনা করবে।
২) জামাতের রাজাকারদের কোলে বসিয়ে রেখে অন্যদলে চিপায়চাপায় রাজাকার খুঁজবে।
৩) সব সমস্যার জন্যে আওয়ামীলীগ দায়ী এই কথা বলে বেহুশ হয়ে যাবে।
৪) ভারত সব কিছু শেষ করে দিলো বলে দিন রাত জিগির করবে (যদিও জাতীয়তাবাদী নেতা খালেদা জিয়া ভারতে গিয়ে নিঃশর্ত ভাবে অতীত কর্মকান্ডের জন্যে ক্ষমা চেয়ে এসেছেন)
এইবার পাঠক. আপনাদের কাজ হলো আজকের জাতীয়তাবাদীদের পোস্টগুলো পড়ে মিলিয়ে নিন - এই ওরস্যালা্ইন ফর্মুলা ঠিক আছে কি নাই?
সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।