সবচেয়ে বড় গ্যাপ হলো কমিউনিকেশন গ্যাপ। সেই গ্যাপ দিয়ে সপ্ত আকাশ জমিন ঢুকে যেতে পারে। এই দেখুন আপনারা যখন রিকশা ভাড়া করেন শুধু মাত্র কমিউনিকেশন গ্যাপের জন্য বিড়ম্বনায় পরেন। আগে রিকশাওয়ালাকে বলবেন কতটাকা ভাড়া নিবে সে। এবং অপনি কোথায় যেতে চান।
স্পষ্ট করে বলুন দেখবেন রিক্সাওয়ালা আপনার সঙ্গে আর ঝগড়া করবেনা। শুধু মাত্র কমিউনিকেশন গ্যাপ এর কারণে বা দক্ষতার অভাবে রাস্তায় সামান্য রিকশা ওয়ালার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পরা হয়। আর অন্য মানুষ দূর থেকে দেখে ভাবে লোকটা কত বড় ছোটলোক।
প্রেমেরক্ষেত্রে ব্যাপারটিতো আরও ভয়াবহ। এই গ্যাপ তিলকে করে তাল সাপকে করে ব্যাঙ।
তারপর ঘটে যায় জীবন মরণ কাহিনী। রোমিও জুলিয়েটের ঘটনা কে না জানে। জুলিয়েট কিন্তু মরেনি। সে এমন অষুধ সেবন করেছে যাতে দীর্ঘসময় জ্ঞানহীন অবস্থায় থাকা যায়। তাকে মৃত বলে কফিনে রেখে গেলে সেখানে রুমিও জুলিয়েট এর মহামিলন হবে।
কিন্তু কি হলো দুইজন থাকে দূরে। টেলিফোন নাই ,পিয়ন নাই, টেলিগ্রাম নাই । ভাল সংবাদ শব্দের বেগে চললে খারাপ সংবাদ চলে আলোর বেগে। জুলিয়েট ঠিকই খবর পাঠিয়েছিলেন রুমিওর কাছে। কিন্তু মারা যাওয়ার সংবাদটি তার কাছে আগে পৌছে।
রুমিও জুলিয়েটের অজ্ঞান দেহ কে মৃতদেহ ভেবে আত্নহত্যা করেন। আর মৃত্যুর পর পর জ্ঞান ফিরে জুলিয়েটের । তার লাশ দেখে আত্নহনন বেছে নেয় সেও। এজন্য কমিউনিকেশন গ্যাপ ভয়ংকর এক গ্যাপ। আর গ্যাপ পূরণ হয়ে যায়।
খারাপ কিছু ঢুকে গ্যাপ পূরণ হলে তো সর্বনাশ।
কাস্টমারকে বুঝোন তার সব কিছুকে বুঝে শুনে নিশ্চিৎ হয়ে কাজ করুণ। দেখবেন আপনি প্রফেশনাল জীবনে সফল। দারুন লেকচার মনোযোগ দিয়ে শুনছেন ট্রেইনিরা। লেকচার শুনে মুচকি হাসি আকাশের মনে।
আকাশ আজকেই কমিউনিকেশন গ্যাপ থিওরীর স্বার্থক ব্যবহার করবে।
রাস্তায় বেরিয়েই রিকশা খুঁজতে থাকে। রিকশার অভাব। রিকশায় করে বাস স্টেশনে যাবে তারপর বাসে করে বাসা। অনেক অপেক্ষার পর একটা রিকশা এলো।
রিকশা ওয়ালাকে সে বলল
এই রিকশা মালিবাগ মোড় যাবে?
যাব স্যার। ওঠেন।
অন্যসময় হলে সে সরাসরি ওঠে পরতো। আজ সে তাকে জিজ্ঞাসা করছে ভাই কত টাকা নিবেন? রিকশাওয়ালা তার কথায় দূর্বলতা খুজে পেল বোধ হয়।
পঁচিশটাকা দিবেন।
বলেন কি? দশ টাকার ভাড়া পচিশ টাকা? পনের টাকা দিব।
কথার ফাকে অন্য একজন পচিশ টাকায় রাজি হয়ে রিকশায় ওঠে চলে গেল।
আকাশ আর রিকশা পেলনা। হাটতে হাটতে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে তারপর বাসে ওঠলো।
স্যারের ওপর তার প্রচন্ড ক্ষোভ।
শীতকালের ওয়াজ সে গরম কালে করেছে। যখন রিকশা এভেইলেবল তখন কমিউনিকেশন গ্যাপ থিওরী এপ্লিকেবল। বরঞ্চ রিকশা কম থাকলে অতি চতুরতার সঙ্গে কমিনিকেশন গ্যাপ সৃষ্টি করে রিকশায় ওঠতে হবে কোন ভাবেই রিকশাওয়ালাকে মুলামুলির সুযোগ দেয়া যাবে না। রিকশাওয়ালাকে পাত্তা না দিয়ে ন্যায্য ভাড়া দিয়ে নেমে পড়তে হবে। কিছুটা ঝুকি তো থাকবেই।
এই যেমন রিকশাওয়ালা অভিশাপ দিতে পারেন। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে নিজে ঠিক তো জগৎ ঠিক। রিকশাওয়ালার অভিশাপ নাল এন্ড ভয়েড হয়ে যাবে। ট্রেইনিং এ স্যারের লেকচার এ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে পরে তাঁকে এটা এক্সপ্লেইন করতে হবে। তবে এটা সত্য গ্যাপ যত বেশি ভোগান্তি ততবেশি।
যেমন কাঁচামালের ক্ষেত্রে মধ্যসত্ত্বভুগির স্তর বেশি হলে জিনিসপত্রের দাম হয়ে যায় আকাশ ছোঁয়া। কৃষক পায়না টাকা। অথচ ভোক্তারা আকাশছোঁয়া দামে জিনিসপত্র কিনতে বাধ্য হচ্ছে। গ্যাপ দিয়ে টাকা উড়ে যাচ্ছে। গ্যাপই সব খেয়ে ফেলছে।
মধ্য সত্ত্ব ভূগীরা ফায়দা লুটে।
আকাশ একটা ব্যাপারে নিশ্চিৎ সুইটির সঙ্গে তার গ্যাপ কমাতে হবে। সুইটির এক ভাইয়ের মাধ্যমে তারা হৃদয়ের ভাব আদান প্রদান করে থাকে।
এই মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে অনেক সময় ভাইটি তাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে যায়। ফেসবুকে চ্যাট করেও খুব একটা ভাল লাগে না।
একটা কথা আছে না । আউট অব সাইট আউট অব মাইন্ড। তাছাড়া নিকট অতীতেই একবার সুইটির সঙ্গে চ্যাট করছে। দারুণ প্রেমবোধ কাজ করছে। মনে হচ্ছিল সুইটিকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে।
ঠিক সেই সময়ে মেসেজ আসে।
বেয়াদপ। চাপকে তোর চামড়া তুলে ফেলব ।
আকাশ আঁকাশ থেকে মাটিতে পরে। জানটুস সুইটি বলে কি? যে তার আদর পাওয়ার জন্য উতলা।
ঠোক বাকিয়ে ,গাল ফুলিয়ে চুমু দিতে বলেছে সে কিনা বলবে বেয়াদব। ? নিশ্চয়ই ওর ভাই শালাটা কথা লাগিয়েছে। ওল্টা পালটা কিছু বলেছে।
সুইটিকে বিয়ে করে ফেলতে হবে দ্রুত। গ্যাপ কমাতে হবে ।
আকাশও খুব বেচেইন থাকে। জানটুস এর মাঝে হারিয়ে যেতে হবে। মিশে যেতে হবে ওর শরীরে ও মনে। আর সহ্য হয়না। নদীর গন্তব্য সাগরে আর আকাশের গন্তব্য সুইটি।
সেই ঘটনার পর কয়দিন আর সুইটিকে ফেসবুকে পাওয়া যায়না। একাউন্ট অকার্যকর। সুইটিকে ভালবাসা জানাতে না পেরে ভাললাগা দিতে না পেরে তার দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা। জানটুসটারও একই অবস্থা। পরে সে একাউন্ট একিটভ করে।
আবার আকাশের সঙ্গে ঘাস ফড়িং এর গল্প শুরু করে। আসলে সে আকাশের কাছ থেকে ভালবাসার কথা শুনতে চায়। আকাশ তার হৃদয়ের আকাশ। নীল রঙের আকাশ। আকাশ আই লাভ ইউ বললে সুইটি বলে চুপ কর।
আকাশ আবারও আই লাভ ইও বলে। সুইটি ভালবাসায় শিক্ত হয়। আহলাদে গদগদ করে। বলে চুপ কর। আসল কথা হলো হোল্ড ই্ওর টাঙ এন্ড গিভ মি লাভ।
আকাশ চুপ করে ভালবাসা দিতে থাকে।
সুইটি তার যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার হেতু বলে । সেইদিন তার বাবা চ্যাট করতে দেখে ফেলে । হাতে নাতে ধরা পরার পর সাইবার পানিশমেন্ট হয়। তার একাউন্ট দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।
সুইটির বাবা এটিও তাকে শুনিয়েছে আকাশের সঙ্গে আর চ্যাট করলে একাউন্ট চিরতরে বন্ধ। আকাশ তার আদরের মেয়েকে তার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে ফেলবে। এসব বলে নাকি তিনি কান্না কাটিও করেছেন। মেয়েকে তিনি জানের চেয়ে বেশি ভালবাসেন। সুইটিও তার বাবাকে আকার ইঙ্গিতে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন।
আকাশের আদর আহলাদ ছাড়া তার একটুও ভাল লাগেনা। পরে প্রচন্ড জ্বর আসে সুইটির। সুইটির বাবা ডাঃ লাভের শরণাপন্ন হন । ডাঃ লাভ তার চিকিৎসার জন্য প্রেসক্রিপশন দেয়। রোগ এর নাম লাভ ক্রাইসিস।
এটা হয় যদি হেট ভাইরাস আক্রমন করে। লাভ সংকট চরমে পৌছলে এমনিতেই হেট ভাইরাস এটাক করে। এটি মারাত্মক আকার ধারণ করলে রোগী সুসাইড খায়। সুইটির কি ভালবাসার কোন উৎস আছে কিনা?
সুইটির বাবা স্বীকার করে তার মেয়ে হিুমু টাইপ একটা ছেলের সঙ্গে প্রেম করে। সেই ছেলের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি অন্ধকার।
জীবনে উপরি কামাই করতে পারবে না। তার মেয়েকে না খাইয়ে মারবে। এক গভীর রাতে তার মেয়েকে ঐ ছেলের সঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় হাতে নাতে ধরে ফেলে। কি বিব্রত পরিস্থিতি। ছেলেটা ইনবক্স করেছে আই লাভ ইও জানুটুস ।
আর সুইটি লাভ সিম্বল সেন্ড করে কম্পি ধরে বসে আছে। সেই হিমু মার্কা ছেলের ছবিতে চুমু দিয়ে ওহ !কি লজ্জার কথা। বাবা বলে চলেছেন ,
" দুঃখ নিয়ে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলাম ,তুমি কাকে লবণের মত ভালবাসো ?"
সুইটি আঁকাশের দিকে তাকিয়ে বলল ,'আকাশকে'।
তাহলে আমাকে কেমন ভালবাসো?
চিনির মত।
''কোথায় চিনি আর কোথায় লবণ।
এত আদর করে মেয়ের কাছে লবণের মত হতে পারেনি এ দুঃখ কোথায় রাখবো? ডায়বেটিস হওয়ার পর থেকে চিনি আতঙ্কে ভূগছি । আর সে কিনা !তাই তার ফেইসবুক একাউন্ট বন্ধ করে দিই। "বাবার কথায় আক্ষেপ ঝড়ছে।
"এসব শুনে ডাঃ লাভ অবিলেম্বে তার একাউন্ট কার্যকর করার পরামর্শ দিয়ে বিদায় নেয়।
ডাঃ লাভের পরামর্শে বাবা একাউন্ট আবার চালু করে দেয়।
" সুইটর কন্ঠে মুক্তির আর বিজয়ের উচ্ছাস ভেসে আসে।
এসব শুনে আকাশ সিদ্ধান্ত নেয় এভাবে আর নয়।
সুইটি তাকে লবণের মত ভালবাসে জেনে সে আহলাদে গদগদ হয়। সে স্পষ্ট ভবিষ্যৎ দেখে সুইটির বনবাস। আর তার বাবার আগমন।
এবং চিনির গুরুত্ব বুঝে সুইটির বাবা হাসিমুখে মৃত্যুবরণ করছে।
সুইটি আকাশ কে তার দেখা স্বপ্নের কথা জানায়। সে স্বপ্নে দেখে সাইবার বিবাহ হচ্ছে তার আর আকাশের। সেই বিয়েটে অনলাইন সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত তালগাছ আর বাঁশপাতা। তাদের বাসর সাজানো হয়েছে একটা ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ওয়ার্ল্ড বেস্ট ওয়েডিং প্যালেসে।
দারুন প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে সে আর আকাশ হার্ডওয়ার থেকে সফ্টওয়ারে রূপান্তরিত হয়ে বাসর শয্যা রচনা করছে। টানা সাতদিন ভালবাসাবাসির পর আবার সফট ওয়ার থেকে ডিভিডি রম থেকে হার্ড ওয়ার হয়ে বের আসছে। তারপর সে আবিষ্কার করে সে মা হতে চলছে। বমি বমি ভাব। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়।
আহা কি মধুর স্বপ্ন। স্বপ্ন শুনে আকাশের ভিতরে প্রেম আসে। এভাবেই আকাশ আর সুইটির প্রেম ভালবাসা কাহন । ডিভিডি রমের দিকে উকি ঝুকি মারতে থাকে আকাশ। কবে এমনটি করা যাবে।
সে মেসেজ পাঠায়
জানটুস আই লাভ ইউ।
চুপ করো।
জানটুস আই লাভ ইউ মোর দেন এনিথিং অন আর্থ।
উপসস। হল্ড ইউর টাঙ এন্ড লেট মি লাভ।
ওভাবে নিশ্বব্দ প্রেমে তাদের সারারাত চলে যায়।
গান বাজতে থাকে এই রাত তোমার আমার। এই চাদ তোমার আমার। শুধু দুজনের। এই রাত শুধু যে গানের।
..........
মধুর রাত গিয়ে নতুন দিনের সূর্য ওঠে। সকাল বেলাতেই বাড়ীতে তুমুল হট্টগোল। বড় ভাবি আর বড় আপার ঝগড়া চলছে। বাড়ির চাবি কার কাছে থাকবে সেটা নিয়ে। বড় ভাবির দল বেশি বড়।
বড় আপা বলতে গেলে একা তার বাচ্চারা তার সমর্থক। অবশ্য বড় মেয়ের আবার বড় ভাবির এক ছেলের সঙ্গে ইটিস পিটিস থাকায় নিরবে বড় ভাবিকেই সমর্থন দিচ্ছে। বাড়ির সবার দাবি যেহেতু বড় ভাবি যে সমস্ত অপরাধের দায় নিয়ে বাড়ির চাবি হাতছাড়া করেছে সেই সমস্ত দোষ আরো বেশি পরিমানে করেছে বড় আপা। সুতরাং বড় ভাবি ই ভাল। এদিক দিয়ে বড় আপা চাবি দিতে নারাজ।
দুই জনের ভিতরে দূরত্ব বেড়েছে ব্যাপক। এই গ্যাপ দিয়ে ঢুকে পরেছে গ্রামের মোরল। মোরল এর লক্ষ্য বান্দর হয়ে ঢুকে ইদুরের রুটি ভাগ করা। এই নিয়ে বড় আপা খুব বিরক্ত তিনি মোরলের প্রবেশকে অনধিকার প্রবেশ এবং নিজের বাড়ির জন্য অপমান জনক বলে এর জন্য বড় ভাবিকে দোষছেন। তার সুস্পষ্ট কথা অত্যন্ত সুকৌশলে বড় ভাবি তার বাড়ির লোক দিয়ে আকাশভিলা ভরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।
সুতরাং কারনে বাড়ীর চাবি বড় আপার কাছে থাকাই যৌক্তিক। এদিক দিয়ে বড় ভাবিও দাবী করেছে তিনি বাড়ির বউ । এটাই তার আসল ঠিকানা। বড় আপা তার শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন এনে বাড়ির পরিবেশ নষ্টের পায়তারা করছে। অবৈধ ভাবে চাবি নিজের কাছে রাখার চক্রান্ত চালাচ্ছেন।
বাড়ীর সব সদস্য মোরল সাহেবের মত ধূরন্দর লোক ঢোকার জন্য বড় আপা আর ভাবীর মধ্যেকার বিরাট গ্যাপকে দায়ী করে একযুগে বিল্লা হয়েছে। তারা আকাশের কাছে ব্যাপারটা নিরসনেরর দায়িত্ব দিতে আগ্রহী। তারা চায় আকাশ বাড়ীর সবাইকে সিদ্ধান্তে আসতে সহায়তা করবে বড় আপা আর বড় ভাবির মধ্যে কে চাবির গোছা শাড়ির আচলে বাধবেন।
আকাশের মাথায় তখন অন্য চিন্তা। সে শরতের আঁকাশ দেখছে।
সেখানে মেঘের দল ভেসে যাচ্ছে । কত সুন্দর দৃশ্য! আকাশ আর জমিনে বিশাল ব্যবধান। সেই ব্যবধানে ঘুচানোর চেষ্টায় মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে হিমালয়। তার ওপরে মেঘমালা। কোন দিন জমিন কি স্পর্শ করতে পারবে আকাশকে।
দিগন্তে কিন্তু আকাশ আর মাটি মিলে মিশে একাকার। নাকি দিগন্তেই হারাবে সে। যেখানে আকাশ আর সুইটির মিলন সাধন হবে!
এসময় রাস্তা দিয়ে একটা কুকুর চলে যাচ্ছে। কুকুরের লেজটা বাকা। সেটা জীবন থাকতে সোজা হয় না।
মরলে তারপর নাকি সোজা হয়। মারা যওয়ার আগে সোজা হলে কত ভাল হত!কুকুরের বাকা লেজ আকাশ একদম পছন্দ করে না। হাতে একটা পাথর নিয়ে বাকালেজওয়ালা কুকুরকে ছুড়ে মারে যা ভাগ। কুকুর মেউ ভেউ ট্য ট্য কু করতে করতে দূরে পালিয়ে যায়।
ব্যাপারটা আঁচ করতেপেরে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।