আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেক্ট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আমার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ: http://bit.ly/gaWV2X

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেক্ট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজী অনুষদের অন্তর্ভূক্ত একটি বিভাগ। এটি কিছুদিন আগেও বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভূক্ত ছিলো। সম্প্রতি গঠিত ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজী অনুষদের অন্তর্ভূক্ত তিনটি বিভাগের মাঝে এই বিভাগটিও একটি। ১৯৬৩ সালে পূর্ব পাকিস্তান টিএন্ডটি'র চেয়ারম্যান এবং যোগাযোগ মন্ত্রী ভাইস চ্যান্সেলরকে একটি চিঠি লেখেন যে তৎকালীন ইঞ্জিনিয়াররা পাওয়ার জেনারেশন ও ডিস্টৃবিউশন সম্পর্কে জানলেও কমিউনিকেশন সম্পর্কে পড়ানো হয় না। আর তাই তিনি অনুরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন এ বিষয়ক একটি বিভাগ খোলা হয় যেখানে মূলত ইলেক্ট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হবে।

এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৫ সালে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয় যার নাম ছিল ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় অধ্যাপক শাহ মোহাম্মদ ফজলুর রহমানকে যিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রিডার। কিন্তু দু;খের বিষয় এই পূর্ব পাকিস্তানের টিএন্ডটি বিভাগেরই কিছু কর্মকর্তা এই বিভাগের ছাত্রদের চাকরী দিতে অস্বীকার করেন। এ বিষয়টি তৎকালীন গভর্নর ও ক্যাবিনেট সচিবের গোচরে আনা হলে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি' গঠন করে। যার প্রধান ছিলেন তৎকালীন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইনাস আলী, দুইজন EPUET বর্তমানে BUET এর শিক্ষক, টিএন্ডটি'র তৎকালীন জেনারেল ম্যানেজার যিনি তৎকালীন EPUET বর্তমানে BUET এর গ্র্যাজুয়েট এবং অপর একজন ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান। স্বাভাবিকভাবেই তিনজন সদস্যই BUET এর গ্র্যাজুয়েট হওয়ার ফলাফল বিভাগটির বিরুদ্ধে যায়।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বিভাগটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ফলিত পদার্থবিজ্ঞান এবং ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগ। ১৯৭৫ সালে চালু করা হয় বি এস সি কোর্স। বলা বাহুল্য নব্য স্বাধীন দেশটির প্রযুক্তিগত উন্নতিতে এই বিভাগের গ্র্যাজুয়েটরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। সময়ের পরিক্রমায় ২০০৫ সালে বিভাগটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেক্ট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। বর্তমানে এ বিভাগের বি এস সি কোর্সে ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়।

সাধারন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় এ বিভাগ যে সুযোগ সুবিধা পায়, তা অন্যান্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের সাথে তুলনা করলে তা খুবই নগন্য। তবুও এ বিভাগের ছাত্র শিক্ষকরা থেমে নেই। এ বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষক এমনকি ছাত্রও আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের পেপার রিভিউ এর সাথে জড়িত। এ বিভাগের ছাত্ররা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন দেশ ও বিদেশের নানা প্রান্তে। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি বাংলাদেশ এস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি প্রকাশ করেছে "THE BIOGRAPHY OF 40 RESEARCHERS OF NASA FROM BANGLADESH"।

যেখানে দেখা যায় ১৫ জনই এই বিভাগের। ২০ জন রয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে, ৩ জন রয়েছেন বুয়েটের ইইই বিভাগ থেকে এবং বাকি দু'জন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান এবং ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগ থেকে। বিশ্বব্যাপী আরো অসংখ্য গবেষক ছড়িয়ে আছেন যারা এই বিভাগের গ্র্যাজুয়েট। সকল সমস্যা জয় করে এই বিভাগ সামনে এগিয়ে যাবে, দেশকে দেবে গর্ব করার মতো অবদান, আজ এই হোক আমাদের প্রত্যাশা। তথ্যসূত্রঃ ১।

http://www.univdhaka.edu/ ২। Click This Link ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো বিভাগের সম্মুখভাগ

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।