আমি কাক নই, আমি মানুষ...
সৌদি নারীদেও ব্যাপাওে বিশ্বব্যাপী একটি গৎবাধা ধারনা প্রচলিত রয়েছে। নেতৃস্থানীয় আরব দেশটির কথা আসলেই সবার মনে যে প্রতিচ্ছবি সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠে তাহলো আপাতমস্তক ঢাকা মহিলা। যাদের কোন ধরনের নাগরিক অধিকার নেই। চারদেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ। পুরুষদের দ্বারা প্রবলভাবে শাসিত একটি একচেটিয়া সমাজব্যবস্থা।
এর মুল কারন আমরা কোন বিষয়কে নিজেদের চোখে দেখিনা। আমাদের দেখতে পশ্চিমা চোখ দিয়ে। পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম আমাদের যেভাবে দেখায় আমরা কোন জিনিসকে ঠিক সেভাবে দেখি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধির পেশকৃত এক রিপোর্টে সেখানকার মহিলাদেও প্রকৃত অবস্থা উঠে এসেছে। সেদেশে নারীদের পরিচালনায় রয়েছে ২০ হাজারের অধিক কোম্পানী।
ব্যাক্তিখাতে পরিচালিত বিনিয়োগের ২১ শতাংশের মালিক নারী। প্রতিনিধি আবদুল ওহাব আতার জাতিসংঘের সাধারন পরিষদের এক বৈঠকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের ৫৬ শতাংশের বেশি এবং ডাক্তারদেও ৪০ শতাংশ নারী। তবে মোট কর্মশক্তির মাত্র ১৪ শতাংশ নারী। জাতি গঠন প্রক্রিয়ায় মহিলাদের ক্রমবর্ধমান ভুমিকার সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। মাহিলাদের নামে ৪৩ হাজারের মত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন রয়েছে দেশটিতে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষি পরিকল্পনায় মহিলাদের জন্য আলাদা চ্যাপ্টার সংযোজিত হয়েছে। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহনের বিস্তারিত পরিকল্পনার বিবরণ রয়েছে সেখানে। সা¤প্রতিক এক সমীা থেকে জানা যায় সৌদি নারি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের পরিমান দাড়িয়েছে ৮’শ কোটি সৌদি রিয়েল। মহিলাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে চার হাজার ৫ শ কোটি সৌদি রিয়েল। এ থেকে বোঝা যায় দেশটিতে নারীদের মতার অংশিদারিত্ব কতটা শক্তিশালি।
তারা ইচ্ছা করলে দেশটির বড় ধরনের ভুমিকা রাখতে পারে। তাদের মালিকানায় যে পরিমান সম্পদ অলস পড়ে রয়েছে তার বিনিয়োগ হলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে দেশটিতে।
চেম্বার বোর্ড অব ডিরেক্টরের এক সদস্য নাশওয়া তাহের জানান চেম্বারের প থেকে তারা সরকারি বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থাগুলোতে মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাবনায় একটি বিস্তারিত স্টাডি চালানোর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। কর্মেেত্র মহিলাদের বর্তমান অবস্থান এবং প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এই স্টাডি পরিচালনার কথা বলা হয়েছে।
২০০৫ সালে মন্ত্রিসভায় মহিলাদের জন্য বেশি করে চাকুরির সুযোগ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে রিয়াদে একটি মহিলা গবেষনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এগিয়ে চলছে ইতোমধ্যে।
সংবাদ মাধ্যম পরিবেশিত চিত্র এবং সৌদি আরবে নারীদের বাস্তব অবস্থার মধ্যে বড় ধরনের একটি ফারাক রয়েছে বলে এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। আরো অনেক কার্যক্রম ইতিমধ্যেই হাতে নেয়া যেগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশটির পরিস্থিতি অনেক বদলে যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।