‘কোন অফিসিয়াল নেই, নেই কোন সঙ্গীও। তবুও দেশের জন্য ব্রোঞ্জ জেতার পর আনন্দে কেঁদে ফেলতে ইচ্ছে করছিলো। দেশ থেকে এখানে আসার সময় ভেবেছিলাম ভালো কিছু করেই ফিরব। শেষ পর্যন্ত সেটা করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। ইচ্ছে করছে এখনই গিয়ে ছুঁয়ে আসি দেশের মাটি।
’ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মোবাইল ফোনে কাঁপা কাঁপা গলায় এভাবেই নিজের অনুভূতি জানালেন তায়কোয়ানডো কালচারাল এক্সপো চ্যাম্পিয়ানশিপে ব্রোঞ্জ পদক জেতা কামরুজ্জামান চঞ্চল।
দক্ষিণ কোরিয়া যাবার সময় একরাশ স্বপ্ন নিয়েই গিয়েছিলেন রাজশাহীর এই কৃতি সন্তান। কামরুজ্জামান চঞ্চল বললেন, গোটা বিশ্ব থেকে হাজার দেড়েক প্রতিযোগীর মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র বাংলাদেশী। একের পর এক রাউন্ড পেরুচ্ছিলেন আর বুকের মধ্য শির শিরে ভাবটা বাড়ছিলো। শেষ পর্যন্ত চুড়ান্ত রাউন্ডে এসে তৃতীয় হলেন।
দেশের মানুষের কাছে খবরটা হয়ত পৌছেছে দু’এক লাইনে। কিন্তু এখানে এখন বাংলাদেশ রীতিমত বিখ্যাত। সহযোগী খেলোয়াড়দের অনেকেই ঈর্ষার চোখে তাকিয়েছেন গলায় ঝুলানো পদকটার দিকে। ওটার জন্য লড়াই তো আর কম হয় নি!
এখনই দেশে ফিরতে মন চাইছে তার। বললেন, ইচ্ছে করছে দেশের মাটি ছুঁয়ে দেখতে।
কিন্তু আমার কাজ এখনো শেষ হয় নি। তায়কোয়ানডো নিয়ে আমি বাংলাদেশকে সামনে এগিয়েছি। আগামী দিনে তরুণরা হয়তো আরো এগিয়ে নেবে দেশকে। সারা জীবন ধরে সে চেষ্টাই করব। ’ সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের প্রতি।
বললেন, দেশের তায়কোয়ানডো খেলোয়াড়দের তিনি সন্তানদের মতই ভালোবাসেন। তার এই আন্তরিকতা আর ভালোবাসার কারণেই তায়কোয়ানডো নিয়ে এতদুর আসতে সাহস পেয়েছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।