ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১ রানের দুর্ভাগ্যজনক হারটির পর আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি পাকিস্তান। ১৪৮ রানেই ছয় উইকেট হারানোর পর ২০০ রানের কোটা পেরোতে পারবে কি না, সেটা নিয়েই জেগেছিল সংশয়। তবে শেষ পর্যন্ত শহীদ আফ্রিদির ২৬ ও ওয়াহাব রিয়াজের ১৮ রানের ছোট ইনিংস দুটির সুবাদে স্কোরবোর্ডে ২০৯ রান জমা করতে পেরেছে পাকিস্তান। যদিও সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে কি না, তা নিয়ে ভালোই সন্দেহ আছে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংসটি খেলেছেন আহমেদ শেহজাদ।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য খুব একটা খারাপ হয়নি পাকিস্তানের। মাত্র ৪ রানের মাথায় নাসির জামশেদের উইকেট হারালেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ ও আহমেদ শেহজাদ। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েছিলেন ৪৮ রানের জুটি। ১২তম ওভারে হাফিজ আউট হওয়ার পরও খুব বেশি আফসোস করতে হয়নি পাকিস্তান সমর্থকদের। কারণ তৃতীয় উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন শেহজাদ ও অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক।
কিন্তু ২৮ ও ২৯তম ওভারে এই দুজনই সাজঘরে ফিরলে বেশ বিপদের মধ্যে পড়ে যায় পাকিস্তান। এরপর আর কোনো বড় জুটি গড়ে তুলতে পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ৪৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১৭০। শেষ পর্যায়ে ২০ বলে ২৬ রান করে পাকিস্তানকে ২০০ রানের কোটা পেরোতে সাহায্য করেছেন শহীদ আফ্রিদি। ওয়াহাব রিয়াজের ১৮ রানের ইনিংসটিও বেশ ভালো অবদান রেখেছে পাকিস্তানের ২০৯ রান সংগ্রহের পেছনে।
১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৪ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ভালোই ভুগিয়েছেন রায়ান ম্যাকলারেন। মরনে মরকেলের ঝুলিতে গেছে তিনটি উইকেট। লেগস্পিনার ইমরান তাহির মাত্র একটি উইকেট পেলেও তাঁর কৃপণ বোলিং পাকিস্তানকে অল্প রানেই সীমাবদ্ধ রাখতে বেশ ভালো ভূমিকা রেখেছে। ১০ ওভার বল করে তাহির দিয়েছেন মাত্র ২৮ রান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।