আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্রেকিং নিউজঃ হাসিনাকে নিয়ে বিপদে যৌথবাহিনী

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

১. হাসিনাকে নিয়ে যৌথবাহিনী মহাবিপদে পড়েছে। রিমান্ডের কথা চিন্তা করে হাসিনা নয়, উলটো তাদেরই গায়ে জ্বর উঠে গেছে। কমান্ডারেরা এখন পর্যন্ত ঠিক করে উঠতে পারে নাই কাদেরকে দিয়ে জেরা করাবে। কেউ তো রাজী হচ্ছেই না, উপরন্তু হাসিনার প্রশ্নব্যাংক সামলানোর জন্য প্রস্তুতি চলছে জোরেসোরে। খালেদার ব্যাপারে তাদের তেমন সমস্যা নেই, ডিপ্লোমেটিক জবাব জানা আছে বিএনপি নেত্রীর, কিন্তু হাসিনার তো অন্য কোন ভাষা জানা নাই, প্রশ্নের জবাবে তার পালটা প্রশ্নে কতক্ষণ টিকতে পারবে যৌথবাহিনী সেটাই এখন প্রধান আলোচ্য বিষয়।

২. আদালত হাসিনাকে দেখে চুপ করে আছেন। একটু একটু দুশ্চিন্তার মেঘ তার চেহারা গ্রাস করে ফেলছে। এটর্নী জেনারেল রিমান্ডের আবেদন জানালেন ভয়ে ভয়ে। হাসিনা একটু ফিক করে হেসে ফেললেন। জজকে বললেন, ভাই, আপনারা নার্ভাস হচ্ছেন কেন? আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

কোথায় যেতে হবে বলুন! ম্যাডাম জজকে ইওর অনার বলুন, এটর্নি জেনারেল এতটুকু কেবল বলতে পারে। হাসিনা এবার হো হো করে হেসে ওঠে। ইউর অনার, আপনি কোন দেশের নাগরিক? আপনি কি বঙ্গবন্ধুর নাম শুনেছেন? আদালত ভর্তি মানুষ উসখুশ করে। জজ সাহেব টেবিলে ঝুঁকে কলম ঠেসে ধরে আছেন কাগজে। তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর ঘোষণা করে হাসিনার দিকে লজ্জিতমুখে তাকিয়ে থাকে মাননীয় আদালত।

৩. প্রথমে এলো ব্রিগেডিয়ার ওয়ান ডট। হাসিনা বসে আছে একটা লাক্সারিয়াস ইন্টারোগেশন রুমে। এসি চলছে, টিভি চলছে, একটা রিভলভিং চেয়ারে হাসিনা ঘুরে ঘুরে দোল খাচ্ছেন। ওয়ান ডট হাসিনাকে সালাম দিলেন, স্লামালাইকুম ম্যাডাম! হাসিনা হাত নাড়িয়ে জবাব দিলেন ইংগিতে, তারপরে চেয়ার থেকে উঠে রুম ঘুরে বললেন, জলিলের জেরা কি তুমি করেছো? ওয়ান ডট কাচুমুচু হয়ে বলে, জ্বি ম্যাডাম! হুম! জলিলকে তো আমি শিখিয়ে দিয়েছিলাম সব এভাবে এভাবে বলতে! ওয়ান ডট হাসিনার পাশে ঘোরে। বলে, ম্যাডাম, তারমানে কি আপনি বলতে চান, জলিল সব মিথ্যে বলেছে? হাসিনা বলে, কি সত্য, কি মিথ্যা, তার বিচারের দায়িত্ব জনগণের! হো হো হো - তার হাসি উপচিয়ে পড়ে চোয়ালে, গমগম করে ওঠে রুমের ওয়ালে।

বুঝলাম না ম্যাডাম! আমি হাসিনা, আমি নীল রক্ত, যা বলি তাই সত্য, আর সব মিথ্যা! ৪. বেশি সুবিধা হচ্ছে না হাসিনাকে জেরা করে। উলটো তার প্রশ্নের জবাব দিতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে যৌথবাহিনী। অথচ সামনে সংস্কারের আগে হাসিনাকে পার্টি থেকে আলাদা করতেই হবে। এভাবে যদি দমন না করা যায়, তবে অন্য পথও জানা আছে সরকারের।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.