প্রায় তিন ঘন্টা অপেক্ষা ও অভিযান শেষে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শেখ হাসিনাকে। সোমবার ভোর সাড়ে চারটা থেকে কয়েকশ নিরাপত্তা কর্মীর সুধা সদন ঘিরে রাখার পর সকাল সাতটা ৩১ মিনিটে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় আওয়ামী লীগ প্রধানকে। দুটি ডার্ক ব্লু গাড়ির একটিতে করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সোজা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল সাতটা ৪৯ মিনিটে হাকিম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের ২২নং আদালতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হাজির করা হয়। আদালতে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেত্রীর পরণে আছে সাদা পোশাক।
আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিল পুলিশ পাহারা। বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের আলোকচিত্র সাংবাদিক ফিরোজ আহম্মদ একটি গাড়ি থেকে হাসিনাকে সাংবাদিকদের দিকে হাত নাড়তে দেখেন। এ সময় তার মুখে ছিল হাসি। শেখ হাসিনাকে সকাল আটটা সাত মিনিটে মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের দ্বিতীয় তলায় ২২ নম্বর আদালতে উপস্থিত করা হয়। এজলাসে তাঁকে চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়।
৮টায় আইনজীবী সানজিদা খাতুন, ফজিলাতুন নেছা বাপ্পী ও কামরুল ইসলাম শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন। সিনিয়র প্রতিবেদক প্রকাশ বিশ্বাস আইনজীবীদের কাছে শেখ হাসিনাকে বলতে শুনেন -- 'আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না বলে সরকার এসব মামলা দিচ্ছে। ' অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী হাসিনাকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকেন। এ সময় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী তাঁকে সাত্ত্বনা দিয়ে বলেন, ''তুই কাঁদছিস কেনো? আমার মেয়েকে দেখতে যেতে দেওয়া হয়নি। আমি তো কাঁদছি না।
ওরা আমাকে সাজা দিয়ে নির্বাচনে লড়তে দেবে না। এগুলো সব সাজানো মামলা। '' আদালতের এজলাশে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। পুলিশসহ কয়েকজন আইনজীবী ছাড়া সাংবাদিকদের শেখ হাসিনার কাছে ভিড়তে দেওয়া হচ্ছে না। হাসিনা আদালতের কক্ষে প্রবেশের পর তাঁকে কাঠগড়ায় যেতে বলা হলে তিনি পুলিশকে বলেন, "এতো তাড়াতাড়ির কী আছে।
আদালত তো শুরু হয়নি। " শেখ হাসিনা পরে আইনজীবীদের চেয়ারে গিয়ে বসেন। আইনজীবীরা সব শেখ হাসিনার জামিনের জন্য কাগজপত্র তৈরি করছেন। হাকিম মোসাম্মাৎ কামরুন্নাহার খাস কামরায় অবস্থান করছেন। এদিকে আইনজীবীদের ২২ আদালতের কক্ষে ঢ়–কতে দেয়া হচ্ছে না।
এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আইনজীবীদের কথাকাটাকাটি হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।