মেরেছিস কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দিব না!
সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন প্রকার তাগুত
সমগ্র কোরআনে ৫ প্রকার তাগুতের সন্ধান পাওয়া যায়
১. নাফস ও হাওয়া
নাফস অর্থ প্রবৃত্তি আর হাওয়া হচ্ছে কুপ্রবৃত্তি। দেহের যাবতীয় দাবীকে একসাথে নাফস বলা হয়। যে দাবী মন্দ তাকেই হাওয়া বলে। দেহের ভালো ও মন্দের কোনো ধারণা নেই, এ ধারণা আছে বিবেকের। রুহের সিদ্ধান্তই বিবেক।
বিবেক যাচাই করে বলে কোনটা ভাল দাবী কোনটা মন্দ। সুরা ইউসুফের ৫৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে
إِنَّ النَّفْسَ لأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ অর্থ: নিশ্চয়ই নাফস মন্দেরই হুকুম দেয়।
আল্লাহর নাফরমানির জন্য তাগিদ দেয় এজন্যই নাফস তাগুত।
যদি কেউ আল্লাহর বান্দা হতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই নাফসের দাবীকে অস্বীকার করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নাহলে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার পরও সে নাফসের গোলাম থেকে যাবে।
সে আল্লাহকে ইলাহ বা হুকুমকর্তা স্বীকার করার পরও নাফস বা হাওয়াকে ইলাহ হিসেবে মেনে চলবে। সুরা ফুরকানের ৪৩ নং ও সুরা জাছিয়ার ২৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে : তুমি কি তাকে দেখেছো, যে তার কু-প্রবৃত্তিকে ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করেছে?
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।