আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামী দৃষ্টিকোণে : তাগুত (পর্ব২)

মেরেছিস কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দিব না!

আল কোরআনে তাগুত সম্পর্কিত আলোচনা হয়েছে মোট ৮টি স্থানে ১. দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জোর জবরদস্তি নেই। প্রকৃত শুদ্ধ ও নির্ভুল কথা সুস্পষ্ট ও ভুল চিন্তা ধারা হতে সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে গেছে। এখন যে কেউ তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে, সে এমন শক্তিশালী অবলম্বন ধরেছে যা কখনই ছিন্ন হবার নয় এবং আল্লাহ (যার আশ্রয় সে গ্রহণ করেছে) সবকিছু শ্রবণ করেন এবং সবকিছু জানেন। (সুরা বাকারা: ২৫৬) ২. যারা ঈমান আনে, তাদের সাহায্যকারী ও পৃষ্টপোষক হচ্ছেন আল্লাহ; তিনি তাদেরকে অন্ধকার হতে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর যারা কুফরী অবলম্বন করে, তাদের সাহায্যকারী ও পৃষ্টপোষক তাগুত।

উহা তাহাদেরকে আলো হতে অন্ধকারের দিকে টেনে নিয়ে যায়। এরা হবে জাহান্নামী, সেখানে তারা চিরদিন থাকবে। (সুরা বাকারা : ২৫৭) ৩.হে নবী, তুমি কি সেইসব লোকদের দেখো নাই, যারা দাবী করে যে আমরা ঈমান এনেছি সেই কিতাবের প্রতি, যা তোমার প্রতি নাযিল হয়েছে এবং যা তোমার পূর্বে নাযিল হয়েছিল, কিন্তু তারা নিজেদের যাবতীয় ফায়সালার ব্যাপারে তাগুতের নিকট পৌছতে চায়। অথচ তাগুতকে সম্পূর্ণ অস্বীকার ও অমান্য করতে তাদেরকে আদেশ দেয়া হয়েছিল। মূলত শয়তান তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে সত্য ও সঠিক পথ হতে বহু দূরে নিয়ে যেতে চায়।

তাদেরকে যখন বলা হয় যে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সেই দিকে আসো এবং রাসুলের নীতি গ্রহণ করো, তখন এই মুনাফিকদের তুমি দেখতে পাবে যে তারা তোমার নিকটে আসতে ইতস্ততঃ করছে এবং পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। (সুরা নিসা : ৬০) ৪. যারা ঈমানের পথ গ্রহন করে তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে আর যারা কুফরী পথ অবলম্বন করে তারা লড়াই করে তাগুতের পথে ( সুরা নিসা :৭৬) ৫. তুমি কি সেই লোকদের দেখো নাই, যাদেরকে কিতাবের জ্ঞানের একাংশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের অবস্থা এই যে তারা জিবত ও তাগুতকে মেনে চলছে এবং কাফেরদের সম্পর্কে বলে যে ঈমানদার লোক অপেক্ষা এরাই তো সঠিক পথে চলছে। বস্তুত এইসব লোকের উপর আল্লাহতায়ালা লানত করেছেন, তারা কোনো সাহায্যকারী পাবে না (সুরা নিসা-৫১) ৬.যারা তাগুতের দাসত্ব করা থেকে দূরে থাকে এবং আল্লাহর অভিমূখী হয়, তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ (সুরা যুমার :১৭) ৭. আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রসুল প্রেরণ করেছি এই নির্দেশ দেয়ার জন্য যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাগুত থেকে দূরে থাকো (সুরা নাহল :৩৬) ৮. বলুন, আমি তোমাদেরকে বলি, কাদের জন্য মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধান্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানরে ও শুকরে রূপান্তরিত করেছেন এবং যারা তাগুতের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক থেকে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকে অনেক দূরে । (সুরা মায়ীদা : ৬০) (চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.