নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
প্রাকটিক্যাল ক্লাসে সোডিয়াম ক্লোরাইড রাসায়নিক বিশ্লেষন হচ্ছে। প্রাকটিক্যাল্লি সোডিয়াম ক্লোরাইড তৈরী করতে হবে । ক্লাস হচ্ছে, হঠাঃই ক্লাস মেট প্রস্তাব দিল যদি কিছু সোডিয়াম বাসায় নিয়ে যেতে পারি তাহলে বাসায়ও প্রাকটিস করা যাবে, যেমন ভাবা তেমন মস্তিষ্ক তেমনই কাজ। সাথে সাথে কিছু সোডিয়াম পকেটে নিয়ে নিলাম একসাথে ৩জন। বেশ প্রফুল্লই লাগছিল এই ভেবে বাসায় গিয়েও প্রাকটিক্যাল করা যবে।
কিছুক্ষন বাদেই ৩জনেই এক অপরের দিকে তাকাতাকি, কি ব্যাপার যা হচ্ছে ৩ জনের পকেটেই পুরোটা হচ্ছে। পকেটের উত্তপ্ত বাড়ছে তো বাড়ছেই, পরিস্থিতি অসহনীয় মাত্রাই পৌছে গেল, সহ্য করতে না পেরে ওয়াশ রুমে যাবার জন্য অনুমতি চাইলাম, তাও একে একে ৩জনই, টিচার বেশ আশ্চর্যই হলেন, একসাথে ৩জনের বাহিরে যেতে দেখে। যাই হোক ওয়াশ রুমে এসে যখন পকেট থেকে সোডিয়াম দানা বের করেছি ততক্ষনে পকেটে একটা করে ছিদ্র হয়ে গিয়েছে। ব্যপারটা বোঝার আগেই সবকিছু এতই দ্রুত ঘটছিল যে নিজের শরীর পোঢ়ার ভয়ে প্যান্টের পকেট ছিদ্র হওয়ার কথা বেমালুম ভূলে গেলাম। পরিস্থিতি কোন রকম সামলে পুনারায় ক্লাসে ফিরে এলাম।
যখন ঢুকছি তখন সবাই আমাদের দিকে এমনভাবে তাকিয়ে ছিল যেন নিজেদেরকেই অপরাধী লাগছিল। যদিও বিষয়টি কেউ আচ করতে পারেনি ততক্ষনে।
টিচার লেকচার দিয়েই চলেছেন। এক পর্যায়ে সোডিয়াম সুন্ধ্যে বিশ্লেষনে বললেন “সোডিয়াম বাহিরে রাখলে তা ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে থাকে ......................”
মাঝ দিয়ে আমাদেরই ৩জনের একজন বলে বসল “স্যার লেকচারটা একটু আগে দিলে ভালই হত, প্যান্টের পকেটটা আর ফুটা হতনা”
আমরা তিনজন তো ততক্ষনে হাসতে হাসতে শেষ। বাকী সবাই আমাদের দিকে শুধু তাকিয়েই রইল।
টিচারও লেকচার বন্ধ করে আমাদের ৩জনের দিকে তাকিয়েই রইল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।