আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশ-বিদেশের চা - তৃতীয় পর্ব

হেথায় কিছু লিখব বলে চায় যে আমার মন, নাই বা লেখার থাকল প্রয়োজন!

ব্যক্তিগত ভাবে আমি চা খাওয়ার ব্যাপারে বেশ অনভ্যস্ত৷ আব্বু প্রায়ই বলতেন, ছোটদের বেশি চা খাওয়া ভালো নয়৷ তাছাড়া আমার নিজেরও চায়ের ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহ ছিল না৷ কাজেই একটু বড় হওয়ার পর থেকে যখন বাসায় কেউ আসলে বা কারো বাসায় গেলে যখন ভদ্রতা দেখানোর জন্য এককাপ চা খেতে হয়, তখন দেখা যায় সবার চা শেষ, শুধুমাত্র আমি কাপে ফুঁ দিচ্ছি৷ তখন আমার কাছে বেশ অবাক লাগে এই ভেবে যে, চা খাওয়ার মধ্যেও অভ্যাসের একটা ব্যাপার আছে! অভ্যাস না থাকলে সামান্য এক কাপ গরম চা খেতেও অনেক সময় লেগে যেতে পারে৷ চা খাওয়ার ব্যাপারে অভ্যাস যে কত বড় ভূমিকা পালন করে, সেটা অবশ্য আমি আরো কয়েক বছর আগেই বুঝেছিলাম৷ ব্যাপারটা বুঝেছিলাম মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ‘বিজ্ঞানের একশ মজার খেলা’ নামক বইটি পড়ার পর৷ বইটিতে লেখা ছিল, মানুষ তার দুই ঠোঁটের বহির্ভাগ দিয়ে চা স্পর্শ করে খেতে পারে না৷ কারণ, সে জায়গায় চা বা অন্য গরম কিছু স্পর্শ করানোর অভ্যাস তার নেই৷ বইটি পড়ার পর আমার ইচ্ছে হল, কথাটি সত্য কি না, একটু পরখ করে দেখি৷ যেই ভাবা, সেই কাজ৷ ধূমায়িত এক কাপ আগুন-গরম চা নিয়ে, ঠোঁট দুটোর সম্মুখ অংশ যেই না একটু কায়দা করে তাতে স্পর্শ করেছি, অমনি এক গগনবিদারী চিৎকার! মানুষ ছ্যাঁকা খায় প্রেমিকার কাছ থেকে, আর আমি কি না খেলাম সামান্য এক কাপ চায়ের কাছ থেকে! এর চেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার আর কি হতে পারে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।