যা বুঝি, যা দেখি, যা শুনি এবং যা বলতে চাই
(এটা মন্তব্য থেকে জন্ম নেয়া পোস্ট। কৌশিকের পোস্ট ও তাতে সন্ধ্যাবাতির মন্তব্যেরই মূলত: প্রতিক্রিয়া পোস্ট এটি। )
কৌশিকের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাই যে সচলায়তনের উদ্যোক্তারা এখনও সবার লেখার জন্য সাইটটি উন্মুক্ত করেননি। তবে পড়তে পারবেন সবাই। ভালো লেখা দিয়ে যাতে সাইটটির মূল চারিত্র তৈরি হয় ও তা বজায় থাকে সেজন্য উদ্যোক্তারা খুব সাবধানী পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
সুতরাং তারা ধীরে ধীরে এগুচ্ছেন। এজন্য হয়তো মনে হচ্ছে রেস্ট্রিকটেড, তবে তা সাময়িক ব্যবস্থা। ফালতু, দৃষ্টি আকর্ষণকারী পোস্ট বন্ধ করতে সচলায়তনে যেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা ভালো লেখালেখির জন্য দরকারি বলেই মনে করি।
সন্ধ্যাবাতি, সচলায়তনের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তাদেরকে আপনি ষড়যন্ত্রের যে দোষারোপ করলেন তা কিছুটা আমার ঘাড়ে পড়ে বলেও জবাব দিচ্ছি। মানবেন নিশ্চয়ই সামহোয়ারে আমি প্রচুর লিখি এবং এখনও তালিকার উপরের দিকেই আমার নাম।
সুতরাং সামহোয়ারের প্রতি আমার ভালবাসা আপনার মতই। অরূপ, মাহবুব মুর্শেদ, ভাস্কর, রাগইমন তাদের ভালবাসাও কম এমন মনে হয়নি কখনও। কীভাবে সামহোয়ার ইনকে আরো ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলা যায় সে নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে অনেক মিটিং-সিটিংও করেছি। এ সবকিছুর পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল লেখালেখির একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যেখানে ভালো লেখা পড়া যাবে ও লেখা যাবে। কী কারণে আজ সামহোয়ারের পরিবেশ ঠিক তার বিপরীত তার কারণ-অনুসন্ধান করতে গেলে গবেষণার প্রয়োজন।
আড্ডাবাজ, শুভ, রাসেল, অমি রহমান পিয়াল, সুমন চৌধুরী, হিমু, তীরন্দাজ, কনফুসিয়াস, উৎস, ধুসর গোধূলি, হাসান, রাগিব, হাসিব, মুখফোড়, হাসান মোরশেদ, অপ বাক, দীক্ষক দ্রাবিড়, শমিত, আরিফ জেবতিক, হযবরল, হাসিব, মাশীদ, নজমুল আলবাব, প্রজাপতি, অমিত আহমেদ, মুহাম্মদ জুবায়ের, ঝরাপাতা, আনোয়ার সাদাত শিমুল, মাসকাওয়াথ আহসান, যূথচারী, সৌরভ, সুমেরু, দ্রোহী, অলৌকিক হাসান বা আরো অন্যান্য যেসব ব্লগাররা (দু:খিত চট করে যাদের নাম মনে পড়ছে না) সচলায়তনের মত লেখার প্ল্যাটফর্ম পেয়ে বা তৈরি করে উৎফুল্ল তারা যত বেশি লেখার জায়গা থাকবে ততো খুশিই হবেন। অখুশি হবেন না। এদের অনেকেরই আগে থেকেই লেখার অভ্যাস ছিল বা অন্য ব্লগসাইটে লিখতেন। সচলায়তন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা করে এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি ও রাজনৈতিক প্রচারণাকে অপছন্দ করে। এই মূলনীতিতে আপত্তি না থাকলে সন্ধ্যাবাতিও আবেদন করতে পারেন সদস্য হওয়ার জন্য।
কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই বিবেচনা করবেন। তবে আস্তমেয়ের বিষয়ে তারা আগ্রহ দেখাবেন না বলেই মনে করি।
সচলায়তন যে সামহোয়ারের বিকল্প ফোরাম ভেবে তৈরি করা হয়নি তা সচলায়তনের ওয়েবসাইটের জন্মতারিখ দেখলেই বুঝবেন। এই উদ্যোগ অনেক আগের।
সামহোয়ার ছেড়ে চলে আমরা সচলায়তনে গেছি এমন আমরা অনেকেই মনে করি না।
(যারা ঘোষণা দিয়ে সামহোয়ার ছেড়েছেন তাদের কারণ হয়তো ভিন্ন)। বরং মনে করি যেরকম পরিবেশ লেখালেখি বা ব্লগিং-এর জন্য দরকার তা যাতে পাই সেজন্য আমরা সচলায়তন তৈরি করেছি। সামহোয়ারে যথাযথ লেখার পরিবেশ আমরাই গড়েছিলাম। বিচিত্র বিষয়ে আমরাই লিখছিলাম, মন্তব্য করছিলাম, লেখার অনুপ্রেরণা দিচ্ছিলাম ও পেয়েছিলাম নিজেদের কাছ থেকেই। এখন সামহোয়ারে পরিবেশ সৃজনশীল লেখার জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে।
কিন্তু সচলের অনেকেই তাদের লেখা সামহোয়ারে রেখে আসেন পাঠকের জন্য। আমিও রাখি। (বলা ভালো, দীর্ঘদিন ব্লগিং করার উৎসাহ পাইনি সামহোয়ারের পরিবেশের কারণে। আবার এখন সচলায়তনের পরিবেশের জন্য নতুন করে প্রেরণা পাচ্ছি। )
কিন্তু সচলায়তনের পরিবেশের কারণে তৈরি লেখা সামহোয়ারে রাখলেও তেমন এদকি-ওদিক হয় বলে মনে হচ্ছে না।
আমার এসব লেখা এখন আর সামহোয়ারের মূলধারায় পড়ে না, কষ্টটা ব্লগার হিসেবে আমারই বেশি। আমাদেরই বেশি।
মন খুলে ফুল বা হুল ফোটান সামহোয়ারে আপত্তি করি না, তবে ভালো লেখার জন্য আসুন সচলায়তনে। সাদর আমন্ত্রণ।
ঠিকানা: সচলায়তন. কম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।