নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
ছোট বেলায় বাসার ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে খুব আনন্দ পেতাম। বাবা মার চোখের সামনে পড়ালেখা ফাকি দেবার মোখ্যম উপায় এটি। কারণ ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে জোড়ে জোড়ে দোআ করতাম ” আল্লাহ আজ যেন হারিকেনে তেল না থাকে, তেল থাকলে যেন ম্যাচ না থাকে, ম্যাচ থাকলে যেন ম্যাচের কাঠি না থাকে” দেখা যেত অনেক সময় এই দোআ ফলে যেত, তখন আনন্দের আর সীমা থাকতনা। সাথে সাথে ঘরের বাহিরে বের হয় বন্ধুদের সাথে ওই সময়টুকু পার করা। যেহেতু একই এলাকায় একই ক্লাসের অনেকে থাকতাম তাই মজাটা আরো হত।
আর বাবার বাইসাইকেলের চাবিটা কোন রকম হাতে পেলে তো আর কথাই নেই, পুরো এলাকা কয়েক চক্কর।
আজ যখন এ বয়সে তখন সে আনন্দটা আর পাইনা যদি না ইলেকট্রিসিটি চলে যায় আমরা যাকে বলি লোড শেডিং, বরং আরো বিরক্তই হই যদি কোন কাজ পিসিতে করতে থাকি। বাবা মাকে ফাকি দেয়ার প্রশ্ননই আসেনা, হয়তবা যেটুকুন সময় এ বিদ্যুতের অভাবে কিছুটা বিরতি পাই ততক্ষন বাবা মায়ের কাছে থেকে সময় বের করার সময়টুকু পেয়ে যাই। যান্ত্রিকতার এই জীবনে যন্ত্রের মত এই শরীরটাকেও কিছুটা বিশ্রাম দেয়ার সময় বের করা যাই এই লোডসেডিং এর কল্যানে, হয়তবা কখনো এই সময় এমপিফোর এর হেড ফোনটা কানে দিয়ে বিনোদনের ছোয়াও কিছুটা নেয়া যায়। লোডসেডিং কে তাই এনজয়ও করি।
পুরোনো দিনে ফিরে গিয়ে আজকের সাথে পার্থক্যকে খুব বেশী ভাবনায় এনে দেয়। স্মৃতি এমনই কখনো পোড়ায়, কখনো হাসায়, কখনো বা কাদায়। ফেলে আসা দিনগুলো বড্ড বেশী মনে পড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।