সংখ্যাই কি সব? প্রশ্নটা উঠছে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো গোলসংখ্যায় ইউসেবিওকে পেরিয়ে যাওয়ার পর। পর্তুগালের হয়ে ইউসেবিও করেছিলেন ৪১ গোল। রোনালদোর গোল এখন ৪৩। শুধু তা-ই নয়, পর্তুগালের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা থেকেও মাত্র চার গোল দূরে। ফলে রোনালদো যে শিগগিরই সেই রেকর্ডটাও নিজের করে নেবেন, এ তো বলাই বাহুল্য।
তাহলে রোনালদোই কি পর্তুগালের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়?
এমন কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদের পক্ষে নেই পর্তুগালেরই আরেক কিংবদন্তি লুইস ফিগো। কেবল সংখ্যা দিয়ে ইউসেবিওর সঙ্গে রোনালদোর তুলনা চলে না বলে অভিমত তাঁর। তা ছাড়া, ইউসেবিও অন্য এক উচ্চতার, তাঁকে ছোঁয়াও সম্ভব নয় বলে মনে করেন ফিগো, ‘এটা কুিসত একটা তুলনা। আমি মনে করি না ইউসেবিওর সঙ্গে কারও তুলনা চলে। তিনি আমার কাছে সম্রাট।
’
এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আরেক খেলোয়াড়ের তুলনার প্রথাতেই ঘোর আপত্তি ফিগোর, ‘ইউসেবিও, রোনালদো, ফিগো, ম্যারাডোনা কিংবা অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের মধ্যে কে সেরা, সেটা নির্ধারণ খুবই মনঃকল্পিত একটা ব্যাপার। কারণ, প্রত্যেকেরই নিজস্ব মত আছে। ’
ক্যারিয়ারজুড়েই গোলের বন্যা বইয়ে দেওয়া ইউসেবিও ৪১ গোল করেছিলেন মাত্র ৬৪ ম্যাচে। তাঁকে পেরিয়ে যেতে রোনালদোকে খেলতে হয়েছে ১০৬টি ম্যাচ। তা ছাড়া ফিগো আরেকটি যুক্তি দেখাতেই পারতেন।
পর্তুগালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েও পলেতাকে কজন চেনে?
এমনি তো আর বলা হয় না, পরিসংখ্যানের মতো গর্দভ আর কিছু নেই!।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।