নাহ্, সেপ ব্ল্যাটার চেষ্টা করে যেতে পারেন, কিন্তু তাতে লাভ হবে না বোধ হয়। এ ‘অপরাধে’র যে কোনো ক্ষমা নেই রোনালদোর কাছে!
মাস দেড়েক আগে অক্সফোর্ড ইউনিয়নের একটা বক্তৃতায় হঠাৎ বলে ফেলা একটা কথার জের যে এত দিন ধরে টানতে হবে, সে কি আর জানতেন ফিফা সভাপতি! মাঠে রোনালদোর আচরণ কমান্ডারদের মতো, খেলার চেয়ে চুলের যত্নের দিকে বেশি মনোযোগ—ব্ল্যাটারের কথাগুলো ‘বিদ্রূপ’ হিসেবেই নিয়েছিলেন রোনালদো। সেভিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচে গোল করার পর কমান্ডারের মতোই স্যালুট দিয়ে ক্ষোভটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রোনালদো। তিনি নিজে মুখে কিছু না বললেও তাঁর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ব্ল্যাটারের মন্তব্যকে ‘অশোভন ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে তীব্র প্রতিবাদ করেছে।
ভুল বুঝতে পেরে রিয়াল উইঙ্গারের সঙ্গে আপসের একাধিক চেষ্টা করেছেন ব্ল্যাটার।
এখানে-সেখানে পরে রোনালদো স্তুতিতে মেতে উঠেছেন, টুইটারে ক্ষমা চেয়েছেন। সর্বশেষ গুঞ্জন, ক্ষমা চাইতে নাকি রোনালদোর কাছে ফোনও করেছিলেন ব্ল্যাটার। পরশু স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কার পাঠকদের ভোটে ২০১২-১৩ লা লিগার সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাওয়ার রাতে রোনালদোর কাছে তাই জানতে চাওয়া হয়েছিল, সত্যি ব্ল্যাটার তাঁকে ফোন করেছিলেন কি না? পর্তুগিজ উইঙ্গারের জবাবটা শুনুন, ‘আমার ফোন নেই, আমি ফোন ব্যবহার করি না। আমার সহকারীর ফোন আছে। ওর কাছে যদি করেও থাকেন, সে হয়তো আমাকে বলতে ভুলে গেছে!’
বলার সময় মুখে হাসি।
কিন্তু সে হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা ক্ষোভটা তো স্পষ্টই বোঝা গেল। ফিফা সভাপতির সঙ্গে সম্পর্কটা এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে ব্যালন ডি’অরের পুরস্কারের রাতে রোনালদো আদৌ জুরিখ যাবেন কি না, এ নিয়েও এখন সন্দেহ দানা বাঁধছে। জানতে চাওয়া হয়েছিল সরাসরি তাঁর কাছেই। প্রসঙ্গটা একেবারেই এড়িয়ে গিয়ে রোনালদোর জবাব, ‘গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মার্কার দেওয়া এই পুরস্কারটা উপভোগ করা। আমি ডি স্টেফানোকে ধন্যবাদ দিতে চাই।
আমার হাতে পুরস্কার তুলে দিতে তিনি নিজে এখানে এসেছেন। আমার জন্য এটা খুবই আনন্দের ব্যাপার। আমি তাঁর খেলার ভিডিও দেখেছি। তিনি একজন কিংবদন্তি। ’ যেন ব্যালন ডি’অর, ব্ল্যাটার এসব নিয়ে ভাবার সময়ই নেই তাঁর!
অবশ্য এসবের পরও ফুটবলানুরাগীদের একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন ব্ল্যাটার! রোনালদোর সাম্প্রতিক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে অনেকেই যে ভূমিকা দেখছেন তাঁর ওই মন্তব্যের।
মাঝে একটু চোট পেয়ে কিছুদিনের জন্য মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরশু ডি স্টেফানোর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার পর রোনালদো সুসংবাদটাও দিয়ে দিলেন, ‘চোটটা সেরে গেছে। গত দুই দিন আমি খুব ভালো বোধ করছি। ভ্যালাদোলিদের সঙ্গে খেলে আমি কোনো ঝুঁকি নিতে চাইনি। কিন্তু পরের ম্যাচটা অবশ্যই খেলব।
আমি দারুণ ফর্মে আছি আর মৌসুমের শুরুতেই এমন ফর্ম ক্যারিয়ারেও আগে কখনো আসেনি। ’
রোনালদোর এমন দুর্দান্ত ফর্মের পরও অবশ্য লা লিগায় তৃতীয় স্থানে রয়ে গেছে রিয়াল। বার্সেলোনার সমান পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (গোল ব্যবধানে এগিয়ে বার্সা)। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের খেলায় মুগ্ধ রোনালদোও। তবে শেষ পর্যন্ত শিরোপাটা তাঁর দলই জিতবে বলে বিশ্বাস রিয়াল উইঙ্গারের, ‘আমি অবাক হইনি ওদের পারফরম্যান্সে।
গত মৌসুমেও ওরা শক্ত দল ছিল। ভালো কোচ, ভালো খেলোয়াড়, ভালো গোলরক্ষক সবই আছে ওদের। তবে আমি নিশ্চিত এবার শিরোপা মাদ্রিদই জিতবে। ’ ওয়েবসাইট।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।