আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকমন পেয়ার: নেকাবের আড়ালে ফিসফাস, এক অদ্ভুত সৎ প্রচেষ্টা!

। । । ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো । ।



[ নোট: এটি নতুন কোন পোস্ট নয়। আগের 'পাকমন পেয়ার: আস্তমেয়ের শেঁকড় সন্ধানের অনাদায়ী দেনা সঞ্চিতি" পোস্টে করা আস্তমেয়ে/সন্ধ্যাবাতির সর্বশেষ মন্তব্যগুলোর প্রতিক্রিয়া মন্তব্য। সেখানে মন্তব্যের সংখ্যাবৃদ্ধির কারণে পেজ লোড নিতে সময় লাগছে, আমার মন্তব্যও দীর্ঘ হয়ে গেছে। তাই আলাদা পোস্টে মন্তব্য।

] আস্তমেয়ে/সন্ধ্যাবাতি: "এক ধরণের ক্লান্তি বা অভিমানবোধ" পেরিয়ে ৩৫ দিন পর "চিন্তা ভাবনা গুছিয়ে" বলতে এসে যা লিখলেন তার প্রথম দু'টি শব্দের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। এ পোস্টকে আপনি বলেছেন "প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া"। কেনো - 'প্রাথমিক' কেনো? আমি কী অন্য কোথাও ভিন্ন কোন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি? স্পষ্ট করে বলি - পোস্টটি আমার 'প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া' নয়, 'চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া'। অহেতুক তর্ক বাড়াতে ইচ্ছে করছে না। আপনি যেসব 'পয়েন্ট ধরে' কথা বলেছেন আমিও ঐসব 'পয়েন্ট ছুঁয়ে ছুঁয়ে' বলার ইচ্ছে রাখি - ১) সামহয়্যারের বাইরে লিখেছেন বলে আপত্তি করেছি।

করার কারণটা খুব সহজ ভাবনা। 'পাকমন পেয়ার' আমার 'মস্তিষ্কপ্রসূত', এর পাঠক সমালোচকদের সকল মতামত আমার দায়। অথচ, আপনি আপনার অনুযোগ আমার ব্লগে জানালেন না, আলাদা পোস্ট দিলেন না। বরং নেকাবের আড়ালে ফিসফাস করার মতো করে - 'শেঁকড়ের সন্ধানে' ব্লস্পটে 'সাহিত্যে নব্য রাজাকার - ১' লিখলেন ১৪ এপ্রিল ২০০৭এ। লেখাটি লিখে কিন্তু আমাকে জানাননি যে - "শিমুল, পাকমন পেয়ার নিয়ে অমুক লিংকে আমার কিছু কথা ছিল।

" জানাননি। জানাননি। জানাননি। বরং এই সামহয়্যারেই মুক্তিযুদ্ধ/রাজাকার প্রসংগে তর্ক করতে গিয়ে কোন এক ব্লগারের পোস্টে কমেন্টের ঘরে 'শেঁকড়ের সন্ধানে'র লিংক দিয়েছিলেন ২২/২৩ এপ্রিলে। আমি জানলাম আরো কয়েকদিন পর।

ততদিন পর্যন্ত আমি 'ভয়াবহ ট্যালেন্টেড' ব্র্যান্ডিং পেয়ে বসে আছি। বেচারা শিমুল, একবারও জানলো না কী পদক সে পেলো!!! আস্তমেয়ে, এরপরও কি আমি মেনে নিবো - নিজের ভাবনাগুলো গুছিয়ে লেখার জন্য ওটা আপনার সৎ প্রচেষ্টা ছিল? আবারো জিজ্ঞেস করি - 'সৎ প্রচেষ্টা' ছিল? ব্যক্তিগত ব্লগে 'মারাত্মক বায়াসড' হয়ে অগোচরে আমাকে অপবাদ দেয়া আপনার সৎ প্রচেষ্টা!!! ব্লগে পোস্ট না দেয়ার যে কারণ উল্লেখ করেছেন তা মেনে নিতে পারলাম না। 'চিন্তাভাবনায় ব্যক্তিগতভাবে' আঘাত এড়ানোর লজিক কতটুকু গ্রহণযোগ্য? কারণ 'সন্ধ্যাবাতি' তখনো ব্লগে জ্বজোল্যমান। 'ভয়াবহ ট্যালেন্টেড' শিমুল কতোই বা আর আঘাত করতো? এখন যা আঘাত করছি (যদি করে থাকি!) তার চেয়ে বেশী? আর ম্যানিপুলেশনের সুযোগের শংকা? হা হা হা। আসল ম্যানিপুলেশনটা কে করলো? ভেবেছেন? 'আস্তবিরোধী মুক্তিযুদ্ধ' কথাগুলো আজ প্রথম শুনলাম।

এ শব্দদ্বয় কার অভিমত? কোনো ব্লগারের নাকি আপনার? দু:খিত, 'মুক্তিযুদ্ধ' শব্দটার এমন প্রয়োগ আমার সমর্থন পাবে না। ২) এ পয়েন্ট পরের কমেন্টগুলোয় সম্পুরক হিসেবে আসবে। ৩) রাজনীতি অথবা প্যারানয়া সৃষ্টির মাধ্যমে ভয় দেখানো প্রসংগে। আপনি মন্তব্য সব কোট আনকোট করেছেন, কিন্তু একটা লিংকিং লাইন বাদ দিয়ে গেছেন - "যে লেখাটা একবারও পড়েছে, তার মাথায় এটা থাকবে। " আপনার পোস্টে কী ছিল - "এই লেখায় লেখক যা করেছেন, সেটা হলো অতি সুক্ষ্ম ভাবে পাঠককে এই ধারণা দিয়েছেন যে, যে সামী ইউসুফের গান শুনে, হিজাব পড়ে আর একটু আধুনিক ভাব ধরে, তার ব্যাপারে সাবধান।

তার তলে তলে এই সব হচ্ছে। যে লেখাটা একবারও পড়েছে, তার মাথায় এটা থাকবে। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, যিনি লিখেছেন আর যারা পড়ে বাহ বাহ করেছেন, তারা কি একজন মানুষও এ পর্যন্ত দেখেছেন যে এখনও পাকিস্তান চায়? আমি দেখি নি, একবার চোখের দেখা দেখতাম! যদি না দেখে থাকেন, তাহলে এই প্যারানয়া সৃষ্টির কারণ কি নেহায়ত রাজনীতি? যেন মানুষ 'হিজাব', 'সামী ইউসুফ' ইত্যাদি কী ওয়ার্ড দেখে ছিটকে দূরে সরে যায়? ভয় পায়? হাজার হোক, সুস্থ চিন্তাশীল মানুষের চেয়ে ভয়ার্ত মানুষকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক সহজ..." আরো একটু আগেই লিখেছেন - "হয়তো প্যারানয়েড হচ্ছি। কিন্তু হিজাব পরিহিতা ছটফটে মেয়ে, সামী ইউসুফের গানের পাগল... সিরিয়াসলি, আর কারো পোস্টে তাঁর কথা উঠে আসে নি। " তাহলে? আপনার ভাষায় - হিজাব, সামী ইউসূফ ইত্যাদী কী-ওয়ার্ড তো আপনার নিজেরই? আপনার লেখায় কী সুস্পষ্ট অভিযোগ নেই -অইসব ফ্যাক্টকে বেসড করে মূলত আপনাকে নিয়েই ভয় দেখানো হচ্ছে? নাকি? আপনি যদি এটাকে ভুল বুঝাবুঝি বলেন - তবে আমি এখানে থামলাম।

৪) পাকিস্তান ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন প্রসংগে। ক) শিরোনাম বাংলা না> ঠিক ধরেছেন। খ) পাকিস্তানের পতাকা ছবি> ঠিক ধরেছেন। হয়ে গেলো? এ দুটো বিষয় যদি প্রমাণ করে - আমার লেখায় বলা হয়েছে - 'পাকিস্তান ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখে' তবে ওটা আপনার পার্সোনাল জাজমেন্ট। আমার অমন মনে হয় না, তাই ওটা ঐ ইন্টারপ্রিটেশন আমার দায়ভার না।

গ) পাক বাংলাদেশ রিলেশন নিয়ে ডিসকাশন> মনে পড়ে, অবশ্যই মনে পড়ে। কিন্তু ডিসকাশনটা 'পাকিস্তান ফিরিয়ে আনার প্রসংগে' সেটা আপনি কোথায় পেলেন? দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবি - 'কী ছিল তাহার মনে?" ৫) আপনার ফ্যামিলি ডিটেইল দেখে আমি ভীষণ বিব্রতবোধ করছি। আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা পারিবারিকভাবে কোন কথা আমি বলিনি। আপনার মা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের টিচার কিনা সেটা লিখেছিলাম আপনারই খুঁজে পাওয়া মিলের প্রেক্ষিতে। আমার সেরকম কোন ইচ্ছেই ছিল না।

আপনি আঘাত পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী! রিকনসিলিয়েশন এবং এহহামিদার পোস্ট অন্য কোথাও আলাপ হোক! আমি চেষ্টা করছি - আপনার অনুযোগ অভিযোগের আশেপাশেই থাকতে। বাইরের বিষয় কেবল জলঘোলা করবে। ৫) এটা আসলে ৬ নম্বর পয়েন্ট হওয়ার কথা! অসুবিধা নেই। সাফরীনের সাথে মিল পেয়েছেন, সাথে সামী ইউসুফ - ম্যানিয়াক মুসলিম সঙ্গী হয়েছে, ওরা আপনার প্রিয়, ওদের নিয়ে অনেক তথ্য জানেন - এসবই আপনার নিজস্ব বিশেষত্ব। আমার আপত্তি কি? শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর কাজকর্মের দায়ভার/জবাবদিহিতা আমাকে নিতে হবে! কেন? তারেক মাসুদ কিংবা তার চলচ্চিত্র 'মাটির ময়না', আলোচিত, প্রশংসিত।

কিন্তু আমার লেখা পাকমন পেয়ার? কিসের সাথে কীসের তুলনা??? পোস্টেই বলেছিলাম - আপনি আমার তুচ্ছ একটি লেখায় শেঁকড় সন্ধান করেছেন। আবারও বলি -তুচ্ছ একটি লেখা, আমি অমনটাই মনে করি। আপনি আমার লেখার মুগ্ধ পাঠক বলেছেন। ট্রাস্ট মী, আমার আনন্দের সীমা থাকে না, যখন অমন কেউ বলে। হয়তো লক্ষ্য করেছেন - আমি আগেই তর্কটা লম্বা করড়ে চাইনি।

শেষ মন্তব্যে বলেছিলাম - "ধারণা করছি -আপনার মাঝে অস্থিরতা কাজ করছে এখনো। কীপ য়্যুর হেড কুল, প্লিজ! আমি আবার ডিসক্লেইমার দিই: আপনি পাকমন পেয়ারের কোন ক্যারেক্টার না। ওকে!" এরপর গত ৩৫দিনে একবারও বলিনি - "আস্তমেয়ে আমার প্রশ্নের উত্তর কই?"। বলতে চাইনি। ভালো লাগতো, আজ যদি আপনি আপনার ইমেজ কনস্ট্রাকশন থিয়রীর বাইরে তাকাতে পারতেন।

দীর্ঘ মন্তব্যে আপনি সে-ই একই গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খেয়েছেন। শেঁকড়ের সন্ধান পাননি। আজ খুব অবাক হলাম - কিছু ভুল ধারণা নিয়ে সংগোপনে 'ভয়াবহ ট্যালেন্টেড' তিলক পরানো পোস্টসমৃদ্ধ ব্লগকে আপনি 'সৎ প্রচেষ্টা' বললেন!!! আপনার কাছে কোনো প্রশ্ন রাখছি না। মাঝে মাঝে এরকম তর্ক ভীষণ অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। শেষে বলি, প্রিয় আস্তমেয়ে/সন্ধ্যাবাতি - ভালো থাকবেন, খুব ভালো।

ভালো থাকাটা খুব প্রয়োজন, অন্তত: নিজের জন্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।