বৃহস্পতিবার রাতে সিন্ডিকেট সভায় মিটিংয়ে শিক্ষক মো. নূর উদ্দিনের পিএইচডি ডিগ্রি প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গবেষণায় মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য পাওয়ায় একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে নূর উদ্দিনের পিএইচডি ডিগ্রি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ২০১০ সালে ‘দি প্র্যাকটিসেস অব মার্ক্সসিজম অ্যান্ড দেয়ার ইমপ্যাক্ট অন মডার্ন ওয়ার্ল্ড : দ্য কেস অব অবজেকটিভাইজেশন’ শীর্ষক গবেষণার জন্য নূর উদ্দিনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়। তার গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন একই বিভাগের অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন।
আর মূল্যায়ন কমিটিতে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মকসুদুর রহমান।
২০১২ সালের ১ জুন উপাচার্যের কাছে নূরউদ্দিনের পিএইচডি গবেষণাটি পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগেরই শিক্ষক এমরান হুসাইন, দীল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও সাব্বির আহমেদ।
শিক্ষকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নাসরিন আহামদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।
তদন্তে গবেষণায় মনগড়া তথ্য সংযোজনের প্রমাণ পাওয়ায় নূর-উদ্দিনের পিএইচডি প্রত্যাহারের সুপারিশ করে কমিটি।
সুপারিশে বলা হয়, নূর উদ্দিন যে ‘মেথোডলজি’ ব্যবহার করে গবেষণাটি করেছেন, তা বাস্তবে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। গবেষণার জন্য প্রায় ১৩ লাখের মতো মানুষের সাক্ষাত্কার নিয়েছেন বলে দাবি করলেও নূর উদ্দিন তার উপস্থাপন করতে পারেনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।