এ ব্লগে আর কোন মৌলিক লেখার দরকার নেই, যেহেতু আমি আমার নিকৃষ্টতম লেখার স্বত্ব ও কাউকে দিতে রাজী নই
সেই গল্পঃ
বছর দু'তিন আগের ঘটনা । দিন তারিখ মনে নেই । মনে রাখা জরুরী নয়, যেহেতু এই সব আমাদের সয়ে গেছে সহজেই ।
পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে এক সদ্যতরুন কে তুলে নিয়ে যায় চিতা-কোবরা কিংবা র্যাব নামের রাজকীয় বাহিনী ।
পরদিন তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায় এবং জানা যায় রাজকীয় ঘোষনা,
'এই তরুন ছিল রাষ্ট্রের জন্য বিপদ্দজনক এক ঘৃন্য সন্ত্রাসী' ।
কিন্তু কিছু বেয়াড়া কাগজওয়ালার তদন্তে বের হয়ে আসে অন্য সত্য । নিহত তরুন ছিল এক নিরপরাধ কলেজ ছাত্র । একই নামের আরেক সন্দেহভাজনকে খুঁজতে গিয়ে রাজার লোক এই তরুনকে হত্যা করে । রাজা ও রাজার লোকেরা ভুল করেনা, অপরাধ তো নয়ই ।
তাই এ হত্যার সপক্ষে সে এলাকায় আনন্দমিছিল ও বেরিয়ে যায় দ্রুত ।
অবশ্য বেয়াড়া কাগজওয়ালারা জানায়, সেই আনন্দমিছিল ও বেরহয়েছিল রাজকীয় বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায়, নিহত তরুন যে আসলে সন্ত্রাসীই ছিল তা প্রমানের উছিলায়!
এই গল্পঃ
এরকম ঘটে গেছে অনেক কিছু, ঘটে চলেছে ।
অতি সম্প্রতি রাজশাহীতে কামরুল ইসলাম মজনু নামের এক তরুনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে রাজার লোক । সেই পুরনো কথার পুনরাবৃত্তি করাই যায়, মজনু যদি অপরাধীই হয় তাকে ধরে আদালতে সোপর্দ করা আইনশৃংখলা বাহিনীর কাজ, পিটিয়ে হত্যা করা নয় ।
এই সব পুনরাবৃত্তিতে কিছু যায় আসেনা আসলে। গল্প চলতে থাকবে ধারাবাহিক কিস্তির পর কিস্তি যদিনা গল্পের বিষবৃক্ষটা উপড়ে ফেলা যায় , শেকড়সমেত ।
অন্য গল্পঃ
আমরা মধ্যজীবি কেঁচোরা বাহবা দিয়েছি রাজার লোকদের, দেশে শান্তি এলো বলে । বেঁচে থেকে বাহবা দিয়ে যাচ্ছি এখনো , যেহেতু নামবিভ্রাটের কারনে আমরা কেউ এখনো পরিনত হইনি রাজকীয় শিকারে ।
কিন্তু রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকার মানুষেরা প্রমান করেছেন তারা এখনো কেঁচো হয়ে যাননি । এখনো তারা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন মানুষ জীবন, যে জীবনে প্রতিবাদ আছে- আছে প্রতিরোধ ।
কামরুল ইসলাম মজনু হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদমুখর হয়েছেন হাজার হাজার নারী পুরুষ ।
পত্রিকায় ছবি এসেছে । শত শত নারীদের বিক্ষোভ । জরুরী অবস্থা ভংগ করে তারা মিছিল করছেন ।
তাঁদের জন্য আমার অশেষ শ্রদ্ধা ।
---------------------------------------------------------------
আপনারা যারা এতকাল ধরে সম্পাদকীয় লিখে
'সব ঠিক হ্যায়-' বলেছেন, আজ কলমটা দেখে নিন,
দেখুন কালিটা কালো ছিলো কিনা? রক্তের রং লাল ।
রক্তেই আজ লেখা হচ্ছে তো রাজপথে সংবাদ ।
বোঝা কি যাচ্ছে,মহোদয়গন,দৃশ্য বদল হচ্ছে ?
কাঁপছে দেয়াল,নড়ছে দরোজা,খুলছে জানালাগুলো,
রাজপথগুলো জনপথ হয়ে মিছিলের পথ করছে ।
প্রান্তর ভেসে যাচ্ছে ঝাঁঝালো সর্ষে ফুলের হলুদে,
হলুদ কি ওটা,নাকি সোনা রং উদিত নতুন সুর্যের?
বোঝা কি যাচ্ছে,মহোদয়গন,দৃশ্য বদল হচ্ছে ?
***কবিতার লাইনগুলো সৈয়দ হক' এর ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।