প্রথম দেশাত্দবোধক
মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে সারা দেশ যখন সোচ্চার তখন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান নির্মাণ করলেন চলচ্চিত্র 'জীবন থেকে নেয়া'। এটি ছিল দেশকে স্বাধীন করার দাবি সংবলিত প্রথম ও একমাত্র চলচ্চিত্র। এতে দক্ষ অভিনয় করেন আনোয়ার হোসেন। একটি পরিবারের বড় ছেলে আনু কীভাবে দেশমাতৃকার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কারাবরণসহ নানা দুর্ভোগ সত্ত্বেও জনগণকে স্বাধিকার আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করে তোলেন।
এ চরিত্রটি দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলে আজো অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে আছেন তিনি।
স্বাধীন দেশের প্রথম চলচ্চিত্রে
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি পেল মুস্তাফা মেহমুদ পরিচালিত 'মানুষের মন'। আনোয়ার হোসেনের সৌভাগ্য স্বাধীন দেশের প্রথম চলচ্চিত্রের নায়ক হলেন তিনি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন রোজী সামাদ।
প্রথম যৌথ প্রযোজনায়
স্বাধীন দেশে ভারতের সঙ্গে প্রথম যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন আনোয়ার হোসেন।
রাজেন তরফদারের 'পালঙ্ক' [১৯৭৬] চলচ্চিত্রে প্রধান দুই নায়কের মধ্যে উৎপল দত্তের সঙ্গে ছিলেন আনোয়ার হোসেন। এতে তার চরিত্রের নাম ছিল মকবুল। তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সন্ধ্যা রায়। এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে শ্রেষ্ঠ নায়কের পুরস্কার অর্জন করেছিলেন তিনি।
প্রথম ঐতিহাসিক
বাংলাদেশের পটভূমিতে ঢাকায় প্রথম নির্মিত হয় ঐতিহাসিক গল্পের চলচ্চিত্র 'নবাব সিরাজউদ্দৌলা'।
খান আতাউর রহমান পরিচালিত এই চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় করে আজো ঢালিউডের মুকুটহীন নবাব হয়ে আছেন তিনি।
প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ
১৯৭৫ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তন ও প্রদান করা হয়। এতে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত 'লাঠিয়াল' চলচ্চিত্রে সুঅভিনয়ের কারণে শ্রেষ্ঠ নায়কের পুরস্কার লাভ করেন আনোয়ার হোসেন। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশে ঢালিউডের প্রথম শ্রেষ্ঠ নায়কের জাতীয় আসনটি অর্জন করেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।