ইমরোজ
আজকে একটা জিনিস জানতে পারলাম। পুরান ঢাকার কেউ আহসান মঞ্জিল চেনে না। কোন রিকসাআলাই যেতে রাজি হচ্ছে না। ওদের দেখে মনে হচ্ছিল ওরা চেনেই না। এমন সময় কেন্দ্রিয় কারাগারের দুইজন গার্ড আমাদের বলল, "আরে আহসান মঞ্জিল বইতে লেখা থাকে, এইখানে ওটা কেউ চেনে না, বলেন নবাবের বাড়ি"।
বাহ সাথে সাথে রিকসা রাজি হয়ে গেল। চলে গেলাম, নবাবের বাড়িতে। ঢাকার চারশ বছর পূর্তিতে নবাব বাড়ির অবদান অনস্বীকার্য!
নবাব বাড়ির প্রধান ফটোক
নবাবের বাঁকা সিড়ি
নবাবের বারান্দা থেকে অপূর্ব নদীর দৃশ্য!
নবাব বাড়ির দুইটি বিল্ডিঙ্গের মাঝে কাঠের সংযোগ সিড়ি
নবাবের গার্ড টাওয়ার!
নবাবী আমলের পোস্ট, নবাবের বিশাল বারান্দায়!
নবাবের বারান্দা
বিশাল সিড়ি বেয়ে সামনে পরে নান্দনিক দরজা!
কী চমৎকার একপাশ!
উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে গত শতকের দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত পূর্ববঙ্গ তো বটেই পশ্চিমবঙ্গেও আহসান মঞ্জিলের সমান দাপট ছিল। ঢাকা শহরে, পূর্ববঙ্গের প্রধান জমিদার ও ইংরেজসৃষ্ট এই নবাব পরিবারের আভিজাত্য, বৈভব ও প্রভাবের প্রতীক ছিল এই বিশাল অট্টালিকা।
১৮৩৫ সালে ফরাসি কুঠিয়ালদের কাছ থেকে আলিমউল্লাহ বুড়িগঙ্গার তীরে কতগুলো বাড়ি কিনে নেন।
এই বাড়িগুলোর প্রকৃত মালিক ছিলেন এনায়েতুল্লাহ, ফরিদপুরের বাসিন্দা তিনি।
১৮৭২ সালে নবাব আব্দুল গণি এই বাড়িটি প্রায় পুণনির্মাণ করেন, ও নিজের ছেলের নামে নাম দেন, আহসান মঞ্জিল।
গম্বুজ সংযোগকরণ
নবাবের বড়িতে প্রথম কোন গম্বুজ ছিল না।
১৮৮৮ সালে এই বাড়িটি ঢাকার টর্নেডোয়ে প্রচন্ডভাবে ক্ষতিগস্ত হয়। তখনকার পত্রিকায় যার বর্ণনা আসে এরকম, "নবাব বাড়ির দক্ষিণ পশ্চিম দিকে এক স্তম্ভ হাতিশুঁড় নামিতে দেখে।
দেখিতে দেখিতে ঐ জলস্তম্ভটি দুইভাগে বিভক্ত হইয়া পড়ে, একভাগ নবাবের বাড়ির দিকে প্রধাবিত হয়। উহা দিখন্ডিত হবার সময় উহা হইতে সহস্র অগ্নিময় গোলা উড্ডীন হইতে লোকে দেখিয়াছিল। যখন উহা নবাব বাড়ির ধ্বংস সাধনে নিরত হয়, তখন দূরবর্তি লোকে নবাব বাড়িটিকে যেন প্রজ্বলিত অগ্নিময় দেখিয়াছিল। "
এই ক্ষতির পর এই বাড়িটিকে মেরামত করানো হয়। আর তখন সংযোগ করা হয় এই সুদর্শন গম্বুজটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।