আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আল কুরআন ও বিজ্ঞান ।



মহাগ্রন্থ আল কুরআনুল কারীমে রেয়েছে জ্ঞান বিজ্ঞানের এক অপুর্ব নিদর্শনা । বিজ্ঞানের যে কোন শাখার স্পষ্ট তথ্য কুরআন থেকে লাভ করা সম্ভব । বিজ্ঞান সম্পর্কে কুরআনে অসংখ্য আয়াত মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নাযিল করেছেন। আল্লাহ তা'য়ালা সমস্ত বিশ্ব জাহানের সৃষ্টি কর্তা ও প্রতি পালক । তিনি মানুষকে বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণা করার তাগিদ দিয়েছেন ।

নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের বিবর্তনে এবং নদীতে নৌকা সমুহের চলাচলে মানুষের জন্য কল্যাণ রয়েছে । আর আল্লাহ ত'আলা আকাশ থেকে যে পানি নাযিল করেছেন, তাদ্ধারা মৃত যমীনকে সজীব করে তুলেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সব রকম জীব জন্তু । আর আবহাওয়া পরিবর্তনে এবং মেঘমালার যা তাঁরই হুকুমের অধীনে আসমান ও যমীনের মাঝে বিচরণ করে। নিশ্চয় সে সমস্ত বিষয়ের মাঝে নিদর্শন রয়েছে বুদ্ধিমান সম্প্রদয়ের জন্য । ( সুরা আল্ বাক্বারাহ্ ১৬৪) তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রভিষ্ট করেন ।

তিনি সুর্য ও চন্দকে কাজে নিয়োজিত করেছেন । প্রত্যকটি আবর্তন করে এক নিদিষ্ট মেয়াদ পযন্ত। ইনি আল্লাহ তোমাদের পালন কর্তা, সম্রাজ্য তাঁরই। তাঁর পরিবর্তে তোমরা যাদের ডাক, তারা তুচ্ছ খেজুর আঁটির ও অধীকারী নয় । ( সুরা ফাতির ১৩) নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায় ।

যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে ? তিনি সহন শীল, ক্ষমাশীল। (সুরা ফাতির ৪১) তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, একটি মিষ্ট, তৃষ্ণা নিবারক ও আরেকটি লোনা , বিস্বাদ, উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল । ( সুরা ফুরকান ৫৩) কল্যাণ ময় তিনি যিনি নভোমন্ডলে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে রেখেছেন সুর্য ও দীপ্তিময় চন্দ । ( সুরা ফুরকান ৬১) তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই ব্যাক্তি থেকে অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদের জন্য আট প্রকার চতুষ্পদ জন্তু অবতীর্ণ করেছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায় ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে।

তিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা, সম্রাজ্য তাঁরই। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা কোথায় বিব্রান্ত হচ্ছ। (সুরা আল যুমার ৬) আল্লাহ মানুষের প্রান হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়, আর যে মরেনা, তার নিদ্রা কালে, অতঃপর যার মৃত্যু অবধারিত করেন, তার প্রান ছাড়েন,না এবং অন্যান্যদের ছেড়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শনা বলী রয়েছে।

(সুরা আল যুমার ৪২) তিনি ইচ্ছা করলে বাতাসকে থামিয়ে দেন। তখন জাহাজ সমুহ সমুদ্র পৃষ্ঠে নিশ্চল হয়ে পড়ে যেন পাহাড়। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক সবরকারী, কৃতজ্ঞের জন্য নিদর্শনাবলী র‌য়েছে। ( সুরা আশ শুরা ৩৩) অথবা তাদের কৃতকর্মের জন্য সে গুলোকে ধ্বংস করেদেন এবং অনেক কে ক্ষমাও করেদেন। (সুরা আশ শুরা ৩৪) এবং যারা আমার ক্ষমতা সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা যেন জানে যে, তাদের কোন পলায়নের জায়গা নেই ।

(সুরা আশ শুরা ৩৫) এভাবে অসংখ্য আয়াত আছে কুরআনে, সুরা যুমার, সুরা আর রহমান, সুরা যিলযাল সহ বিভিন্ন সুরাতেই আয়াত রয়েছে, বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণা করার মতো । শেষের তিনটি আয়াতে আমরা সবরকারী কৃতজ্ঞের জন্য নিদর্শনা বলী আছে। আমরা হয়তো কিছুটা পয়েছি ও। পবিত্র কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা'য়ালা মানব জাতিকে সঠিক পথে চলার জন্য অসংখ্য আয়াত নাযিল করেছেন। যাতে মানুষ, আল্লাহর অসংখ্য সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে পারে ও আল্লাহকে চিনতে পারে ।

[wjsK=http://www.55a.net/firas/english/?page=show&select_page=69]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।