আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ ও আমরা -(উৎসর্গ ফারহান দাউদ)

সুন্দর হোক সত্য

ওদের জ্ঞান দাও প্রভু,ওদের ক্ষমা করো! -চমৎকার একটা লেখা, ফারহান দাউদ। আপনার পোষ্ট ও মন্তব্যগুলো পড়ে অনুপ্রাণিত হলাম। আমার ভাবনাগুলো সে পোষ্টের আলোকে লিখলাম। একটা ব্যাপারে দৃষ্টি-আকর্ষন করছি একজন মন্তব্যকারীর- ‘যারা দেশকে এগিযে় নিতে চায়’ প্রসঙ্গে। তিনি এক্ষেত্রে বুঝিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের।

কিন্তু দেশকে কি আমরা এগিযে় নিতে চাইনা? কেন এ বাক্যগুলোকে ওই জানোযা়রদের হাতে জিম্মি করছেন? ভয়ঙ্কর এ খেলায় তারা আমাদের আকাঙ্খা ছিনিযে় নিতে চায়? আমরা কি নিজেদের তাদের ক্রীডা়নক হিসেবে ব্যবহৃত হতে দিতে চাই? তাদের কি আমরা উপেক্ষা করে উডি়যে় দিতে পারিনা? তারা সংখ্যায় তো নগন্য। কিন্তু আমরা তাদের এত ফোকাস করা মানে তাদের প্রচার বাডা় - নইলে এত অপমানজনক কথার পরেও তারা একই কথা বারে বারে বলবে কেন?? আসুন তাদের আমরা অবজ্ঞা, উপেক্ষা আর উপহাস করি। তারা এর চেয়ে বেশী কিছুর যোগ্য কি?? ব্লগের কর্তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অথবা বাংলাদেশ বিরোধী কোন পোষ্টকে না বলুননা কেন? সরলতার সুযোগে পাপিষ্ঠারা ধ্বংসের বিষবাষ্প ছডা়বে আমাদের মাঝে - এমনটা নিশ্চই কারো কাম্য নয়। দেখা যাচ্ছে, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ভালমানুষ সাজানোর চেষ্টা হচ্ছে যা বাংলাদেশ বিরোধের পর্যাযে় পডে়। কেন এসমস্ত পোষ্টকে প্রথম পৃষ্ঠায় ঠঁাই দেযা় হবে? রাষ্ট্রদ্রোহীদের জন্য একটি আইন বাংলাদেশে আছে - সে আইনভঙ্গকারীদের আশ্রয় দেয়াটাও কি আইনভঙ্গ নয়? আমি বাংলাদেশে বিশ্বাসী।

আমি ভারত, পাকিস্তান, চীন , ব্রিটিশ-মার্কিনিদের বা অন্য যে কারো লেজুড়বৃত্তি চাইনা। এরা সবাই আমাদের শোষণ করেছে, করছে এবং করতে চাইছে প্রতিনিয়ত। সাবধান হতে হবে আমাদের। পাকিস্তান আমাদের পোশাক শিল্পের কোটা নিয়ে বিরুদ্ধাচরণ করে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায়, ভারত নদী নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, ব্রিটিশ-মার্কিনিরা তাদের সার্থ সিদ্ধি করতে চায় আমাদের ঘাড়ে চড়ে। এসবই আমাদের দুর্বলতার ফসল।

আমাদের বাজারকে আমরা উম্মুক্ত করে দিয়েছি তাদের জন্য। কিন্তু আমাদের বেলায় ঠনঠন। কেন এমন হবে? কেন রাজনীতিকরাও (যারা বিরোধী দলে থাকেন) এসব বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন না? আমরাই বা কেন সেসব বিষয়ে রাজনীতিকদের চাপ প্রয়োগ করিনা? কেন আমরা শুধু নেতাদের গুনকীর্তনে অধিক সময় ব্যয় করি?? অতীতকে সঙ্গে নিযে় আমরা সামনে এগোতে চাই। কোনক্রমেই ভুলে নয়। কিন্তু যারা অতীতকে খুঁচিয়ে আমাদের ফোকাসটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায়, থমকে দিতে চায় অগ্রযাত্রা - সাবধান থাকুন সেই বিশৃঙ্খলাকারীদের থেকে।

তারা আমাদের বিভ্রান্ত করতে চায় ইসলামের কথা বলে, ভাবখানা এমন যেন মুক্তিযুদ্ধ মানে ইসলামের বিরোধ। হাহ্!!! কি অদ্ভুত চাটুকারিতা!!! আমি যতদুর বুঝি - মুক্তিযুদ্ধ ছিল শোষণ, জাতিগত ঘৃণা, অপমানের বিরুদ্ধে মুক্তির সংগ্রাম। এখানে ইসলামকে টেনে এনে ইসলামের অপমান করেছে পাকিস্তানীরা, ব্যবহার করেছে রাজনৈতিক স্বার্থে অথচ বগলে তাদের ছিল হুইস্কি, শ্যাম্পেন। আল্লার সাথেও ধঁোকাবাজী!!! ধঁোকা দেয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নির্বোধ নয়।

তার প্রমাণ আমাদের সেই গৌরবময় বিজয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.