আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এইটা কি হাসিনারে নয়া হিরোইন বানাইনোর ধান্ধা। রেসলিং ম্যাচের নাটক মনে পড়ে

বৃষ্টি হচ্ছে সুনিশ্চিত এই মুহুর্তে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও

১. ছুটু বেলা এবং বড় বেলা দুই সময়েই ডব্লিউ ডব্লিউ এফ রেসলিং জিনিসটা খুব দেখতাম। যখন বুঝতে শুরু করলাম পুরাটা সাজাইন্না, বানানো নাটক; এমনকি ঠিক কোন কৌশলে নকল রক্ত, এমনভাবে মাইর দেওন যাতে কিছু ব্যথা না পাওয়া, রেফারীর শয়তানী, রেসলিংকে আকর্ষণীয় করতে নানান কৌশলের উপরে একটা ডিটেইল ডকুমেন্টারী দেখার পরেও দেখতাম। পরে দেখতাম কৌশলগুলো ধরার জন্য, নাটকের ভানগুলো খেয়াল করার জন্য। এই রেসিলংয়ের একটা কমন স্ট্র্যাটেজী ছিলো বড় টুর্নামেন্টের ঠিক ঠিক আগে শয়তান পাটি বা ভিলেইন ক্যারেক্টার (যেমন মনে করেন দি গেইম) দিয়া আগামী ফেভারিটরে (যেমন ধরেন শন মাইকেল) এক পশলা মাইর খাওয়ানো। এমন একটা নাটক সাজানো যাতে এই ফেভারিট খুব গুতা খায়, রক্তাক্ত হয়।

এই নাটকটা সাধারনত স্টেজের বাইরে করা হয় যাতে অন্যায় অন্যায় একটা গন্ধ থাকে। এতে নায়কের প্রতি দর্শকদের হেভী সিমপ‌্যাথী জন্মায় এবং আগামী বড় টুর্নামেন্টে একটা প্রতিশোধ প্রতিশোধ নাটক জমানো যায়। তখন হবু নায়কের পক্ষে সাপোর্ট থাকে ১০০%। অনেক নতুন ক্যারেক্টাররে জনপ্রিয় করতেও কৌশলটার প্রয়োগ হইতো। ২. আমাদের হাসিনারে দেশে আসতে না দেওয়াটা দেইখা পুরান দিনের রেসলিং ম্যাচের সেই নায়করে ফেভারিট বানানোর কুটকৌশলটা মনে পইড়া গ্যালো।

৩. এই সরকার আসার আগেও নিউট্রাল সাধারন মানুষ সবাই খুব ফেড আপ ছিলো দুই শীর্ষ নেত্রীর উপরে। "দুইটারে দেশ ছাড়া করন দরকার", "দুইটারে খেদাইলে দেশে শান্তি হইবো"- এইটা আছিলো রিক্সা চালক থেইকা শুরু কইরা একটা সাধারন চাকুরীজীবি সবারই কমন সেন্টিমেন্ট। এখন এই দেশে না আসার নাটকে পাবলিকের সেন্টিমেন্ট আবার ঘুরতাছে। হাসিনা আপারে 'ফলেন ভিলেইন' থেইকা আবার 'হিরোইন' বানানোর এইটা কুটকৌশল কি না হালকার উপরে ঝাপশা একটা সন্দেহ আইতাছে! ক্যাডায় জানে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।