দাম্পত্য জীবনে কখনো কখনো কথা কাটাকাটি, মনোমালিন্য বা অভিমান হওয়াটা সাধারণ ব্যাপার। তবে সুখী হবার জন্য দুজন দুজনকে খানিকটা ছাড় দেওয়া এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাটা জরুরী। তা নাহলে সম্পর্কে তিক্ততা চলে আসে। অনেক সময় স্বামী বা স্ত্রী নিজের আত্মমর্যাদাবোধকে বেশি প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে 'দুঃখিত' শব্দটা উচ্চারণ করতে চান না।
সরাসরিই যে মুখে সবসময় সরি বা দুঃখিত বলতে হবে, তেমন বাধ্যবাধকতা তো নেই। স্ত্রীকে মুখে 'দুঃখিত' না বলে অন্যভাবে সেটা প্রকাশ করার অনেক কৌশল রয়েছে। তেমনই ৩টা কৌশল এখানে তুলে ধরা হলো:
রোমান্টিক হয়ে উঠুন: স্বামী রোমান্টিক স্বভাবের হবেন এটা যেকোনো নারীরই কাম্য। নারীদের কাছে নিজেদের প্রকাশে পুরুষরা বরাবরই একটু পিছিয়ে। মন খুলে নিজেদের প্রকাশ করুন।
রোমান্টিকতা এক মুহূর্তেই স্ত্রীর অভিমানকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে। স্ত্রীর সৌন্দর্যের অকপট প্রশংসা করুন। আপনার জীবনে তার প্রয়োজন কতটা, তা তাকে বুঝতে দিন। দেখবেন আপনাদের দাম্পত্য জীবন হয়ে উঠবে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও সুখময়।
স্ত্রীর জন্য রান্না করুন: নারীর মন জয় করতে তাকে প্রাত্যহিক জীবনের কাজে সাহায্য করুন।
রান্নার সময় নিজেও হাত লাগান। স্ত্রীর পছন্দের রান্নাটি করে তার সামনে সুন্দর করে পরিবেশন করুন। একটি 'সরি' নোটও সঙ্গে লিখে দিন। এরপর নিশ্চয়ই আপনার স্ত্রী মনের মধ্যে আর রাগ বা ক্ষোভ পুষে রাখবেন না।
স্ত্রীকে বেড়াতে নিয়ে যান: কোনো কারণে কথা কাটাকাটি হয়ে থাকলে স্ত্রীকে নিয়ে সুন্দর কোনো জায়গায় বেড়িয়ে আসুন।
এতে সম্পর্কের স্বতঃস্ফূর্ততা ফিরে আসবে। কোনো ভালো রেস্টুরেন্টেও যেতে পারেন। নাস্তা কিংবা রাতের ডিনারটা সেখানেই সারলেন। সময় বুঝে স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিন ও 'দুঃখিত' বলুন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।