যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
[ইটালিক] কিছু অরুচিকর শব্দ থাকতে পারে, বুর্জোয়া/এলিট মানসিকতার হইলে না ঢোকাই ভাল [/ইটালিক]
[গাঢ়] এই লেখাটা ইন্সপায়ারড বাই 'কৌশিক'দা [/গাঢ়]
**************************************************
ঢাকা শহরে পাবলিক টয়লেটের আকাল, কৌশিকদা গতকাল এই অভিযোগ আনছেন।
একদম খাঁটিকথা, আমার মনে হয় ব্লগের সবপাঠকই এর ভুক্তভোগী।
যেমন ধরুন, মতিঝিলের বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্ট থেকে সিঙ্গাড়া আর দুধ-চা খেয়ে রিক্সায় চাপলেন।
ভেরী লাইকলি যে কিছুক্ষণের মধ্যে প্রকৃতি মা জননী আপনাকে আকুপাকু হয়ে ডাকাডাকি শুরু করবে।
আপনার মনে হবে রিক্সাটা নিয়ে উড়ে উড়ে চলে যান কোন নিশ্চিত গন্তব্যে, কিছু নড়াচড়া করবেন, হাঁটুতে হাঁটু ঠুকে কোনভাবে বুঝাতে চেষ্টা করবেন প্রকৃতি মাকে 'ওভাবে ডাকতে নেই, মা' ।
অনেক কষ্টে রিক্সায় পনের মিনিট চেপেচুপে এসে পড়বেন মৌচাকের জ্যামে। সেখানে ধরুন দশ মিনিট গ্যাল (বেশ অপটিমিস্টিক) ... দেখা গেল এই দশমিনিটও ভালই সামাল দিলেন। তারপর রিক্সা আর পাঁচ মিনিট যেতেই বাসা, [গাঢ়] গোল ইন [/গাঢ়]।
কিন্তুঝামেলাটা হবে বাসার দরজা খোলার সাথে সাথেই!!
যে জিনিস এতক্ষণ, মানে প্রায় আধঘন্টা ছড়ি ঘুরিয়ে দাবিয়ে রেখেছিলেন, যে জিনিসই দেখবেন দরজা খোলার সাথে সাথে আর বাঁধ মানতে চায়না। মনে হয়, 'আর কত? এক্ষুণি! এক্ষুণি!!'
তখন টয়লেটটা যদি বাসার দরজা থেকে একটু দূরে হয়, তো খবর আছে!! মানও যাবে, সন্মানতো যাবেই ... যেমন ধরুন, প্রকৃতির ডাক বেশী হওয়ায় কাছেই খালার বাসায় নেমে গেলেন, আর বাসায় ঢুকেই বুঝলেন গন্তব্য অনেক দূর।
তখন কিন্তু ... হে হে ... সাধু সাবধান
[গাঢ়] এখানেই আমার ইগনোবেল থিওরী। [/গাঢ়]
[ইটালিক]"বাইরে থাকা অবস্থায় প্রকৃতি বড়ডাক দিলে, বাসার দরজায় পৌঁছানোর পর দরজা থেকে টয়লেট পর্যন্ত একটা ক্রিটিক্যাল দূরত্ব আছে। [/ইটালিক]
এ্যাভারেজ মানুষের এই 'ক্রিটিক্যাল দূরত্ব' কত তা সম্পর্কে এখনও ইগনোবেল গবেষণা চলতে পারে।
তবে আর্কিটেক্টদের এই নলেজটা থাকা ভাল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।