তার বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শেষে এসমস্ত অভিযোগের পক্ষে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানান সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।
শনিবার ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান তিনি।
হান্নান খান বলেন, সুবহানের বিরুদ্ধে আট ধরনের অপরাধের মোট নয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্র।
রোববার চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর কাছে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
গত বছরের ১৫ এপ্রিল এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর পর মোট ৪৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে বলেও জানান তদন্ত সংস্থার সমন্বয়কারী।
জামায়াত নেতা আব্দুস সুবহান। ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা থেকে সুবহানকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ।
জামায়াত নেতা আব্দুস সুবহান।
২৩ সেপ্টেম্বর প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে তদন্তের স্বার্থে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শোন অ্যারেস্ট) আবেদন করে ট্রাইব্যুনালে।
প্রসিকিউশনের আবেদন আমলে নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
১ অক্টোবর সুবহানের পক্ষে করা জামিন আবেদন খারিজ করে ট্রাইব্যুনাল।
তবে সাবেক এই সংসদ সদস্যের বয়স বিবেচনা করে কারাবিধি অনুযায়ী তাকে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।