এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ
(সমঙ্্রতি তেহলকাকে ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি সাাৎকার দিয়েছেন অরুন্ধতি রায়। সোমা চৌধুরীর কাছে দেয়া তার এ সাাৎকার অবলম্বনে )
এ সব ইঙ্গিত বুঝতে আপনাকে খুব বেশি জিনিয়াস হতে হবে না। আমাদের একটি ক্রমবর্ধনশীল মধ্যবিত্ত রয়েছে_ যা ভোগ এবং আগ্রাসী লোভে আক্রান্ত। পাশ্চাত্যের শিল্পায়ন যেভাবে কলোনি থেকে সমঙ্দ ও শ্রম নিচ্ছে_ সেভাবে আমরাও, নিজেদেরও কলোনাইজ করে তুলছি। নিজেরকেই খাওয়া শুরু করে দিয়েছি।
আমাদের আগ্রাসী লোভ আরো বেড়ে যাচ্ছে। জাতীয়তাবাদের মূল্যে বিপনন হচ্ছে আমাদের। আমরা যা দেখছি তা' হলো, ভারতজুড়ে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের উত্থান। ভারতকে বিশ্বে এক উঁচু স্তরে নিয়ে যেতে চাইছে তারা। কয়লা, খনিজ, জল বা বিদু্যতের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর তারা এখন আরো গাড়ি, আরো বোমা এবং আরো মাইনের মালিক হতে চায়।
নব্য সুপার-নাগরিকের সুপার পাওয়ার হয়ে ওঠার নতুন নতুন খেলনার চাহিদা তৈরি হয়েছে।
এ যেন গৃহযুদ্ধের প্রস্তুতি। দু পই পছন্দ ও সাধ্য মতো অস্ত্র সংগ্রহ করছে। সরকার ও করপোরেশনগুলো যৌথভাবে সুবিধামতো কাঠামোও গড়ে ফেলেছে। বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, বিদেশী বিনিয়োগ, প েথাকা আদালতের নির্দেশ, বন্ধুসুলভ নীতিনির্ধারক, অনুকূলে থাকা করপোরেট মিডিয়া এবং পুলিশের সাহায্যে এ কাঠামো যখন জনগণের টুটি চেপে ধরে, তখন এর প্রতিরোধতো জনগণ করবেই।
প্রথম দিকে এ প্রতিবাদ অনশন, সত্যাগ্রহ আন্দোলন বড়জোর আদালত পর্যন্ত গড়াতো। তবে আগ্রাসী লোভ আরো বেড়ে গেছে, এখন প্রতিরোধের জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন। এভাবেই সন্ত্রাস বাড়ছে।
নিঃসন্দেহে নৈতিকতা একটি ভালো ব্যবসা। আবহাওয়ার মতো যখন-তখন এটাও পরিবর্তন করা যায়।
দশকের পর দশক ধরে ধস পড়ছে ভারতের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ভুপাল গ্যাসে আক্রান্ত বা নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের দিকে তাকালে এটাই বোঝা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।