একটি পুরুষ হয়ে ওঠার বৃত্তান্ত
মেয়েরা পেপার ওয়েটের নীল কাচের ভেতরে জমে থাকা বাতাসের মতো-
চারিদিক এক কাঠিন্যের শীতল আবরনের মধ্যে জমে থাকা
একরাশ অনুকম্পা।
স্কুলে থাকতে সেতু এই কবিতাটা লিখেছিল রসায়ন এর প্র্যাকটিক্যাল খাতায়। আমাদের সবেধন এক নীলমনি কবি সেতু। বড়আপুদের নিটোল সব প্রতিমূর্তিদের মধ্যে নাকি বাস করতো অলৌকিক সন্ধ্যা এমন সব কথা বলে মনের মধ্যে সন্ধ্যা নামিয়ে দিত। পড়ার বই এর অক্ষরে হাতছানি দিত বিকেলবেলার ছাদে দেখা অপ্সরাদের নীল হলুদ রঙ।
পড়ায় মন কিছুতেই বসে না। রাতের অন্ধকাওে জ্বলে জ্বলে ওঠে কামনার উত্তাপ। কিন্তু এই উত্তাপ নাকি মাখনের মতো নরম।
ভুলোমনো শিবলী এক দিন এক আশ্চর্য্য গল্প শোনালো। সেই সুমীর সাথে তার প্রেম হয়েছে।
আমরা হা হা করে উঠি। এক ঝকমকে দুপুরে সে সুমীকে কাছে ডাকলে সুমী বলে - না ।
একলা ঘরে শিবলী ভাবে - কিসে না করছে সুমী?
- তোমাকে আমার ভয় করছে।
দশম শ্রেনী যেন তাতানো আগুন। নিঃশ্বাসে কেমন হলকা ছোটে।
সে বুঝতে পারে সুমী তার চোখে একজন পুরুষের ছায়া খুজছে।
সে সুমিকে ছুতে যায়।
সুমী খােেটর চারপাশে দৌড়ে বেড়ায় -
পেছন পেছন শিবলী।
আমরা শিবলীর বর্ণনার চেয়েও অনেক বেশি দেখি যেন।
একসময় সুমি বিছানার উপর পড়ে মরার মত নিঃসাড় ঘুমিয়ে থাকে।
শিবলী তার বুকের সাদা পালকে মুখ লুকোতে চায়।
সভ্যতার বেড়ার ওপাশে লুকোনো গোলাপী ব্রার হুক শিবলী কিছুতেই খুজে পায় না। শিবলীর চোখে আর কিছুই ভাসে না।
আসলে আমাদের চোখেই কিছু ভাসে না। আমরা যেন সেই ঘরে সার বেধে দাড়িয়ে দেখছি শিবলী পাগলের মতো একটা হুক খুজে বেড়াচ্ছে।
আর আমাদেও চোখে সেই গোলাপী ব্রা যে পতাকার মতো দ্বিবিজয়ী ভঙ্গীতে জড়িয়ে ধরে রাখে সুমীর বুকে আশ্চযর্্য গোলক। মনে হয় পৃথিবীর সমস্ত লক্ষ্য এই গোলাপী রঙের নিচে জড়ো হয়। একসময় সে যেন আর্কিমিডিস কথা বলে -সে আবিস্কার করে ফেলে এটি ইলাস্টিক সিস্টেম। সে কাপড়ের টুকরো টেনে উপরে তুলে দেয়। সরে যায় গোলাপী টুকরোর কাপড়খানা।
শিবলীর মুখের প্রতিটা শব্দ এক এক নতুন মহাদেশের সন্ধান দেয় আমাদের অনাস্বদিত চোখে...
কল্পনায় হানা দিতে থাকে এক অলৌকিক গোলকের গল্প...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।