বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
* আজকের এই অস্কার পুরস্কারের অফিশিয়াল নামটি হচ্ছে একাডেমী অ্যাওয়ার্ড অফ মেরিট। কিন্তু এর সুন্দর নিকনেম অস্কার। অস্কার নাম হওয়ার পেছনের গল্পটা বেশ মজার। মার্গারেট হেরিক নামে একজন মোশন একাডেমীতে কাজ করতেন লাইব্রেরিয়ান হিসেবে। তিনি যখন প্রথম একাডেমী অ্যাওয়ার্ড অফ মেরিটের অনুষ্ঠান দেখেন তখন মনত্দব্য করেন, এটি নাকি দেখতে তার চাচা অস্কারের মতো।
আর যায় কোথায়! একাডেমী অ্যাওয়ার্ড অফ মেরিটের ছোট্ট নাম হয়ে গেল অস্কার। 1930-এর দশক থেকেই অ্যাওয়ার্ডের ক্ষেত্রে অস্কার নামের প্রচলন বাড়তে থাকে। এরপর 1939 সালে একাডেমী আনুষ্ঠানিকভাবে অস্কার শব্দটি ব্যবহার শুরম্ন করে।
* হাল মুর কখনোই অফিশিয়ালি নমিনেশন পাননি। কিন্তু তিনি একাডেমী অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন।
1935 সালে অ্যা মিডসামার নাইটস ডৃম মুভির বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফির জন্য তিনি জিতেছিলেন অ্যাওয়ার্ড। মুরই একমাত্র এবং প্রথম ব্যক্তি যিনি অস্কার জিতেছেন রাইট ইন ভোটের মাধ্যমে।
* অস্কারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল পাক্কা বিশ বছর। অপেক্ষাটা চার্লি চ্যাপলিনের। অস্কার একাডেমীর একটি নিয়মের জন্যই সময়ঘটিত এ ব্যাপার-স্যাপার।
এ নিয়ম অনুযায়ী লস এঞ্জেলেস-এ প্রদর্শিত না হলে কোনো মুভিই একাডেমী অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হবে না। চার্লি চ্যাপলিনের মুভি লাইমলাইট রিলিজ পায় 1952 সালে। কিন্তু রিলিজ পেলে কি হবে, সেটা তো লস এঞ্জেলেসে প্রদর্শিত হয়নি। তাই অস্কার জেতার প্রশ্নই আসে না। অবশেষে মুভিটি লস এঞ্জেলেসে প্রদর্শন করা হয়।
এর ফলে 1972 সালে চার্লি চ্যাপলিন জিতে নেন অস্কার পুরস্কার।
* জাস্টিন হেনরি ক্রামার ভার্সেস ক্রামার মুভির জন্য জিতেছিলেন অস্কার। প্রশ্ন জাগতে পারে এই ভেবে, এতো নাম থাকতে জাস্টিন হেনরি কেন এলো। তাকে বলতে হবে বিস্ময় বালক। কারণ জাস্টিন হেনরি মাত্র আট বছর বয়সে অস্কার জিতে নিয়েছিলেন।
অস্কারের ইতিহাসে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ বিজয়ী।
* 1925 সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন জর্জ বার্নার্ড শ। এর ঠিক 13 বছর পর বার্নার্ড শ জিতেছিলেন আরেকটি সম্মানজনক পুরস্কার। সেটি হলো অস্কার। 1938 সালে বার্নার্ড শ বেস্ট অ্যাডাপটেড স্কৃন পেস্ন ক্যাটেগরিতে অস্কার পুরস্কার জেতেন।
তিনিই একমাত্র অস্কার বিজয়ী যিনি একই সঙ্গে নোবেল লরিয়েট।
* অস্কারের সেরা পাচ অ্যাওয়ার্ড বলা হয় বেস্ট পিকচার, বেস্ট ডিরেক্টর, বেস্ট অ্যাক্টর, বেস্ট অ্যাকট্রেস এবং বেস্ট স্কৃন পেস্ন ক্যাটাগুলোকে। অস্কারের ইতিহাসে এ পর্যনত্দ তিনটি মুভি রয়েছে, যেগুলো এ সেরা পাচটি অ্যাওয়ার্ডই জিতেছে। মুভি তিনটি হলো ইট হ্যাপেনড ওয়ান নাইট, ওয়ান ফিউ ওভার দি কাক্কু'স নেস্ট এবং দি সাইলেন্স অফ দি ল্যাম্বস।
* লিডিং অ্যাকট্রেস ক্যাটেগরিতে মোট চারবার অস্কার জিতেছেন ক্যাথেরিন হেপবার্ন।
1933 সালে মর্নিং গেস্নারি মুভিতে অভিনয়ের জন্য, 1967 সালে গেস হো'স কামিং টু ডিনার, 1968 সালে দি লায়ন ইন ডিনার, এবং 1981 সালে অন গোল্ডেন পন্ড মুভির জন্য অস্কার জিতেছিলেন। ক্যাথেরিন হেপবার্নই অস্কারের ইতিহাসে তিনটির বেশি মেজর অস্কার বিজয়ী।
* অস্কারে যদি রেকর্ডের কথা আসে তাহলে অবধারিতভাবে চলে আসবে ওয়াল্ট ডিজনির নাম। তিনি তার জীবনে মোট 64 বার একাডেমী অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন পেয়েছেন। চারবার অনারারি অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও তিনি মোট 22 বার অস্কার জিতেছেন।
অস্কার পুরস্কারের ইতিহাসে তিনিই সর্বোচ্চ সংখ্যক একাডেমী অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন।
* অস্কারে বেস্ট পিকচার ক্যাটেগরিতে অ্যাওয়ার্ড জেতা মুভিটি নিয়েই মাতামাতি হয় বেশি। দে শুট হর্স, ডোন্ট দে মুভিটি সর্বাধিক নয়টি নমিনেশন পেয়েছিল। তবে এ মুভিটি বেস্ট পিকচার ক্যাটেগরিতেই নমিনেশন পায়নি।
* মৃতু্যর পরও পরপর দুই বছর অভিনয়ের জন্য অস্কার নমিনেশন পাওয়া একমাত্র ব্যক্তিটি হচ্ছেন জেমস ডিন।
তিনি 1955 সালে রোড অ্যাকসিডেন্টে মারা যান। কিন্তু তিনি 1956 সালে ইস্ট অফ ইডেন এবং 1957 সালে জায়ান্ট মুভিতে অভিনয়ের জন্য নমিনেশন পান।
* অস্কারের ফলাফল ঘোষণার সময় সবারই নজর থাকে ঘোষকের কথার দিকে। অনেক ভূমিকা করার পর ঘোষণা করা হয় বিজয়ীর নামটি। 1989 সালের 61তম একাডেমী অ্যাওয়ার্ডে ট্রেডমার্ক বাক্যাংশটি হয়ে যায় 'অ্যান্ড দি অস্কার গো'স টু...'।
এর আগ পর্যনত্দ এটি ছিল 'অ্যান্ড দি উইনার ইজ...'।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।