বিবেকের দংশন বলে একটা কথা আছে। এটা কেউ খেয়ালই করেনা। অথচ এই বিবেকই আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে। ভাল খারাপ দুদিকেই বিবেকের ব্যবহার করতে পারেন। পরিস্থিতি বুঝে আপনার বিবেক কি বলে হয়তো আপনি তাই করেন।
আপনার বিবেকই আপনার ভাল মন্দ বিচার করে। কয়েক উদাহরণ দেই আমার নিজের:
1.গতকাল এক কাষ্টমার তার খাবার খেয়ে আমার কাছে বিল চাইলেন। আমি বিল দিলাম ,সে পরিশোধ করলো যাওয়ার আগে বললৌ তার বেচে যাওয়া খাবারগুলো ডগি বেগে দিয়ে দিতে। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে আমি সেগুলো বিনে ফেলেছি। নতুন খাবার দেয়ারও কোন উপায় নাই।
কি করবো ভেবে না পৈয়ে ভেতরে গিয়ে বিন থেকেই তুলে ডগি ব্যাগে করে কাষ্টমারকে দিয়ে বিদায় করলাম। এরপর থেকে বিবেকের দংশনে মরছি। কাজটা কি ঠিক হলো? সে যদি ঐ খাবার কুকুরকে খাওয়ায়তো ঠিক আছে কিন্তু যদি নিজে খায় ?
খেতে বসলেই খালি মনে হয় ঐ বিন থেকে তোলা খাবারটাই আমি খাচ্ছি।
2.প্রায় সব ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্টে মালিকরা টিপস রেখে দেয়। অথচ কাষ্টমারকে ভালো সাভিস দেয়ার কারনে তারা এই টিপস দেয় ওয়েটারদের খুশি করে।
ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্ট এ কাজ করাকালিন আমার কলিগরা মালিককে ফাকি দিয়ে টিপস রেখে দিতো। আমি এই কাজটা কখনই পারতামনা। কেন জানি এটাকে চুরি মনে হতো। বিবেক বাধা দিতো। অথচ টিপস ওয়েটারদেরই প্রাপ্য।
3.উইকেন্ড এ বন্ধুরা নাইট ক্লাবে যায়। সপ্তাহের এই দিন দুটোতে যে যেভাবে পারে এনজয় করে। আমাকে প্রায়ই টানাটানি করে নাইট ক্লাব ,পাব কিংবা সিনেমা হলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু অমার যেতে বিবেকে বাধে। নাইট ক্লাব কিংবা পাবের পরিবেশের কথা জানলে আমার প্রিয়া এটা মেনে নেবেনা।
যদিও আমি না বললে তার জানার কথানা তবুআমার বিবেকে বাধে। যাবার কথা চিন্তাকরলেই তার মুখটা ভেসে উঠে। তাছাড়া এই সামান্য আনন্দের জন্য কষ্টাজিত পয়সা নষ্ট করতে ইচ্ছে হয়না।
(নিজেকে ভালো সাজাবার উদ্দেশ্যে এই পোষ্ট নয়। বিবেক জিনিসটা আমাদের কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সেটা বুঝাবার সামান্য প্রয়াস মাত্র।
)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।