আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়েঃ অমৃত না গরল !!!!????

আমার এলোমেলো ভাবনা গুলো বড্ড বেসামাল

বিয়ে একটি আদিম সামাজিক অনুষ্ঠান। সস্তান জন্মানোর একটা বৈধ সার্টিফিকেট। প্রাগৈতিহাসিক প্রথা। যদিও সভ্য সমাজ নানাবিধ বিকল্প ইতিমধ্যে বাৎলে নিয়েছে। তবুও বিয়ের চিরন্তন আবেদন কিন্তু শেষ হবার নয়।

এই ধরুন না- বিয়ে উপলক্ষে সব আত্মীয়-স্বজন একত্রিত হয়। কত আনন্দ (অনেকাংশে দুঃখও) ভাগাভাগি করার এক অপূর্ব সুযোগ। কনে দেখা, গায়ে হলুদ, বিয়ে, শুভদৃষ্টি, বাসর... কতই না বাহারি আয়োজন। জানি না এর শাস্ত্রীয় প্রয়োজন কতখানি, কিন্তু সোস্যাল ভ্যালু কিন্তু অপরিসীম। যদিও পন (যৌতুক) প্রথার কারণে বিবাহ নামক অনুষ্ঠান অধুনা ফ্লপ মারতে শুরু করেছে।

বিবাহের রীতি কিন্তু বেস মজার। ধর্মভেদে-বর্ণভেদে এমনকি স্থান ভেদেও রীতিতে বৈচিত্র্য পরিলতি হয়। পাক কালামকে স্বাক্ষী রেখে কাবিননামায় সই করে মুসলমান বিয়ে হয়। যদি দং হৃদয়ং মম- তদস্তু হৃদয়ং তব- হিন্দু রীতির উলেল্লথযোগ্য দিক। সাতপাক আবার হিন্দু বিয়ের ইউনিফর্মাল রীতি।

অবশ্য মঙ্গলসূচক নানাবিধ মন্ত্রাচার তো আছেই। খৃস্টীয় বিবাহ আরও বিচিত্র। ক্যাথোলিকের আদেশেই তারা স্বামী-স্ত্রী হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য সে েেত্র উভয়পক্ষের অভিভবকের সম্মতিক্রমেই যাযক এ আদেশ দেন। বাইবেল থেকে নব বর-বধু যেন সুখে-দুঃখে এক সাথে থাকে তার জন্য আশীর্বাণী পাঠ করা হয়।

যে যে রীতিতেই বিয়ে করেন না কেন উদ্দেশ্য কিন্তু এক। মিউটুয়্যাল ট্রাস্ট। কাবিন, সাতপাক-অগি্ন স্বাক্ষী যাই করা হোক না কেন এটা তাদের মঙ্গলার্থেই; কখনো বা বিবাহত্তোর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য। সব কিছুই বায়বীয়। আসল কিন্তু মিউচুয়্যালিটি।

এটা না থাকলে সব পণ্ড। বিয়ের অনেক মজার দিক রয়েছে। প্রবাদে আছে আছে- মানুষ দুই ধরনের- বিবাহিত এবং জীবিত। আমি অবশ্য শেষ দলের। অনেকে আবার বিয়ের পনের টাকায় রাতা রাতি ব্যবসায়ী বা চাকুরে বনে যান।

বিয়ে আবার কারও জন্য মঙ্গল কারো জণ্য অমঙ্গলকারক। আজ যে সদানন্দ ছিল বিয়ের কলে পিষে তাকে একেবারে নিরানন্দ করে দিল। বিয়ে আবার কারও জন্য রাজটিকা। বিয়ে করে কেউ তৃপ্তি র ঢেকুর তোলেন। কেউ বা হারানোর যন্ত্রনায় কাতর হন।

কেউ বা নিজের বাজার দর যাচাই করেন; কার চেয়ে সে কত বেশি পন নিল এই আরকি। বিজ্ঞজনেরা কিন্তু বিবাহ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন বার বার। এটা নাকি দিলি্লর লাড্ডু। যারা খায় তারাও পস্তায়- যারা না খায় তারাও পস্তায়। আমি কিন্তু খেয়ে পস্তানোর পক্ষে।

পস্তানোর আগে অন্তত লাড্ডুর স্বাদ তো বাড়তি পাওয় যাবে। একজন বিদগ্ধ শিল্পীকে অনেক দুঃখ করে গাইতে শুনেছিলাম- কেউ বিয়া কইরো না; ওই ফান্দে পইড় না শোন আমার কথা ভাই ওই রাস্তা ধইরো না আমিতো মরেছি তাই তোমায় বলি গো হইয়ো না ছাদনা তলায় পাঠাবলি গো... এখন আপনিই ভাবুন- কি করা উচিৎ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।