আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গ বিয়েঃ আবারো বিয়ে নিয়ে আমার ভাবনা

আমার বিচ্ছিন্ন ভাবনার চিন্তিত ব্লগে স্বাগতম

চাকরিদাতারা সিভি বা বায়োডাটা চায়। সেখানে একজন চাকরি পার্থী কি কি পড়াশোনা করেছে, অভিজ্ঞতা আছে কিনা, থাকলে কি টাইপ, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। তারপর একটা ছোট বা বড় টেস্ট হয়। তারপর নিয়োগ। অনেক ক্ষেত্রে প্রবেশন পিরিয়ড থাকে।

সে যাই হোক। আমাদের সমাজে পারিবারিক ভাবে সেটল বিয়ে গুলোতে এমন সিভি বা বায়োডাটা চাওয়া হয় ছেলে বা মেয়ে দু পক্ষ থেকেই। এমনকি বিয়ে টা যদি হয় পাত্র পাত্রীর নিজেদের পছন্দে সেক্ষেত্রেও বাবা মা কে বায়োডাটা দিতে হয়। সেখানে উল্লেখ থাকে যেসব বিষয় তা হলো কার ফ্যামিলিতে কে কোথায় জব করে । এক্ষেত্রে ফ্যামিলি মেম্বারদের জব ইন্সটিটিউট বা পদবী খুব গুরুত্ব পূর্ণ।

ধরুন আপ্নে লিখলেন আপনার চাচা অমুক কোম্পানির সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ। কাম হইবো না। যদি লিখসেন র্যা ব, পুলিশ, আর্মি অফিসার বা বিসিএস ক্যাডার তাইলে তো মেয়ের ফ্যামিলি পারলে আপনার সাথে নয় আপনার চাচার সাথে মেয়ের বিয়ে দেয়। এসব বিয়ে আসলে আর কিছুই নয় জাস্ট ফ্যামিলি বেচা... ন্যাক্কারজনক এসব পদ্ধতিকে লাথি মারা উচিত। আমি বিয়ের আগে খোঁজ খবর করাকে অস্বীকার করছি না কিন্তু মূল ফোকাসটা হওয়া উচিত পাত্র বা পাত্রী কতটুকু পরিপূর্ণ মানবিক গুণাবলী ধারণ করে বা ব্যাক্তিত্তসম্পন্ন সেটা।

আর যদি এই ব্যবস্থা চলতেই থাকে তাহলে আরো কিছউ ইনফো যোগ করা উচিত তাহলে আমি এটা মেনে নিবো। যেমনঃ ১। ছেলে বা মেয়ে এই বিয়ের আগে কে কতটা প্রেম করেছে এবং প্রেম গুলো ভেঙ্গেছে কেনো। এটা উল্লেখ থাকলে আপকামিং সম্পর্ক টা শক্ত হবে। ২।

আগের প্রেম গুলো শারীরিক ভাবে কত টুকু অ্যাডভান্স ছিলো এবং কোন ভিডিও রেকর্ড স্বেচ্ছায় কেউ করেছিলো কিনা বা সেগুলো নেটে পাওয়া যায় কিনা। এতে বিবাহ পরবর্তী বিব্রতকর অবস্থা সামাল দিতে সুবিধা হবে। ৩। শারীরিক গঠন খুবই গুরুত্তপূর্ন। ছেলে এবং মেয়ে দু পক্ষেরই।

অনেক সময় বিয়ের পরে শরীরের অন্য রুপ ধরা দেয় যা কিনা মনঃপীড়ার কারণ হয়ে দাড়ায়। যেখানে হাইট লেখা থাকে তার ঠিক নিচেই শরীরের অন্য পার্ট গুলোর বর্ননা দিয়ে দেওয়া জরুরী। ৪। বিয়ে কি? সামাজিক বন্ধন, বংশ ধরে রাখা, দায়িত্ব নিতে শেখা ইত্যাদি অনেক ত্যানা পেচানো হয়। শুধু জৈবিক বিষয় টা সবাই উহ্যে রাখে।

কেনো লজ্জারে ভাই? দিন শেষে বিছানাই তো ঠিকানা তাই না? সো সিভি বা বায়োডাটা চালাচালির পরে একটা প্র্যাকটিস ম্যাচ তো হতেই পারে ট্র্যাডিশনাল ছেলে মেয়ে দেখাদেখির বদলে। এতে কারো কোন বিশেষ আচরন যদি ছেলে বা মেয়ে কেউ অপছন্দ করে সেটা সল্ভ করে নেওয়া যায় কিন্তু। বিয়ের পরে মেয়ে ছেলে কে এটা করতে দিবে না, ছেলে সেটা করবেই কিংবা মেয়ে এটা চায় কিন্ত ছেলে সেটাতে মজা পাচ্ছে না এসব কমপ্লেক্সিটি তাহলে আর থাকতো না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।