সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
ভারতের বাইরে এতকাল হিন্দি সিনেমা গিয়েছে পরিচিত ও সীমিত পরিসরে। কিন্তুসিনেমাগুলোর বিষয় ভারতেই ছিল। এক সময় হিন্দি সিনেমার নায়ক-নায়িকারা রেগুলার সুইজারল্যান্ড, মরিশাস যেতেন প্রি-ম্যারিটাল বা ম্যারিটাল হানিমুন সারতে। এখন বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের নতুন ভূমিকার কারণে বোম্বের ফিল্মের নায়ক-নায়িকা, কাহিনী, বিষয় ঘন ঘন আমেরিকা যাইতেছে।
তাদের ব্রিটেন গমন অবশ্য সুইজারল্যান্ড বা মরিশাস যাওয়ার মতোই বনেদি ব্যাপার। এবার বলিউড আফগানিস্তান অভিযানে নেমেছে। আমার জানা মতে আফগানিস্তানে এটা তাদের দ্্বিতীয় অভিযান। প্রথম বার অভিযান চালিয়েছিলেন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এসকেপ ফ্রম তালিবান (2003) সিনেমার মধ্য দিয়ে। তালিবান সমস্যা যখন প্রচণ্ড আলোচিত প্রসঙ্গ তখন বলিউড এই ট্রাশ পয়দা করেছিল।
আর এখন ভারত আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মাতবর। আমেরিকার দক্ষিণ এশিয়া নীতির মোক্ষম সমর্থক। তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের একনিষ্ট অংশীদার। এতকাল ভারতের সাংস্কৃতিক যুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছিল বলিউডের হিন্দি সিনেমায় পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিবাদীদের তুলোধুনা করতে করতেই। কিন্তু এবার তাদের পরিসর ঘোড়া ডিঙ্গিয়েছে।
পাকিস্তান ডিঙ্গিয়ে আফগানিস্তানে ঘাস খেতে গিয়েছে বলিউড। তার ফলাফল হলো, সেখানে গিয়েও পাকিস্তানের গানই গেয়েছে তারা সবচেয়ে বেশি।
কাবুল এক্সপ্রেস এক বর্ণবাদী, ও দাদা(গিরি)বাদী সিনেমা। পরিচালক কবির খান নাকি এর আগে আফগানিস্তান নিয়ে অনেক ডকুমেন্টারি বানিয়েছেন। কিন্তু আফগানিস্তানে মানুষ, ইতিহাস বিষয়ে তার কোনো ধারণাই জন্মায়নি।
এই পোড়ো ভূমির যুদ্ধ কবলিত দেশ নিয়ে তিনি যে প্রহসণ নির্মাণ করেছেন তা বলিউডের বর্ণবাদের ইতিহাসে নতুন একটি মাইল ফলক তৈরি করলো। আফগানিস্তানে এই মুভি নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছে। তার এই ছবির বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির তীব্র প্রতিবাদ করেছেন।
দুই ভারতীয় টিভি সাংবাদিক আফাগনিস্তানে যায় তালিবান যোদ্ধার সাক্ষাৎকার নিয়ে এক্সক্লুসিভ রিপোর্টের খোঁজে। তাদের সঙ্গে জোটে এক মার্কিন ফটো জার্নালিস্ট।
পথে তাদেরকে জিম্মি করে এক আফগান। আমেরিকান সাংবাদিক আবিষ্কার করে ইনি একজন পাকিস্তানী অফিসার। যাকে শেষ সিনেমার শেষে পাকিস্তানী সৈন্যরা গুলি করে হত্যা করে। কারণ পরিবর্তিত পরিস্থিতি। পাকিস্তান যেহেতু তালিবানদের সাহায্য দেয়ার কথা অস্বীকার করতে চায় তাই এই তাদের নতুন ভূমিকা।
এই সিনেমায় একটি আমেরিকান সৈন্য, এক আমেরিকান যুদ্ধ বিমান, একটি আমেরিকান পতাকা নেই। দেখানো হয়েছে এখানকার হাজারা জাতি ভীষণ খারাপ। এখানে জনতা তালিবানদের ধরে গণপিটুনি দিয়ে খতম করছে। এখানে মানুষের জীবন অবিশ্বাস, হিংসা আর হতাশায় পূর্ণ আর এরজন্য বিশেষভাবে দায়ী পাকিস্তান। যেন আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন কোনো প্রসঙ্গ নয়।
এই ভয়ংকর সিনেমায় একটি বিষয়ই হয়তো ভালভাবে এসেছে তা হলো দেশটির পুরোটাই একটা ধ্বংসস্তূপ। এই সিনেমা দেখতে দেখতে মনে পড়ছিল ইরানি পরিচালক মহসেন মাখমালবভের [link|http://www.somewhereinblog.net/mahbubmoreblog/post/20481|Kv
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।