একটা কলার খোসা। কলা খাবার পর সেটাকে ফেলে দিলাম রাস্তায়। তারপর সেটার কথা একেবারে ভুলে গেলাম। দিনের কোন একটা সময়ে যে কলাটা খেয়েছিলাম, সে কথাও মস্তিষ্ক সংরক্ষণের কোন প্রয়োজন মনে করল না। অথচ ঐ কলার খোসায় পা পিছলে যে ব্যক্তি আছাড় খেল, সে তো আমার চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধারে স্বেচ্ছাসেবীর (পড়ুন 'গালি প্রদানকারী') ভূমিকায় অবতীর্ন হল।
কিন্তু এখন মজার বিষয়টা খেয়াল করুন। আমার তো এইটাই মনে নাই যে আমি একটা কলা খেয়েছিলাম। তাহলে সেইটার খোসা নিয়ে যে কেউ আমাকে গালিগালাজ করবে, এ ধরণের চিন্তা তো আমার ভাবনারও বাইরে। আমাদের দেশের শিক্ষা-ব্যবস্থাও অনেকটা এরকম। কে বা কারা নিজেদের মনের মাধুরী (ইট'স নট এবাউট দীক্ষিত) মিশিয়ে, হাবিজাবি তথ্যের ভিত্তিতে একটা পাঠ্য বই দাঁড় করিয়ে দেয়।
কিন্তু সেই বই পাঠকালে শিক্ষার্থিদের যে কতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, এ বিষয়টা কি তারা কখনো ভেবে দেখেন?
উদাহরণস্বরূপ ৫ম শ্রেণির গণিত ও বিজ্ঞান বইয়ে জনসংখ্যা সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য কিংবা নবম-দশম শ্রেণির সাইন্স ও কমার্সের দুই বইতে দেশের রেলপথের আয়তন সংক্রান্ত দুই রকম তথ্যের সন্নিবেশনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। আর সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় স্বাধিনতার ঘোষক কে, তা নিয়ে। কখনো বইতে দেখি শেখ মুজিব। আবার ৫ বছর পরই দেখি তা বদলে হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।