timursblog@yahoo.com
পা ফাঁক করে গম্ভীরভাবে দরজা দিয়ে বাইরে তাকাল অ্যালেন । ভেতরে ভেতরে এক পরিচিত শীতলতা অনুভব করছে । সাবধানে হাতের তালু মুছল সে । 'বিলটন শহরে আছে?'জানতে চাইল সে ।
'হ্যাঁ, মাজাটজাল স্যালুনে তাস খেল ছে ও ।
'
'ও কী মেক্স স্পার পড়ে? বড় দাঁতের স্পার?'
চোয়াল ডলল লোকটা । 'আমার মনে পড়ছেনা । সাবধানে থেক, সবাই খুব হুঁশিয়ার হয় চলছে । '
কাদাভরা রাস্তা ধরে চলল রিং । অন্ধকার জেনারেল স্টোরের কাছে এসে কাঠের বোর্ডওয়াকে এসে উঠল ।
বুট থেকে কাদা ঝেড়ে আবার হাত শুকাল সে । তারপর সাবধানে বর্ষাতির বোতাম খুলল ।
দ্বিতীয়বার কেউ এ সুযোগ পাবে না, জানে সে । এখন মাজাটজাল স্যালুনে যাওয়া মানে একটা বিস্ফোরন ঘটানো । তবে সে নিজেই এ বিস্ফোরণের সলতে ধরাবে, নিজস্ব উপায় ।
অন্ধকারে একা দাঁড়িয়ে ব্যাপারটা ভেবে নিল সে । ওরা সবাই থাকবে ওখানে । ব্যাপারটা হবে অনেকটা ডিনামাইটের বান্ডিলে জ্বলন্ত দেশলাইয়ের কাঠি ছুঁড়ে দেয়া । পিস্তলবাজিতে আরেকটু পাকা হাত থাকলে ভাল হত, ভাবল সে । কিন্তু সবসময়ই একা একা কাজ করেছে সে, অন্যভাবে কিছু করতে জানেই না সে ।
বোড়্ড ওয়াকের ওপর লম্বা লম্বা পা ফেলে এগিয়ে চলল রিং । বৃষ্টির ঝমঝমের শব্দ, ডুবিয়ে দিচ্ছে তার বুটের আওয়াজ । কিছুতেই সেই স্পার টাকে মেলাতে পারছেনা সে । বুটটাকেও না । নাহ, কালো খাতাটা তাকে বাগাতেই হবে আবার ।
মাথা নীচু করে বৃষ্টির মধ্যে চারটে ঘোড়া দাঁড়িয়ে আছে । চেয়ে দেখল অ্যালেন, ওগুলো তিনটে আলাদা ব্র্যান্ডের ঘোড়া । বৃষ্টি ভেজা জানালার ভেতর দিয়ে স্যালুনের ভেতরে তাকাল সে ।
লম্বা ঘরটা ধোঁয়ায় ভর্তি আর ভীড়ে ভীড়াক্কার । পেতলের রেইলে পা তুলে মানুষ বার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ।
প্রায় ডজনখানেক টেবিলে তাস খেলছে মানুষ । মনে হয়, সবাই বৃষ্টি থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছে ওখানে । হ্যাজলিট ভাইদের দেখল অ্যালেন, কামরার পেছনের একটা টেবিলে বসে আছে একসাথে । এরপ রে রস বিলটনকে চোখে পড়ল তার, দরজা সামনে রেখে তাস খেলছে সে । স্ট্যান ব্রুল বারের এক প্রান্তে আর হেগেন দেয়াল ঘেঁষে একটা টেবিলে ।
তিনজনে মিলে একটা ত্রিভুজ রচনা করেছে যার ভিত্তি হচ্ছে দরজাটা ।
তাহলে এটা কোন কাকতালীয় ব্যাপার নয়, বিলটন গোলমাল আশংকা করছে । তবে ঠিক হ্যাজলিটদের কাছ থেকে নয় । যদিও ভেবে দেখল অ্যালেন, ত্রিভুজটা হ্যাজলিটদেরকেও ক্রসফায়ারে ফেলতে পারে । দরজার দিকে পেছন ফিরে একটা লোক বসে বিলটনের সাথে তাস খেলছিল ।
আর হেগেনের খুব কাছেই বারে, রলি ট্রুম্যান ।
ড্রিংকটা নিয়ে খেলা করছে ট্রুম্যান । স্রেফ সময় পার করছে, মনে হচ্ছে একটা কিছু ঘটার অপেক্ষা করছে সবাই ।
ওরা কী ওর জন্যই অপেক্ষা করছে ? নাহ, ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য নয় । ওরা জানেনা যে সে খাতাটা পেয়েছে ।
তবে, কামরার একটা লোক নিশ্চিত জানে বলেই তার বিশ্বাস । বোধহয় এটা স্রেফ টেনশন, সে রেডরকের দখল বুঝে নেবার কারনে সৃষ্টি হয়েছে । বর্ষাতির কলারটা তুলে দিয়ে হাতদুটো আনার মুছে নিল সে ।
এরকম পরিস্থিতে সবসময়ই যা হয়, নার্ভাস লাগছে আর গলা শুকিয়ে যাচ্ছে । পিস্তলের বাঁট স্পর্শ করল রিং , তারপর দরজা ঠেলে ঢুকে পড়ল স্যালুনে ।
সবাই একসাথে তাকাল ওর দিকে । একটা তাস বাঁটছিল বিলটন, শুন্যে জমে গেল তার হাত । দশ সেকেন্ড তাস হাতে সে জমে রইল যতক্ষণ না রিং দরজাটা বন্ধ করল । ঘরে ঢুকে আরেকবার চারপাশটা জরিপ করল সে, রস বিলটন তাসটা অন্য লোকটাকে দিয়ে নীচু গলায় কী যেন বলল । ঘুরে তাকাল লোকটা, বেন টেইলর !
শীতল কৌতুহলী চোখে জুয়াড়ি লোকটা অ্যালেনের দিকে চাইল, এবং এক মুহুর্তের জন্য ওদের চোখাচোখি হল ।
সটান ওর দিকে হাঁটা দিল অ্যালেন রিং ।
ঘরে আর কোন শব্দ নেই, বাইরে বৃষ্টির গর্জন ছাড়া । টেইলরের চোখে একটা কিছুর আভাস দেখতে পেল রিং ।
'দারুন একটা তাস চেলেছিলে তুমি টেক্সাসের পথে,' বলল রিং । 'দারুন তাস!'
'আরও তাস টানতে পার তুমি,' বলল টেইলর ।
'চমৎকার একটা জোড়া ধরে আছো তুমি !'
লোকটা নড়ে ওঠার সাথে সাথে স্পারের ঝুনঝুন শব্দে রিংএর চোখ গেল সেদিকে । বেন টেইলর বড় দাঁতের ক্যালিফোর্নিয়া স্পার পড়ে আছে, এদিকটায় মেটেই দেখা যায় না ওরকম স্পার । টেইলরের পাশে দাঁড়াল সে, যাতে ওর দিকে তাকাতে মুখ তুলতে হয় ওকে । স্পষ্ট টের পাচ্ছে রিং, এখন ও ব্রুল আর হেগেনের ফায়ারিং লাইনের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে । কৌতুহলী হয়ে মুখ তুলে তাকাল হ্যাজলিটরা, ব্যাপারটা কোন দিকে মোড় নিচ্ছে বুঝতে পারছে না ওরা ।
'আমাকে জিনিসটা দিয়ে দাও টেইলর,' শান্ত গলায় বলল রিং । 'এখনই ফেরত দাও জিনিসটা আমাকে ।
'কী বলছ আমি কিছু বুঝতে পারছি না,' জ্বলে উঠল বেন ।
'না?'
পা সামান্য ফাঁক করে দাঁড়াল রিং, ওর হাতদুটো বুকের কাছে , একটা বর্ষাতির প্রান্ত আঁকড়ে আছে । বাঁ হাতে ঘুষি হাঁকাল রিং ।
বেনের জন্য হুকটা ছিল খুব দ্রুত, আকস্মিক ও অল্প দুরত্বের ।
চোয়ালের ওপর ঘুষিটা পড়ার শব্দ শুনতে পেল সবাই । রিংএর ডানহাত এবার নেমে এল এবার জুয়াড়ি টেইলরের সোলার প্লেক্সাসের ওপর, হাঁটু ভাজ হয়ে গেল তার । একটানে ওর কোটের সামনের অংশটা খুলে ফেলল রিং, বোতামগুলো ছিটকে পড়ল মেঝেতে । হ্যাঁচকা টানে ভেতরের পকেট থেকে বের করে আনল খাতাটা ।
দেখল রিং, হ্যাজলিটরা সব সচকিত হয় উঠেছে, আর বিলটন এতো জোরে ছিটকে পেছনে চলে গেল যে চেয়ারটা উলটে পড়ল ।
'ওকে আটকাও!' গর্জন করল বিলটন । 'আটকাও ওকে!'
ধাক্কা দিয়ে টেইলরকে টেবিলের ওপর এনে ফেলল রিং । টেবিলটা উল্টে পড়ায় ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য লাফ দিয়ে পেছনে সরে যেতে বাধ্য হল বিলটন । হাঁটু মুড়ে বসে পড়ল রিং মেঝেতে, একই সাথে পেছন ফিরে দেখল পিস্তল উঠে আসছে ব্রুলের হাতে ।
এবার গুলি করল সে !
পিস্তলটা তুলে এনেছিল স্ট্যান ব্রুল, এমন সময় চোয়ালে গুলিটা লাগল ওর । ঝাঁকি খেন লম্বা লোকটা, ঘৃণা আর বিস্ময়ে বিকৃত তার মুখ । আবার গুলি করে করে, হাঁটু ভাজ করেই লাফ দিয়ে আগে বাড়ল রিং, মাটিতে পা পড়ার সাথে সাথে আবার গুলি করল । হেগেনের বুলেটটা আঘাত হানায় টলে উঠল অ্যালেন । ঠান্ডা মাথায় আবার ফায়ার করে আধপাক ঘুরে বিলটনের বেল্ট বাকলের ঠিক ওপরের আরেকটা গুলি ঢুকিয়ে দিল রিং ।
খুব দ্রুত, ক্ষিপ্র কিন্তু কার্যকর অ্যাকশন । চারটে গুলি করতে ওর তিন সেকেন্ডও লাগেনি ।
এক পা পেছনে হটে, মেঝেতে পড়ে যাওয়া টালি খাতাটা পকেটে পুরল ও । বিলটন মাটিতে পড়ে আছে, মুখ দিয়ে রক্ত বের করছে কাশির সাথে । ভাঙ্গা ডানহাত নিয়ে, জড়ান অবাক গলায় গালগাল করছে হেগেন ।
আর মাটিতে পড়ার আগেই মারা গেছে স্ট্যান ব্রুল । উঠে দাঁড়িয়ে আগে বাড়তে যাচ্ছিল হ্যাজলিটরা, এক কদম পিছে হটে পিস্তলটা হাত থেকে ফেলে দিল রিং, বর্ষাতির নীচ থেকে শটগানটা ফায়ারিং পজিশনে নিয়ে এসেছে সে ।
'পিছে হট!' জড়ান গলায় বলল সে । 'সবাই পিছনে যাও, নইলে তিনজনকেই খুন করব আমি !'
ক্ষুধার্ত নেকড়ের মত হিংস্র চেহারা ওদের তিনজনের, কিন্তু শটগানের সাথে কোন তর্ক চলে না । ধীরে ধীরে অনিচ্ছার সাথে, এক পা এক পা করে পিছিয়ে গেল ওরা ।
শটগান নাড়ল রিং । 'তোমরা সবাই, দেয়ালের কাছে গিয়ে দাঁড়াও !'
সবাই উঠে ওর দিকে চোখ রেখে পিছিয়ে গেল । অনিশ্চিত, হুঁশিয়ার, কেউ কেউ ভীত ।
ওদের যেতে দেখল অ্যালেন রিং, মাথা ঘুরছে তার । খুলির মধ্যে দপ দপ করতে থাকা ব্যাথাটা দুর করার চেষ্টা করলে রিং ।
দুর্বলটা অন্য কোন জায়গা থেকে আসছে ।
'মাই গড !' বলে উঠল রলি ট্রুম্যান । 'গুলি খেয়েছে লোকটা !'
'পিছে হট!' জড়ান গলায় বলল রিং ।
পেটমোটা স্টোভটার দিকে নজর গেল ওর । শটগানটা কোমরের কাছে ধরে এগিয়ে গেল সে স্টোভটার দিকে ।
সবকটা লোকের চোখ ওর দিকে ।
স্লিং থাকায় শটগানটা ধরে রাখতে সুবিধা হচ্ছে ওর । ডানহাত আলতো করে ধরে রেখেছে, আঙ্গুল ট্রিগারে । বাঁ হাতে স্টোভের পাল্লাটা খুলে, পকেট হাতড়াল ও ।
'না!' গর্জে উঠল বাক হ্যাজলিট ।
রাগে চোখ জোড়া ঠেলে বেরিয়ে আসছে ওর । 'না ! এটা করতে পার না তুমি !'
ছুটে আসতে যাচ্ছিল সে সামনে । শটগানের নলটা মাটিতে নামিয়ে গুলি করল রিং । বাকের পায়ের কয়েক ইঞ্চি সামনে বিঁধল গুলি । এত দ্রুত থামল সে প্রায় উল্টে পড়ে যেতে যাচ্ছিল সে ।
শটগান ওপরে উঠে কাভার করল তাকে ।
'পেছনে !' হুকুম দিল রিং, পায়ের ওপর টলছে সে । 'পেছনে!' বলেই টালি খাতাটা ছুঁড়ে ফেল ল সে স্টোভের মধ্যে ।
চেপে রাখা শ্বাস ছাড়ল জনতা । তাকিয়ে থাকল ওরা, দেখল আগুনের লকলকে শিখা ঘিরে ফেলল খাতাটাকে ।
প্রথমে বাদামী, তারপর কালো, সবশেষে ছাই হয়ে গেল ওটা । মন্ত্রমুগ্ধের মত সেদিকে চেয়ে রইল সবাই ।
রিংএর চোখ গেল বাক হ্যাজলিটের দিকে । 'বেন টেইলর খুন করেছিল ওকে,' বলল সে । 'টেইলর সাথে ছিল বিলটন, ও দেখে ফেলেছিল এটা ।
'
'শুধু তোমার কথাকেই মেনে নিতে হবে আমাদের ?' ক্রুদ্ধভাবে দাবি করল বাক হ্যাজলিট ।
চোখ বড় তাকাল অ্যালেন রিং । 'তুমি প্রশ্ন করতে চাও এটা নিয়ে ? নাকি আমাকে মিথ্যাবাদী বলতে চাও তুমি । '
ওর দিকে চাইল হ্যাজলিট । তারপর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাল,'না, ঠিক আছে ।
ওরাই করেছে এ কাজ। '
'আমি তোমাদের সত্যি কথাই বলেছি,' বলেই হাঁটু ভাঁজ হয়ে গেল রিংএর । ধপাস করে মেঝেতে গড়িয়ে পড়ল ও ।
সবাই ছুটে এল সামনে । রলি ট্রুম্যান, স্টোভের সামনে বাক হ্যাজলিটের দিকে চাইল ।
বিশালদেহী লোকটা আগুনের দিকে মিনিটখানেক তাকিয়ে থেকে স্টোভের পাল্লাটা বন্ধ করে দিল ।
'ভাল!' বলল সে । 'এই ভাল হয়েছে! জিনিসটা আমাদের ওপর একটা কাল মেঘের মত দাঁড়িয়ে ছিল । '
জানালা দিয়ে উজ্বল রোদ গলে পড়ছে, এমন সময় গেইল ট্রুম্যান ওকে দেখতে এল । বিছানা সোজা হয়ে বসতে পারে ও এখন, আগের চেয়ে সুস্থ লাগছে ।
বাড়ি ফিরতে পারলে ভাল হয়, অনেক কাজ জমে আছে । ভেতরে এসে মেয়েটা তার বুটে, রাইডিং হুইপ দিয়ে আলতো বাড়ি দিয়ে হাসল ।
'ভাল লাগছে?' জিগ্যেস করল সে । 'তোমাকে দেখতে অবশ্যই ভাল লাগছে । দাড়ি কামিয়েছো তুমি ।
'
দাঁত বের করে হেসে, চিবুকে হাত বোলাল অ্যালেন । 'দরকার ছিল ব্যাপারটার । দু'সপ্তাহ বিছানায় পড়ে ছিলাম । আঘাতটা নিশ্চয়ই খারাপ ছিল খুব । '
'অনেক রক্ত হারিয়েছিলে তুমি ।
তোমার হার্ট খুব শক্ত । '
'এখন আর এত শক্ত নয়,' বলল রিং । 'খুবই দুর্বল হয়ে পড়ছি আমি ও জায়গাটায় । '
লাল হয়ে উঠল গেইল । 'ওহ? তোমার নার্স , ধরে নিতে পারি আমি ?'
'মেয়েটা সুন্দরী তাই না?'
চমকে তাকাল গেইল ।
'তার মানে তুমি--'
'না, হানি,' বলল রিং, 'তুমি । '
'ওহ,' ওর দিকে তাকাল গেইল । তাপর পর চোখ নামিয়ে নিল । 'আমার মনে হয় --'
'ঠিক আছে ?'
হঠাৎ হেসে উঠল গেইল । 'ঠিক আছে ।
'
'তোমাকে বলার দরকার ছিল, ' বলল রিং । 'আমাদের বিয়ে করতে হবে । '
'করতে হবে? কেন ?'
'লোকে কথা ছড়াবে । তোমার মত সুন্দরী অল্প বয়েসী কোন মেয়ে যদি সবসময় আমার ওখানে আসে লোকে ভাবতে পারে তুমি শুধু দৃশ্য দেখার জন্যই আসো !'
'ওরা যদি তাই ভাবে,' চটজলদি জবাব দিল গেইল । 'ওরা ভুল ভাববে !'
'তুমি বলছ আমাকে ?' জিগ্যেস করল রিং ।
শেষঃ-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।