আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আরকাইভ কাব্য 2:বড় মামা

অতীতকে নিয়ে নস্টালজিক হতে ভালোবাসি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেও।

এগার ভাইবোনের সবচেয়ে বড় ভাই, আর আমার ছয় মামার সবচেয়ে বড় মামা। গ্রামের ইলেকশনে জিতেন, সাইকেল চালিয়ে ইংল্যান্ডে যান, অসম্ভব সুন্দরী এক তরুনীকে বিয়ে করেন ও সুখে শান্তিতে জীবন কাটিয়ে দেন। এখন আমার তিন আইরিশ ভাই-বোন ও মামি সহ বিরাট বাড়িতে থাকেন। বড় মামা খুবই কর্মঠ একজন মানুষ।

সবাইকে সামলে নিতে পারেন হাসি ঠাট্টার মধ্যেই। এরকম মানুষ বেশি একটা পাওয়া যায় না। ছোটবেলায় মামাকে ভয় পেতাম, এখনও একটু একটু পাই অবশ্য। গত বছর বাংলাদেশে যাওয়ার পর আমাকে সাতার শেখানোর মিশন নিয়েছিলেন তিনি। কলা গাছ কেটে আমার আমার আইরিশ ভাইয়েরা পুকুরে ফেলতো, আর মামা ফেলতো আমাকে।

শেষে অনেক হাবুডুবু খেয়েও লাভ হয় নি, সাতারটা শেখা গেলো না । তবে প্রতিদিন বিকালে মামা সবাইকে নিয়ে নৌকা ভ্রমনে যেতেন। তাতেই সমস্ত দুঃখ ভুলে যেতাম। ছবিটা ওরকম একটা দিনেই তোলা, নৌকাতে। মামার কবিনী-ভাইগনা তার জন্য একটা কবিতা লিখেছে, 2002 সালে - প্রায় 11 বছর বয়সে।

তুলে দিলাম সেটা। বড় মামা আমার, সেরা সব মামার, মাথা জুড়ে টাক, লম্বা তার নাক, বড় বড় চোখ, হাসি ভরা মুখ। বড় মামা খুব ভালো, সব বিপদে জ্বালায় আলো। মনটা তার উদার ভারী, কারো সাথে দেয় না আড়ি। তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে লন্ডনে থাকে, দেশে আসে মাঝে মাঝে অবসরের ফাঁকে।

ছোট বড় কাউকে কিছু বাকি নেই দিতে, দড়িলাফ, টাইটস বা লাল নীল ফিতে। আমি খুব ভাগ্যবতী এমন মামা পেয়ে, যার অভাব হবেনা পূরণ কোন কিছু দিয়ে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।