ইত্তেফাক 13/12/06
মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনী নামার সঙ্গে সঙ্গে খুলনা মহানগরীসহ জেলার সহস্রাধিক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আত্মগোপন করেছে। ইতিমধ্যে অনেকে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৰমতা গ্রহণ করার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিল-মিটিংয়ে যে সকল চিহ্নিত ও উঠতি সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে অংশ নিতে দেখা গেছে তারাও গা-ঢাকা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, মহানগরীর পাঁচটি থানাসহ জেলার নয়টি উপজেলায় চরমপন্থী দলের ক্যাডারসহ সহস্রাধিক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে। ইতিপূর্বে র্যাব ও পুলিশের ক্রসফায়ারে চরমপন্থী দলের শীর্ষ নেতা সোয়েব-সুমন, ইকবাল হোসেন সৈকত, অমিত হাসান, আব্দুর রশিদ শেখ ও বিডিআর আলতাফসহ নগরীর বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হলে তাদের সহযোগী এবং তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা ক্রসফায়ারের ভয়ে আত্মগোপন করে।
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৰমতা গ্রহণের পর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আত্মগোপনকারী অধিকাংশ সন্ত্রাসী পুনরায় এলাকায় ফিরে আসে। এ সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিল-মিটিংয়ে প্রকাশ্যে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা যায়। রাজনৈতিক দলের মিছিল-মিটিং-এ অংশ নেয়ার পাশাপাশি সন্ত্রাসীরা টেলিফোন ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জীবননাশের ভয় দেখিয়ে নগরীর শিৰক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও ঠিকাদারসহ সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজি শুরম্ন করে। জীবনের ভয়ে অনেকে সন্ত্রাসীদের মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে বাধ্য হয়।
তবে গত রবিবার রাতে মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনী নামার সংবাদ পেয়ে অধিকাংশ সন্ত্রাসী আত্মগোপন করে।
সূত্র জানায়, অধিকাংশ আত্মগোপনকারী সন্ত্রাসী রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী সীমানত্দ পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তবে আত্মগোপনকারী সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ভান্ডার তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে রেখে গেছে। এদিকে একটি বিশ্বসত্দ সূত্র জানায়, দু'একদিনের মধ্যেই সন্ত্রাসীদের বিরম্নদ্ধে সেনাবাহিনী অভিযান শুরম্ন করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।