আমরা শুধু আপন মানুষ খুঁজি, আপন মানুষদের খুঁজতে হয় না, তারা পাশেই থাকে !! রাব্বীকে মেরে ফেলেছে ওরা। উৎসবের পটকা বাজী ফুটেছে ভেবে ক্যাম্পাসে ভেতরে ঢুকেছিল মাদ্রাসা পড়ুয়া রাব্বী। নাকি অন্য কিছু। কেউ জানেনা ছোট্ট এ শিশুটির মনে কি ছিল !! কিছু বোঝে উঠার আগেই গুলি খেয়ে মরে পরে আছে রাব্বী !
কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি, হকিস্টিক, রাম দা। কাজ হচ্ছে না দরকার পিস্তল।
ডিশওয়াইক, জয় বাংলা !!
জাতির সর্বশেষ্ঠ সন্তানরা আধিপত্য বিস্তারি গুলাগুলি করে। ডিশওয়াইক, জয় বাংলা !!
রাব্বীর আত্মীয়স্বজন, গ্রামবাসী প্রতিশোধের আগুনের উল্কা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল, ফজলুল হক হল, ঈশা খাঁ হল ও শহীদ জামাল হোসেন হলে ভাংচুর চালিয়েছে। লুটপাট চলছে। গতকালের ফটোকপি করা শীট, মায়ের জমানো টাকা দিয়ে কেনা ল্যাপটপ, ময়মনসিংহ শহরের ফ্যাশন হাউজগুলো থেকে ঘুরে ঘুরে কেনা টি-শার্ট, জিন্স, জাংগিয়া গুলো পুড়ছে। বিকট গন্ধ ! বুলেটে ক্ষত হওয়া রাব্বীর মগজের পোড়া গন্ধ !!
পাশের হলে আটকা পড়েছে কতক ছেলেপুলে।
তাদের পালিয়ে যাওয়া বন্ধুদের বাসও নাকি আটকে দিয়েছে এলাকাবাসী। তাদের উদ্ধার করতে আজাদ-ইমন পিস্তল হাতে এগিয়ে আসছে না। কত রাজনীতি করে ঢাকা থেকে ছিনিয়ে আনা কমিটি বিলুপ্ত বিলুপ্ত। ধুর ছাই ! কি জন্য যে গুলাগুলির মাঝখানে এসেছিল পিচ্চিটা। নিজেদের কেউ মরলেওতো ভাল হতো।
লাশ নিয়ে আরেকটা রাজনীতির খেলা জমতো। এদিকে বিরোধীদল আর পদ বঞ্চিতরা মুচকি হাসছে। এডভানটেজ নেয়া যায় কি না-সুক্ষ্ম চিন্তা চলছে মাথায়। আটকে পড়ারা আতংকে। কখন তাদের শিট, ল্যাপটপ, জিন্স, জাংগিয়ার ক্ষতি হয় সে আশংকা।
ক্যাম্পাস বন্ধ, না হয় প্রক্টরকে একটা ফোন দেয়া যেত। ধুর ছাই !! আর ভাল লাগছে না। এর চেয়ে গুলি খেয়ে রাব্বীর মতো মরে পরে থাকা ভাল !!
খবর ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।