"কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরিয়া গেছে.।" এখনো তোমাকে ভালবাসি- কথাটা নির্লজ্জের মত বলে বেড়াই নির্ঘুম জোনাকীদের কানে কানে, আমাদের মৃত ভালবাসা এখন রাজহাঁস সকাল- সন্ধ্যা ভেসে বেড়ায় প্রিয় নদীটির স্বচ্ছ জলে। সেই নদীটির তীরে এখনও কি তুমি একা একা হাঁটো? নাকি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছো অগন্তুক কুয়াশার ভয়ে? কত রাত, মধ্যরাত আমি হেঁটেছি তোমার সাথে আকাশের নক্ষত্র গুনে গুনে হাইচুনের যান্ত্রিক উষ্ণতায় ... ব্যাকরণহীন অজস্র কথামালা রাতের ছায়াপথে। তুমি আমাকে নিয়ে যেতে কমলা লেবুর বনে, রাস্তার দুপাশে কমলার বনে হলুদ মাতমে কানামাছি খেলতে খেলতে তুমি আমাকে দেখিয়েছিলে ফলবতি আপেল বৃক্ষের বুক। পাশের বাড়ীর কালো বিড়াল এখনো কি কাঁচঘরে এসে তোমাকে ভয় দেখায়? যার ভয়ে তুমি এসে লুকাতে বন্ধুর কোমল কবিতায় ! ব্যালকনি'র টবগুলোতে এখনো কি পুঁই শাক বেড়ে উঠে প্রেয়সীর হাত ধরে ? সেই মেয়েটি কি এখনো বৃষ্টি ভেজা দুপুরে ছুটে যায় তার বন্ধুর উষ্ণতায়? যার গল্প তুমি আমাকে শুনাতে অজস্র ভালুক সন্ধ্যায়। জেনেছি তোমার জানলায় এখন অসংখ্য শব্দের রোদ কবিতার উৎসবে অসংখ্য শ্রোতার করতালি, আমি বহুকাল প্রতীক্ষায় ছিলাম, এমন প্রগলভ কবিতার উৎসবে যোগ দিব বলে, কিন্তু আমার তা হয়ে উঠেনি। যখন কবিতার নিমগ্ন শ্রোতা ছিলাম তখন তুমি ছিলে বাকহীন শ্বেত পাথরের মূর্তি। এখন নিউরণে পুষে রাখা স্মৃতির ক্ষত, কমলার হলুদ বন পুঁই শাকের বাড়ন্ত ডাটা, ছুটে চলা মেট্রো রেলের উদাস জানালা, একটা লাল পাঞ্জাবী- প্রতিদিনের অনুজ্জ্বল ধূসর কবিতা। রাতের সন্তরনে ফিরে আসে জ্বলে জ্বলে চোখের কালো বিড়াল; নখের ক্ষিপ্রতায় তুলে নেয় একজোড়া অপরাধী চোখ; তারপর কানের কাছে ফিস ফিস করে বলে যায়, "পৃথিবীর কোন ভালবাসা নিঃশর্ত হয়না।"
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।