সব অভিমান আকাশের চেনা চেনা..
বহুদিন ধরে ইন্টারনেট পাগল আমি। তখন মিনিট প্রতি তিনটাকা গুনতে হতো, স্পিড ছিল 100বাইট/সেকেন্ড.. যেদিন 300 বাইটে উঠতো আমরা উত্তেজিত হয়ে গল্প করতাম। মালেশিয়া আসার পর বাড়িতে নেট ছিল না পাক্কা বছর খানেক। ল্যানসন প্লেসে গিয়ে হাইস্পীড নেট পেলাম প্রথম, অসম্ভব আনন্দের ঘটনা ছিল সেটা। এবার নিজের বাড়িতে 1মেগাবিট (ক্যানাডায় অবশ্য আর বেশী ছিল..) কানেকশান নিয়ে পুরো আকাশ ছুয়ে ফেলার আনন্দ ! 100 বাইটের বদলে এখন 100কিলোবাইট পার সেকেন্ডে ডাউন লোড চলে.. আহা! এনটিভির খবর দেখি, এটা নামাই সেটা নামাই..
যাই হোক, রাসেল (.........) ভাই এর কাছে শুনেছিলাম উনি বিট টরেন্ট থেকে মুভি নামিয়ে দেখেন, থিয়েটারে সেজন্য যানই না.. জাপটে ধরলাম, শেখাতে হবে কিভাবে ছবি নামাবো। সেই বিদ্যা কাজে লাগাতে গেলাম আজ সকালে, ব্রডব্যান্ড টেস্ট তো করতে হবে। নামিয়ে ফেললাম ক্যাসিরো রয়্যাল! কি তাজ্জব! হপ্তা খানেক আগে ছাড়া পাওয়া ছবি যে পাব সেটা আশা করিনি! প্রিন্টটা মন্দ নয় (ক্যামেরা প্রিন্টের চেয়ে 10গুন ভালো, তবে ডিভিডি কোয়ালিটি নয়) । সাড়ে তিন ঘন্টার মতো লাগছে। অতি আনন্দে এখন তাই বেসিক ইন্সটিঙ্কট টুনামাতে দিলাম..
96 কি 97 এ প্রথম যখন ওয়েব পেজ নামক জিনিসটা দেখি তখন গভীর বিশ্ময় আর মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম! এতো পর আবারো মুগ্ধ হই কখনও সেল ফোনে ছোট্ট স্ক্রিনটার মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর কথা ভেবে, কখনও বা প্রযুক্তির বদলে যাবার গতি কিংবা গতির বদলে যাওয়া দেখে..
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।