ছাত্রশিবির, নামটা শুনতেই চমকে ওঠার মত। কারন এদের সম্ভন্দে পত্রপত্রিকায় যে সব লেখা থাকে তা পড়লে সাধারণ মানুষের এমনই হওয়া কথা। প্রায়ই পত্রিকায় রিপোর্ট বেরহয় ছাত্রশিবিরের ক্যাডার বাহিনী রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়, চিটাগং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদের তান্ডবলিলা। তার কারো পায়ের রগ কেটে দিয়েছে, ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন করছে এইসব রিপোর্ট পড়লে তো আতকে ওঠারই কথা। আমার তো মনে হয় এমন একটা সময় হয়ত আসবে যে সময় মায়েরা তার শিশু সন্তানদের ঘুম পড়ানোর সময় ভুতের গল্প না বলে ভয়দেখানোর জন্য হয়ত শিবিরের গল্প বলবে।
কিন্তু এর পরের চিত্র ভিন্ন। শিবিরের দাবী তারা কোন সন্ত্রাসের সাথে জড়িত না। তারা দাবি করে তাদের বিরদ্ধ তথ্য সন্ত্রাস করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিবিরের সাবেক দুই কেন্দ্রীয় সভাপতি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমান করতে পারলে তারা শিবির করা ছেড়ে দিবে। এমনকি মাওলানা মতিউর রহমান নিজামি 1991 সালের সংসদে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন শিবির রগ কাটে এটা যদি কোন সংসদ সদস্য প্রমান করতে পারেন তাহলে তিনি তার দলের সংসদ সদস্য সহ পদ ত্যাগ করে অন্য দলে যোগ দিবেন।
এর পরে অনেক সময় পার হয়েছে পদ্মা মেঘনা যমুনায় অনেক পানি প্রবাহিত হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ এই প্রমান সংগ্রহ করতে পারেনাই। এর ফলা ফল এখন শিবিরের বিরুদ্ধে রগকাটা অপবাদ অনেক কমে গেছে।
কিন্তু গত 21/11/06 তারিখে চট্টগ্রামে ঘটেছে এক ভয়ংকর ঘটনা। সেখনে খোদ মুক্তিযুদ্ধের সপরে শক্তির বিরুদ্ধে রগকাটার অভিযোগ। আর রগকাটা হয়েছে শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগরী দনি সভাপতি জাহিদুল ইসলামের।
এই ঘটনায় চট্টগ্রাম ছাত্রদল সভাপতি প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছে "আগে শুনতাম শিবির রগ কাটে এখন দেখছি ছাত্রলীগ রগকাটে"। রিপোর্ট প্রথম আলো 22/11/06।
এখন জাতি কি বলবে। জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রইল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।