আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঠোটের আত্মকথা

I like to hear complain from my readers about my lacks.............................................আমি এক পরী যার ডানাও নেই, আকর্ষনও নেই
শুধু রবীন্দ্রনাথ নয়, সকল কবিদ্বয় যাহারা আমাকে নিয়ে তাদের অমর কবিতা বুনেছিলেন, সকলকে সম্মানের সাথে আমি স্মরন করি এই বেলা। কবিরাই আমার প্রকৃত মুল্য নিজেদের লেখায় লেখে আবর্তন করে নতুন সৃষ্টির? বড় ভুল। ভন্ড কবি, কেননা তাহাদেরি একিজনের লেখাসমেত এই প্রমান হয় যে, আমায় নহে গো, ভালোবাসো শুধু, ভালোবাসো মোর আকৃতিরে। সুশ্রী অধররে, কে চিনে রাখে, চুম্বন হইলে সারা? ঠিক বলিয়াছি ভুল? আমার সাথে এমন অসদাচারনের জন্য কবিদ্বয়কে প্রথমেই শাপ দিবার ইচ্ছাপোষন করিয়া শুরু করিতেছি। উম, আমি বলিতেছি একজন ঠোট, অধর, ওষ্ঠ, কিংবা অধরোষ্ঠ।

আমি প্রতিটি মানুষের মুখের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, কিন্তু আমার কদর কে করে? কখন করে? অবুঝ মানুষ দাত ভাইয়ের মত আমায় হারালে আমার মর্ম বুঝে, তবুও আমার পুর্নজনম তো নেই, আহা কি ভাগ্য নিয়ে জন্মালে দাত ভাই, হায়! যাইহোক, আপন বর্ননা করি; আমি দেখতে দুই অংশ, বা জোড়া। উপরের অংশ দেখতে আপ, রাউন্ড, ডাউন, আপ, রাউন্ড, ডাউন, তারপর ফ্ল্যাট। নিচের অংশ ফ্ল্যাট, ডাউন, রাউন্ড, ফ্ল্যাট, রাউন্ড, ফ্ল্যাট। আমার ঠাই কেমন? কোন রুপসীর মুখে যদি বা অন্তত কোন সুশ্রীর মুখে আমার অবস্থান, তবে আমার জীবন বেশ সুবিধাজনক নয়। কেননা, তাদের অত্যাচার, তাদের অনুরক্তদিগের অসম্ভব কার্জ, আমার আর সহ্য হয়না! আর কোন নরসুন্দরের অংশ হলেও জ্বালা, মরন যেন পিছু ছাড়তে চায়না।

আজকাল নরও লিপস্টিক আসক্ত! হায় ঈশ্বর, তুমি আমায় এ কি ভাগ্য দিলে। আমি তো খাদ্যদ্রব্যের প্রতি আসক্তির থেকে মুক্তি চাইয়াছিলাম, একি করুন পরিনতি আমায় দান করিলে? এরচেয়ে জিব্হা বোনের বাড়ির পাশে থাকতাম, খাবারকে তো আমার সামনেই ভেতরে যেতে হত! সবই কপাল!তার উপর এলো হতচ্ছাড়া প্রেমিদের ন্যাকামি, তাদের ঠোটে খোদাই হয়ে আছে তারা প্রতারক, তাদের মনে কলুষতা, তবু তারা একে অপরের সাথে! আমার জন্য এত অঞ্জলি ঢালবে, তাও লালসা ভরা মনে? আহ। তাই মোর সাথি, আখির রোদন আর সহ্য হয়না শেষবেলায়; সে আমার সহধর্মিনী, আমার ভালবাসার হেতু! মানুষ কি ভাবে, কেবল তারি ভাবলবাসায় অধিকার? জানো? যদিও নাক ব্যাটা মাঝখানে দাড়িয়ে থাকে সবসময় বাহাত দিয়ে, তবুও আমারা একে অপরের কামনা করি আজীবন। মানুষের মত পিছু হটি না, অন্যকারো প্রেমের আশে বেহায়া হয়ে বেড়াই না! আমরা একে অপরের গানে গানে সুরে সুরে রোমন্থন করি একে অপরের সুষম অতীত। আমরা অন্তরপ্রিয় একে অন্যের! জানবে, সে এক কাল ছিল যখন মানুষ আমাদের সাথে সদাচারন করিতেন।

সে মহাকাল আজ বিষন্ন অতীত। তার আগমনের প্রয়াস আজ অসম্ভব, তবু সেদিনে মুখ ফিরিয়ে চাই, যেদিন আমাদের মত অংশের সাথে কন্ঠ সুর মিলিয়ে সত্যের বহমান নদীর ঢেউয়ে ভেসে বেরাতো। ভালবাসাকে তখন স্বর্গীয় মনে হত মানুষেরও! তবে সেদিন কি আর আছে, এখন অনুজ-শিশুরাও মিথ্যের প্রতিদান মিথ্যে দিয়ে দিতে কার্পন্য করে না। সে সোনার ফাগুন দিন, সে বসন্ত আর না ফিরে বলেই মানুষের এত হায় হায়। এমন দিন ছিল যখন এক পুরুষে/এক নারীতে মানুষের প্রেম বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যত সব জুড়ে থাকত।

তখন প্রেমিদের চুম্বনে আমি নিজের গর্বভরা সত্তা খুজে পেতাম, নিজের কর্তব্যে আমার তৃপ্তি ছিল। আজ এ কলিকালে মানুষ বহুপ্রেমি, বহুরুপি; মানুষ আজ আত্মার প্রেম হতে দুরে বাস করে, দেহের মধ্যে ডুবে ভুভুক্ত কুকুরের মত আমার মত আমার মত সব অবলা অংশের উপর ঝাপিয়ে পরে। লালসা মানুষের নিয়তি বনে গেছে হে! মানুষ তবুও জেগে উঠে না। আর কি বলব? মানুষ আমাদের খেলনা বানিয়ে ফেলেছে। মানুষ এখন আর মস্তিস্ক ভাইকে অপরাধ জগত থেকে ফিরে আসতে দেয়না।

তাকে কি সমবেদনা জানাবো, নিজেদেরই কোন উপায় নেই মানুষের হাত হতে?! বিদায় পাঠক, ভালো থাকো তবু, আখিকে আমার ভালবাসা দিও।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।