বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
গতকাল বেলা 11টায় সেনাকুঞ্জে সশস্ত্রবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে লিখিত ভাষণের পর পাশেই সশস্ত্রবাহিনীর সদর দফতরে সর্বাধিনায়ক হিসেবে তার জন্য নির্ধারিত অফিসকক্ষে প্রায় আধাঘণ্টা অবস্থান করেন রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকাররের প্রধান উপদেষ্টা ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। সূত্রমতে, বঙ্গভবনে ফিরে আসার আগে উপস্থিত সেনাকর্মকর্তাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির সংক্ষিপ্ত নির্দেশ ছিল, 'এনটিএম ফোর আওয়ার'! সামরিক পরিভাষায়, 'এনটিএম ফোর আওয়ার' শব্দগুচ্ছের মানে হলো, 'নোটিশ টু মুভ' নির্দেশ পাওয়ার 4 ঘণ্টার মধ্যে দেশের 11টি সেনা অঞ্চল থেকে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সাঁজোয়া গাড়িসহ যে কোনো স্থানে পেঁৗছতে সক্ষম হবে সেনাদল। এ নির্দেশবলে সেনাদলগুলো সাংবিধানিকভাবেই সিভিল প্রশাসনের সহায়তায় যে কোনো কাজে অংশ নিতে পারবে। বর্তমানে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের নিজ নিজ ইউনিটে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
একাধিক সূত্রমতে, রাষ্ট্রপতির একানত্দ নির্দেশকালে তার অফিসকক্ষে তিন বাহিনীর প্রধান, চিফ অব জেনারেল স্টাফ, সেনাপ্রধানের পিএসও, ডিরেক্টর (অপারেশন) এবং রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবসহ সশস্ত্রবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রগুলো আরো জানায়, এ নির্দেশের ফলে নির্বাচনের প্রাক্কালে সম্ভাব্য সেনা মোতায়েনের আগে 'ইন এইড টু সিভিল এডমিনিস্ট্রেশন পাওয়ার অ্যাক্ট' অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে পৃথক কোনো নির্দেশ বা অধ্যাদেশ জারি করতে হবে না। এখন সেনাপ্রধানের মৌখিক নির্দেশে সেনাবাহিনীর সদর দফতরের পরিচালক (অপারেশন) যে কোনো মুহূর্তে সেনাদলগুলোকে দেশের সর্বত্র মুভ করার আদেশ দিতে পারবেন। সম্পাদনা: আমিরুল ফয়সল
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সচিবদের বৈঠকে উপদেষ্টাদের থাকতে নিষেধ করা হয়েছে
দুলাল আহমদ চৌধুরী: রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবদের বৈঠকে অন্য উপদেষ্টাদের উপস্থিত থাকার সিদ্ধানত্দ পাল্টানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে উপদেষ্টাদের চিঠি দিয়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হলেও গতকাল বুধবার দুপুরে টেলিফোনে উপদেষ্টাদের জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি শুধু সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
উপদেষ্টাদের এই সভায় উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল একাধিক উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা কোনো মনত্দব্য করতে রাজি হননি। ক্যাবিনেট বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বুধবার বঙ্গভবন থেকে বলা হয়েছে, সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে উপদেষ্টাদের উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। বঙ্গভবনের বাইরে সকল সচিবের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার এটাই প্রথম বৈঠক।
বৈঠকের চিঠি গত 6 নভেম্বর সকল উপদেষ্টা ও সচিবদের দফতরে বিলি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সচিবদের চিঠিতেও উল্লেখ করা ছিল বৈঠকে উপদেষ্টারা উপস্থিত থাকবেন। যথারীতি আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল তাদের। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন সিনিয়র সহকারী সচিব ফোন করে সকল উপদেষ্টার দফতরে জানান, আজকের (বৃহস্পতিবার) বৈঠকে তাদের উপস্থিত থাকতে হবে না। কোনো কোনো উপদেষ্টার দফতর থেকে পাল্টা ফোন করে চিঠির কথা বলা হলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, এটা আজকের (বুধবারের) সিদ্ধানত্দ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।