ভস্ম হই। মৃত্যুর চুমু আমার কপোল ছুঁয়ে যায়। বেঁচে উঠি আবার। নতুন দিনের আশায়। বেঁচে উঠি বারবার।
বিষয় বাছাই করা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে একটি সঠিক বা ভুল সিদ্ধান্ত। আমাদের দেশে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করতে দেখা যায় না বেশী। একেক সময় একেক বিষয়ের প্রতি ক্রেজ ওঠে আর সবাই দল বেঁধে সেই বিষয়ে পড়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। আন্ডারগ্রাজুয়েট শেষে সেই বিষয়ের কোন চাকুরী পাওয়া যাবে কিনা, 10/15 বছর পর সে ধরনের চাকুরী থাকবে কিনা, বিষয়টি ছাত্রটির জন্য উপযুক্ত কিনা, ভবিষ্যতে উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য উপযুক্ত কিনা এসব কিছু চিন্তা না করেই বাতাসে ভেসে বেড়ানো ক্রেজের উপর অভিভাবক এবং ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
মজার ব্যপার হচ্ছে আমি নিজেও এর ব্যতিক্রম নই।
আমার লেখার ফোকাস হচ্ছে আমেরিকায় উচ্চতর শিক্ষা। তাই বিষয়টাকে আমি বাংলাদেশের পারস্পেকটিভে বা আন্ডারগ্রাজু্যয়েট পার্সস্পেটিভে আপাতত আলোচনা করব না। উচ্চতর শিক্ষা বলতে আমি মাস্টর্াস বা পিএইচডি বুঝাচ্ছি এখানে।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শেষে কেন মানুষ উচ্চতর শিক্ষার কথা ভাবে? এক. জ্ঞান বাড়ানোর জন্য।
আমার বুনো আন্দাজ হচ্ছে বড়জোড় 2-3% ভাগ ছাত্র এই ক্যাটাগরীতে পড়বে। দুই. ভাল বেতনের, নির্ভরযোগ্য চাকুরীর জন্য। অধিকাংশ ছাত্র এই ক্যাটাগরীতে পড়বে। তিন. 'বেকার হয়ে তো বসেই আছি, মার্স্টাসটা করেই ফেলি'। একটা বড় অংশের ছাত্র এই ক্যাটাগরীতে পড়বে।
আমার লেখার টার্গেট এই শেষ দুই ক্যাটাগরীর ছাত্র। তবে আমি নিজেই এখন ছাত্র, আমার পদ্ধতির বেশীরভাগই এক্সপেরিমেন্টাল। এর কতটা সত্যি সত্যি কারে কাজে লাগবে সেটা নিয়ে আমি নিজেই সন্দিহান। তবুও আমার ধারনা গুলো কারো কাজে আসতে পারে ভেবে লিখে ফেলা।
চলতি হাওয়ার সাথে তাল মেলানো একটা ভাল পদ্ধতি হতে পারে।
অর্থাৎ যে ক্রেজের নিন্দা আমি শুরুতেই করছিলাম সেটাই একটা ভাল পদ্ধতিও হতে পারে। বিভিন্ন বন্ধু বান্ধবের আড্ডায়, বা শিক্ষিত লোকের গল্প গুজবের সময় বিভিন্ন ফ্যাকচুয়াল ব্যাপার আলোচিত হয়। অনেকে অনেক পত্রিকা বা ব্লগ পড়ে থাকেন সেগুলো শেয়ার করেন। আর এভাবেই আস্তে আস্তে গুঞ্জন উঠতে পারে কোন একটা বিষয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিয়ে। সুতরাং এই পদ্ধতিতে পাওয়া তথ্যকে অনেকাংশে নির্ভরযোগ্য মনে করা যেতে পারে।
আমি এই পদ্ধতির কয়েকটা উদাহরন দিই।
মনে করুন আমার কাছে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা কেউ জানতে চাইল কোন বিষয়ে মাস্টর্াস বা পিএইচডি করতে আসা উচিত? 'আমেরিকাতে এখন বায়োইঞ্জিনিয়ারিং খুব ভালো চলছে' আমি এই উত্তরটা দিলাম। কিন্তু আমার এই ধারনাটা কিভাবে তৈরী হল? প্রথমত এখানে এসেই দেখলাম চোখের সামনে ঝকঝকে তকতকে বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট গড়ে উঠল। বেশ কয়েকজন ইন্ডিয়ান প্রতিবেশী দেখলাম পোস্টডক করছে এই বিষয়ে এবং তারা ওয়েল পেইড। তদুপরী বিভিন্ন আড্ডায় কিছু সাকশেস স্টোরী শুনে দৃঢ় বিশ্বাস হল যে এই বিষয়ের রমরমা অবস্থা।
এক ইলেক্ট্রিক্যালের ভাইয়া বললেন তার প্রফেসর ইলেক্ট্রিক্যাল-বায়ো বিষয়ক গবেষনার জন্য প্রস্তাব করেছিল কোন এক জাতীয় গবেষনা কেন্দ্রের কাছে। সেই প্রফেসর যে পরিমান ফান্ডিং আশা করেছিল তারও দ্্বিগুন পয়সা পেয়েছেন।
এই চলতি বিষয় কোনটা জেনে নেয়াটা একটা ভাল শুরু হিসেবে ধরা যেতে পারে। সুতরাং প্রথম পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত বন্ধু বান্ধব, মেন্টর এদের সাথে আলাপ করে জেনে নিন কোন কোন বিষয়ের পালে হাওয়া লেগেছে। কাগজে একটা তালিকা করে ফেলুন।
এরপরে যাচাই করে দেখুন ঐ বিষয়ের চাকুরীর বাজার কেমন। আমেরকিার জন্য বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা চাকুরীর জন্য সাহায্য করে থাকে। এরকম কয়েকটি ওয়েবসাইট হচ্ছে: [link|http://www.monster.com/|gb
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।