আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমেরিকায় ধর্ষণ

অযথা ক্যাচাল পছন্দ না, তাই তালগাছবাদীরা দূরে থাকুন

আমরা জানি প্রতিটি বস্তুই তার বিপরীত দিককে আকর্ষণ করে থাকে। কিন্তু যখন বিপরীত দিক থেকে কোন সন্মতি লক্ষ্য করা যায়না তখনই প্রথম পক্ষ জোর করে পাবার চেষ্টা করে। কথাটির বিশেষ কিছু প্রমান দিচ্ছি। বর্তমান বিশ্বে সভ্যতার আর অসভ্যতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে আমেরিকা। সেখানে যেমন শান্তি আছে তেমনি আছে অশান্তি।

কিন্তু আমার ব্লগের প্রধান বিষয় হচ্ছে আমেরিকায় ধর্ষণ। কিছুদিন আগে এক ব্লগারের লেখায় দেখলাম এবং আমরা সবাই জানি আমেরিকায় সবচেয়ে বেশী ধর্ষণ হয়। একজন ব্লগার লিখেছেন যদি ”দুইটি যমজ বোনের মধ্যে একজন হিজাব মেনে চলেন ও অপরজন যদি পাশ্চাত্যের মিনি স্কাট পরেন তাহলে খারাপ ছেলেরা মিনি স্কাট পরা মেয়ের সাথে ফাজলামি করার চেষ্টা করবে”। আমরা জানি ঐ দেশে মোটামুটি সবাই একটু খোলামেলা ড্রেস পরে কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছেন কেন? এর কারণ কি শুধুমাত্র পোশাক? একটা ব্যাপার আমাদের সবার নজর এড়িয়ে যাচ্ছে সেটি হচ্ছে আমেরিকা একটি ফ্রি সেক্সের দেশ। সেখানে শুধুমাত্র পারস্পরিক সন্মতির ভিত্তিতেই উভয়ে সেক্স করতে পারে।

কিন্তু তার পরেও কেন ধর্ষন হচ্ছে? এর কারণ কি এটা না ” যাকে দেখিনি সে কত সুন্দরী, যার হাতের রান্না খাইনি সে কত বড় রাঁধুনী”। সবার মাঝেই বাধা কে জয় করার বেশী ইচ্ছা, অজানাকে পাওয়ার ইচ্ছা প্রচুর, তাই যেখান থেকে প্রস্তাবে অস্বীকৃতি আসে সেখানেই বেশী সুখ মনে হতে পারে। বাকীটুকু জ্ঞানী পাঠকরা অবশ্যই বুঝতে পারবেন বলে আশা করি। এবার একটু বাংলাদেশের প্রসঙ্গে আসি। আমাদের দেশে প্রতিদিন কি পরিমান মেয়ে ধর্ষিত হয় তার সঠিক পরিসংখ্যান আমার কাছে নাই, কিন্তু এটুকু বলতে পারি যে এ্ই সংখ্যা একেবারে কম নয়।

ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি ধর্ষন হয় তাহলে স্বেচ্ছায় যা করে তা কি? কত মেয়ে প্রেমিকের সাথে সে^চ্ছায় সেক্স করছে তার খবর কে জানে। বর্তমানে প্রেমের েেত্র আনুমানিক প্রায় ৮০% মেয়ে সেক্স করে (যে কোনো ভাবে)। কিন্তু এসব দেখে যদি অন্য কোন ছেলে তার সাথে সেক্স করতে চায় বা করে তবে তা অপরাধ। শুনতে খারাপ লাগতে পারে বর্তমানে ২০ বছর বয়সী ১০০ অবিবাহিত মেয়ের কুমারীত্ব পরীা করা হোক দেখুন কি ফলাফল আসে। আমার মতে তা ধর্ষনের হারের চেয়ে কয়েকগুণ হবে।

এটা অনেকটা বাংলা সিনেমার মত, নায়কের সাথে ঢলাঢলি করে গর্ভবতী হলেও নায়িকা নিজেকে সতী মনে করে, কিন্তু ভিলেন নায়িকাকে স্পর্ষ করলেই ইজ্জত চলে যায়। ইজ্জত যদি টিকটিকির লেজ হয় যে স্পর্ষ করলেই খসে যাবে তবে তা নিয়ে বড়াই করে কি লাভ, বাইরে বেরোনোর কী দরকার। এই লেখাগুলো আমার নিজস্ব মতামত। আশা করি এই ব্লগ সাইটের জ্ঞানী পাঠকরা এই লেখা পড়বেন এবং তাদের মন্তব্য প্রদান করবেন, যাতে আমি আমার মতামতের ভিত্তি বুঝতে পরব।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।