বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
মাইক্রো ক্রেডিটের জনক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নোবেল শান-ি পুরস্কারের খবর গতকাল ভারতে ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। ট্রামে, বাসে, রেলস্টেশন এমন কি বিমানবন্দরে, সবখানেই একই নাম শোনা গেছে 'নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনূস'। প্রতিবেশী দেশের নোবেল শান-ি পুরস্কারের প্রাপ্তিতে গর্বিত ভারতের প্রভাবশালী মিডিয়াগুলোও। সর্বভারতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তির খবরের প্রাধান্য ছিল একচেটিয়া।
কোন কোন দৈনিক পত্রিকা দেখে মনে হয়েছে, পত্রিকাগুলো ইউনূস সংখ্যা প্রকাশ করেছে।
রাজধানী দিলি্ল, বাণিজ্যিক শহর মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ এবং কলকাতা থেকে প্রকাশিত একাধিক ভাষার দৈনিক পত্রিকায় যেভাবে নোবেল শান-ি পুরস্কারের খবর প্রকাশ করা হয়েছে তাতে মনে হয়, কোন দৈনিক তার প্রতিদ্বন্দ্বী দৈনিক থেকে ভালো হেডলাইন করবে, সেই প্রতিযোগিতা ছিল পত্রিকাগুলোতে।
টিভি স্টেশনগুলোতে সব চেয়ে বেশি ব্যস-তা লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার বিকাল থেকে সর্বভারতীয় ইংরেজি, হিন্দি এবং বাংলা ভাষার চ্যানেলগুলোতে নোবেল জয়ী ইউনূসের খবর প্রচার শুরু হয়েছে, যা চলেছে গতকাল রাত পর্যন-। কোন কোন টিভি 'গ্রেইট অ্যাচিভমেন্ট ফর বাংলা' শিরোনামে বিশেষ প্যাকেজ প্রচার করেছে।
ওইসব প্যাকেজে ভারতের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ থেকে সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব_ সবাই নিজ নিজ দিক থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক এবং তার শান-ির জন্য নোবেল পাওয়ার প্রেক্ষাপট নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় ব্যানার হেডিং করা হয়েছে নোবেল প্রাপ্তির খবর। শিরোনামে বলা হয়, 'অমর্ত্যর পর আবার, হ্যা এবারও বাঙালির নেবেল'। প্রথম পাতায় প্রকাশিত মোট ছয়টি সংবাদের মধ্যে চারটি সংবাদই ছিল ইউনূসের নোবেল সম্পর্কিত খবর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর আনন্দবাজার পত্রিকায় এভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কিত খবর আর প্রকাশিত হয়নি।
পত্রিকাটি প্রথম পাতায় 2000 সালের 24 জুনে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকার পুনঃমুদ্রণ করেছে। পাশাপাশি 13 অক্টোবরে নেয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারভিত্তিক খবর প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার।
কলকাতার অপর দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনও ব্যানার হেডিং করেছে সংবাদটিকে।
দৈনিক আজকাল পত্রিকা বলছে, 'জয় বাঙালি! নোবেল জয়ী ইউনূস'। একমাত্র ওই পত্রিকাতেই অমর্ত্য সেনের নোবেল জয়ী ড. ইউনূস সম্পর্কে একটি বিশেষ মন-ব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন মনে করেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও অসুস্থতা আজ কিছুটা কমেছে। তার কৃতিত্ব অনেকাংশেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।
বাংলা ও ইরেজি স্টেটসম্যানেও নোবেল জয়ের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস-ান টাইমস এবং এশিয়ান এজ, দ্য হিন্দু ছাড়াও ভারতের আঞ্চলিক ভাষার দৈনিকগুলোতেও ইউনূসকে নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতের প্রায় অধিকাংশ দৈনিকেই নোবেল জয়ের খবর ছিল প্রধান শিরোনাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।