কখনো চাই নাই দূরে থাকি...তবু দূরগুলো বারে বারে আসে...
এইবার আমার নিজের কথা কই। ফ্লাডিং বিষয়ে আমি প্রথম এই ব্লগ এলাকাতেই শুনতে পাই। তারপর দেখি কিছু ব্লগার নিজেগো পোস্টরে ফ্লাড কইয়া তাগো ব্লগের আলমারী সাজাইতেছে। এইসব দেইখা আমার মনে হইছিলো আরে এইরম তো খারাপ না! যার যা ইচ্ছা হইবো তা যদি করনের একটা এইরম জায়গা পাওন যায় তাইলে তো ভালোই। এই দুনিয়ায় তো এইরম জায়গা খুব বেশি নাই।
এখন আমি অতোদূর আশাও করি নাই যারা এই জায়গা মাগনা দিতাছে, তারা একটু আধটু খবরদারী করবো না। কিন্তু যতোটুকু আছে সেইটাও তো কেউ দেয় না।
কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দেখলাম এই ব্লগ খালি জ্ঞান পিপাসুগো জায়গা। আহারে জ্ঞান! তার সংজ্ঞা আমার জানা নাই। কিন্তু ভাবে সাবে অনেকের অবস্থা দেইখা মনে হয়, অন্যেরা তাগো ব্লগে কি তুলবো আর কি তুলবো না সেইটা বইলা দেওনের চেষ্টা করতেছে।
কিসের এতো খবরদারী!! আমি তো মওদুদী নিয়া লেখনে যেমন কোন দোষ খুইজা পাইনা আবার মওদুদীরে পচাইয়া লেখনেও কোন অপরাধ দেখি না। যে কেউ তার যে কোন মন্তব্য দিতেই পারে। কিন্তু অভিভাবকত্ব ব্যাপারটা জানি কেমন লাগে। এর আগে এইরম অভিভাবকত্ব দেইখা আমি একজনরে বয়কট করছিলাম, ফজলে এলাহী সাহেব সেইটা আজো আমি বহাল রাখছি। একটা ব্লগে কিরম ছবি ছাপান হইবো, কিরম লেখা লিখন যাইবো এইসব নিয়া জায়গার মালিকেরা কথা কইতে পারে...কিন্তু হুদাই কেন একজন ব্লগার তার রুচীবোধ আরেকজনের উপর চাপাইয়া দিতে চাইবো! কিন্তু এইরমই হয়, আর একটা বিশেষ শ্রেণী এই কাজটা বেশি করে।
কারণ তারা নিজেরা খবরদারীর সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। তারা নিজেগো জীবন যাপনের লেইগা একটা গাইড বই লইয়া ঘুরে, যেইটারে আবার তার া পবিত্রগ্রন্থ কয়। ঐ খানে নাকি সকল কিছুর সমাধান থাকে! আজিব!!
আমি নিজেও একধরণের বইয়ের প্রতি ভক্তি প্রদর্শণ করি, কিন্তু ঐ বইয়ের সকল বাক্য সকল বর্ণ পবিত্র, তারে নিজের অপবিত্র ঝোলায় বহন করা যাইবো না এইরম কোন বিশ্বাস নিয়া আমি চলি না।
যাউগ্গা অনেকদিন পর লিখতে গিয়া দেখলাম অল্পতেই হাপাইয়া যাইতেছি। মনে হয় ঐ ফ্লাডিংটাই বেশি ভালো লাগে! কষ্ট কম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।