ঘটনার ১৭ দিন পর আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সফিকুল ইসলামের স্ত্রীর ‘মৃত্যুর’ বিষযটি সেনাবাহিনী তদন্ত করে দেখছে। হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাষ্ট্রীয় ও সেনা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সফিকুল ইসলাম গত ১৩ মে তার স্ত্রী শেজাদী আপসাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
এ ঘটনায় ১৬ মে সফিকুলকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ছোট ভাই মো. জাভেদ।
শেজাদী আপসা বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের ২৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি নরসিংদীর সদর উপজেলার মৃত শাহজাহান মিয়ার মেয়ে।
‘কুমিল্লা সেনানিবাসে সেনাসদস্যের স্ত্রীর মৃত্যু: পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে সেনাসদরের মন্তব্য’ শিরোনামে আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ১৩ মে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাংলাবাজার এলাকায় অফিসার্স পারিবারিক বাসস্থানে (নীলিমা, ৭৪/৬) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোসাম্মৎ শেজাদী আপসা মৃত্যুবরণ করেন। তার অকাল, অস্বাভাবিক ও দুঃখজনক মৃত্যুতে সেনাবাহিনী গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। ’
বিবৃতিতে বলা হয়, মৃত্যুর ‘প্রকৃত কারণ’ উদঘাটনে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে সামরিক বিধি অনুযায়ী একটি তদন্ত পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
“আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন থাকায় মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো বক্তব্যে আদালতের কার্যক্রম যেন কোনভাবেই প্রভাবিত না হয় সে বিষয়ে সেনাসদর অত্যন্ত সজাগ। প্রক্রিয়াগুলো শেষ হলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উন্মোচিত হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রীয় এবং সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ”
এ ঘটনায় গণমাধ্যমে কিছু কিছু বক্তব্য ‘অতিরঞ্জিত, বিভ্রান্তিকর ও অসম্পূর্ণ’ আকারে প্রকাশ পেয়েছে উল্লেখ করে সেনাসদর বলেছে, এ ধরনের তথ্য প্রকাশের ফলে সেনাবাহিনী সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে ‘নেতিবাচক ধারণার’ সৃষ্টি হচ্ছে।
শেজাদী আপসার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এসব তথ্য যাতে কোনোভাবে আদালতের কার্যক্রমকে প্রভাবিত না করে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ‘আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা’ আশা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।